মি. রডস একটু ইতস্তত করে গল্প বলল। গল্পটা ছিল কিছু মহিলাদের নিয়ে যারা ভীতিপূর্বক চিঠি লিখে তার স্ত্রীকে পাঠিয়েছে। তার গল্পটা, আমার কাছে একটি তেমন একটা দৃঢ়তাপূর্ণ ছিল না, মি. পেথারিকের অনুরোধে সে বলতে লাগল।
–স্পষ্টভাবে, সে বলল–আমি কখনও এটা বিশ্বাস করি না। আমি ভাবি অ্যামি সমস্তটাই করে দিয়েছে।
মিসেস রডস, আমার দেখা মিথ্যুকদের মধ্যে একজন। সে জীবনের সমস্ত কিছুই গুছিয়ে এগিয়ে গেছে যেটা সে হাতের কাছে পেয়েছে। তার রোমাঞ্চকর ঘটনার সম্পূর্ণটা। এবং তার নিজস্ব মতো, যে তার সঙ্গে একবছরের মধ্যে ঘটেছিল সেটা সত্যিই অবিশ্বাস্য। যদি সে কিছুটা কলার ছোবড়া ফেলে দিত তাহলে সে মৃত্যু থেকে হয়ত রক্ষা পেত, যদি একটা ল্যাম্পের ছায়া আগুন ধরাত। তাহলে সে জ্বলন্ত বাড়িটা থেকে মুক্তি পেতে পারত। যখন তার এই বিপদজনক পরিস্থিতি চলছে, তার স্বামী তার কথার কোন গুরুত্বই দেয়নি। তার গল্পটা মনে হয়েছিল এটা এমন একটা ঘটনা যেটার সঙ্গে একটা ঘটনার তুলনা করা যেতে পারে। যেখানে একজন মহিলার বাচ্চা মোটর দুর্ঘটনায় আঘাত পেয়েছে এবং সে সেই মহিলার প্রতি প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ-ঠিক আছে–কিন্তু মি. রডস-এর এই দিকে লক্ষ্য করেনি।
ঘটনাটা ঘটেছিল তার বিয়ের আগে এবং যদিও মহিলাটি তাকে বিধি পড়িয়ে শুনিয়েছিল, যেটা উন্নত ভাষায় লেখা ছিল। তখন সে মহিলাকে সন্দেহ করল এগুলির পেছনে তার হাত রয়েছে কিনা সেই এরকম ঘটনা এর আগে একবার কিংবা দুবার করেছে, সে একজন উদ্ভট প্রকৃতির মহিলা, সে সবসময়ই উত্তেজনা পেতে পছন্দ করে।
এখন, সবকিছুই আমার কাছে খুব স্বাভাবিক মনে হচ্ছে–বাস্তবিকপক্ষে আমাদের একজন যুবতী মহিলা গ্রামে আছে, সেও এইরকম ঘটনা ঘটিয়েছিল, এই সমস্ত লোকেদের বিপদ সে যখন কোনকিছু অত্যাধুনিকভাবে ঘটে তাদের কাছে, তখন কেউই বিশ্বাস করে না যে তারা সত্যি কথা বলছে। এটা আমার কাছে মনে হল যে এই ব্যাপারে কী ঘটেছিল। পুলিশ, যাদেরকে আমি জড়ো করেছিলাম, তারা বিশ্বাস করল যে মি. রিডস তার অকার্যমূলক গল্পটা তৈরি করছে যাতে সে তার উপর সন্দেহটাকে সরিয়ে ফেলতে পারে।
আমি জিজ্ঞাসা করলাম সেখানে কি কিছু মহিলা তারা নিজেরাই কি হোটেলে বাস করছিল। এটা মনে হল যে দুজন থাকত–একজন হল মিসেস গ্ৰাণবি, যে ছিল ইঙ্গো ভারতীয় বিপত্নীক, এবং আর একজন ছিল মিস ক্যারিউমিয়ারস, যে ছিল ঘোড়ার মত কুমারী। যে তার g-এর টাকে ফেলে দিয়েছিল, মি. পেথারিকের যে অতি সূক্ষ্ম অনুসন্ধানটা ব্যর্থ হয়েছে অবৈধভাবে কাউকে প্রবেশ করানোর জন্য, যারা এই অপরাধটা দেখেছে কিংবা যাদের এই অপরাধ সম্বন্ধে কোন যোগাযোগ নেই, আমি