নেমোনের চটি পরা পা দুটি স্পর্শ করল শিকারী.সিংহের রক্তাক্ত কেশর; একদৃষ্টিতে সে তাকিয়ে রইল তার দিকে। হয়তো এক মিনিট নীরবে প্রার্থনা ও করল। তারপর সহসা মুখ তুলে চারদিকে তাকাল। দুই চোখে উন্মাদ ঝিলিক; মুখখানি একেবারে সাদা।
বেলথার মরে গেল। আর্তকণ্ঠে কথাগুলো বলে ক্ষিপ্রগতিতে নিজের ছুরিখানাকে কোষমুক্ত করে তার সুতীক্ষ্ণ অগ্রভাগকে বসিয়ে দিল নিজের বুকের গভীরে। নিঃশব্দে নতজানু হয়ে সে উল্টে পড়ে গেল। মৃত বেলুথারের দেহের পাশে।
ফরডোসের নেতৃত্বে সৈনিকদল, নাগরিকবৃন্দ এবং সাধারণ মানুষরা শহরে ফিরে গিয়ে নেমোনের কারাগার থেকে সব বন্দীদের মুক্ত করে দিল; আলেক্সটারকে রাজা রূপে ঘোষণা করল; তাদের মৃত রানী পড়ে রইল সিংহ-ক্ষেত্রের এক প্রান্তে মৃত বেত্থারের পাশে।
সে মানবিক কর্তব্যকে তারা অবহেলা করেছিল, অরণ্যরাজ তাই পালন করল; আফ্রিকার আকাশের নিচে চাঁদের নরম আলোর একটি নারীর সমাধির পাশে সে মাথা নিচু করে দাঁড়াল।