তাদেরকে বললাম তাদের ব্যক্তিগত আভাসগুলি দিতে। সে বলল মিসেস গ্রানবির লাল রঙের চুল আছে যেটা অগোছালো। এবং তার বয়স পঞ্চাশ বছর। তার কাপড়গুলো চিত্রবৎ ছিল। সেটা দেশীয় সিল্ক দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল, মিস ক্যারুথারাস-এর বয়স চল্লিশ বছরের মত। তার কোঁকড়ানো চুল ছিল ছেলেদের মত এবং ছেলেদের মত কোট এবং স্কার্ট পরেছিল।
–প্রিয় আমি–আমি বললাম যেটা এটাকে খুব কঠিন করে তুলেছে। মি. পেথারিক অনুসন্ধানপূর্বক তাকাল আমার দিকে। কিন্তু আমি সেই মুহূর্তে কিছু বলতে চাই নি সুতরাং আমি জিজ্ঞাসা করলাম স্যার ম্যালকম ওল্ড কী বলেছে।
স্যার ম্যালকম; তার উওধিকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার দ্বন্ধ ডাকাতে খুব সক্ষম ছিল বলে মনে হয় এবং সে প্রস্তুত ছিল কিভাবে আঙ্গুলের চিহ্নের সমস্যাকে দূর করা যায়, আমি মি. রডসকে জিজ্ঞাসা করলাম সে কি ভাবছে এবং সে বলল যে সমস্ত ডাক্তাররাই বোকা কিন্তু সে বিশ্বাস করল না যে তার স্ত্রী নিজে নিজেকে হত্যা করেছে, সে এই রকম ধরনের মহিলাই নয়-সে খুব সহজভাবে বলল এবং আমি তাকে বিশ্বাস করেছিলাম উন্নত লোকেরা কখনই আত্মঘাতী হয় না।
আমি এক মিনিট ধরে ভাবলাম এবং তারপরে জিজ্ঞাসা করলাম। মি. রডস-এর ঘরটা কি বারান্দার দিকে, রাস্তা থেকে দেখা যায়? মি. রডস না বলল–এবং বলল সেখানে একটা হল ছিল এবং একটা বাথরুম এবং স্নানাগার ছিল। এটা ছিল শোয়ার ঘর এবং হলঘরের দরজা। সেটা বন্ধ ছিল এবং ভেতর থেকে তালা বন্ধ ছিল।
এই ক্ষেত্রে–আমি বললাম পুরো ঘটনাটা স্মরণীয় এবং সহজ বলে মনে হচ্ছে।
সত্যিই, তুমি জান এটা কে করেছিল–এটাই ছিল সবথেকে সহজ ঘটনা। পৃথিবীতে কেউই এটাকে এইভাবে দেখেনি।
মি. পেথারিক এবং মি. রডস দুজনেই আমার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকাল যাতে আমি কিছুটা হতবাক হয়ে গেলাম।
–সম্ভবত–মি. রডস বলল, মিস মার্পল এই কঠিন অনুভবগুলো উপলব্ধিজনক বলে ভাবে নি।
–হ্যাঁ, আমি বললাম, আমি ভাবি আমার আছে। সেখানে চারটে সম্ভাব্য কারণ ছিল, এটা হতে পারে যে মিসেস রডস তার স্বামীর দ্বারা খুন হয়েছিল কিংবা তার পরিচারিকার দ্বারা, কিংবা নিজে আত্মঘাতী হয়েছিল, কিংবা বাইরের কোনও লোক তাকে মেরে ফেলেছিল যাকে কেউ দেখতে পায়নি, সে কখন প্রবেশ করেছিল এবং কখন বেরিয়ে গেছিল।
–এটা অসম্ভব, মি. রডস বলে উঠল। সে বলল–কেউই আমার ঘরে প্রবেশ করেনি আমার অলক্ষ্যে, এবং যদিও কেউ ব্যবস্থা করে আমার স্ত্রীর ঘরে ঢুকত, তাহলে ইলেকট্রিক মিস্ত্রি নিশ্চয়ই তাকে দেখতে পেত। এবং সেই শয়তানটা কখনই বন্ধ দরজার ভেতরে প্রবেশ করতে পারত না।