লজ থেকে লারকিন সমস্ত খবরাখবর দিতো। আর এখান থেকে র্যামসের মাধ্যমে চলে যেত নির্দিষ্ট ঠিকানাতে। প্রয়োজনে র্যামসে রাতে বাগানের রাস্তা দিয়ে এসে যোগাযোগ করতেন। একদিন একটা কয়েন তার হাত থেকে পড়ে গেছিল। তার ছদ্মবেশ ছিল চমৎকার। একটু পরেই স্পেশাল ব্রাঞ্চের লোকেরা চলে আসবে। আপনার দায়িত্ব বুঝে নেবে। আপনি চলে যেতে মিসেস ব্ল্যাণ্ড। ক্রাউডিয়ানে কেউ জানে না মিঃ ব্ল্যাণ্ড আগে বিয়ে করেছিলেন। আসলে তিনি মিঃ ব্ল্যাণ্ডের দ্বিতীয় পত্নী। তিনি আইনসংক্রান্ত ব্যাপারের অন্য বিভিন্ন কাগজপত্র, কাকার ছবি জোগাড় করে বহুসম্পত্তি অধিকারী হয়।
তার অনুমান বছরখানেক পর কেউ বিদেশে আসে। তিনি দ্বিতীয় স্ত্রীর এই চাল ধরে ফেলেন। ভদ্রলোক মিসেস ব্ল্যাণ্ডকে দেখতে চেয়েছিলেন সেজন্য তিনি এখানে এসেছিলেন এরপর তিনি খুন হন। হার্ড ক্যাসেল বললেন, তাহলে মিসেস ব্ল্যাণ্ড আর মিস মার্টিনডেল দুই বোন। ব্ল্যাণ্ড নিছক সময় কাটানোর জন্য বিদেশ ভ্রমণ করতো। আর সেই সময়ে হ্যারি ক্যাসলটন নামে শনাক্ত করে কবর দেওয়া হত তাহলে কেই বা জানতো ভদ্রলোক কানাডা থেকে এখোনে এসেছেন।
আমি বললাম ব্ল্যাণ্ড বলেছিলেন না, যে তিনি বোন না। পোয়ারো দশ নম্বর এলিসমোর গার্ডেন মিঃ এনডার ভাইকে লিখলে তারা কানাডায় অনুসন্ধান চালাতে পারে।
মার্টিনডেল শীলার ঘড়িটা পেয়ে তাকে মৃতদেহ আবিষ্কারের জন্য রাখে। আসলে সে পরিকল্পনা করে। প্রথম থেকেই সে একটা প্যাটার্নে চাইলে যেতে পারেন। কেননা আপনি আমার শাশুড়ী হতে চলেছেন।
উনি একজন অন্ধ মহিলা। কিন্তু সামান্য অন্যমনস্কতার সুযোগে বিপদ ঘটিয়ে দিতে পারেন। তাই আমি সরে গেলে আপনি কি বলতে পারেন কোন মহিলা। তিনি ডেস্কের কাছে ছবি দেখাতে গিয়ে একটা ছুরি বার করলেন, আমি ছুরিটা হাত থেকে কেড়ে নিলাম। ভদ্রমহিলা আমাকে বললেন যে আমি কিছুটা রোজমেরীর বাবার মতো।
.
এরকুল পোয়ারোকে লেখা ডিটেকটিভ ইনসপেক্টর হার্ড ক্যাসেলের চিঠি
প্রিয় মিঃ পোয়ারো,
ঘটনার একটা নির্দিষ্ট ছবি এখন আমাদের হাতে এসেছে। সবকিছু আপনার দেওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে। আপনি যদি সাহায্য না করতেন তাহলে প্রকৃত সত্য আবিষ্কার করতে পারতাম না।
ফোয়রোর মিঃ ভুগেসাউন সপ্তাহখানেক আগে ইউরোপের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। কানাডা থেকে ইউরোপ যাবার উদ্দেশ্যে বেরিয়েছিলেন তিনি। ফিরে আসার ব্যাপারটা ছিল অনিশ্চিত।
ফোয়রোর মন্টসর পরিবারের সঙ্গে মিঃ ভুগেসাউনের দারুণ বন্ধুত্ব। তাই প্রচুর সম্পত্তি রেখে যান উত্তরাধিকারীর জন্য। কিছুদিন পরে পেটলবারিতে যোগোভ ব্ল্যাণ্ড বলে এক ব্যক্তির খোঁজ পাওয়া যায়। দেখা যায় স্ত্রী ভ্যালেরী ব্ল্যাণ্ডই ঐ অগাধ সম্পত্তির একমাত্র উত্তরাধিকারিণী। ভ্যালেরী ঐ ভদ্রলোকের ভাইয়ের যে মন্টেসর পরিবারের মেয়ে যোগোফ ব্ল্যাণ্ডের প্রেমে পড়ে। বাড়িতে না মেনে নেওয়ায় তারা বিয়ে করে। এতে পরিবারের কর্তা মিঃ হেনরি খুব রেগে গেছিলেন। মেয়েদের সঙ্গে সব সম্পর্ক ত্যাগ করেন। মিঃ জুগেলিন ইংল্যান্ড গেলে ব্ল্যাণ্ডের ওখানে যেতে সে বরাবরই ভ্যালেরী অনুগামী।
এই মৃতদেহ কোয়েনটির ভূগেস। বাড়ির রং করার সময় স্নো ফকস্ লী বাজ পাওয়া যায়। মিসেস মাটিনডেল ও ব্ল্যাণ্ড দুই বোন। মিসেস মাটিনডেলের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে অপরাপর ব্যাপারে তার ভূমিকা আছে। মিসেস ব্ল্যাণ্ডের ক্ষেত্রে অসুবিধা হবে না। অদূর ভবিষ্যতে তাকে গ্রেপ্তার করা যায়। মিঃ ব্ল্যাণ্ডের স্ত্রী শত্রুদের হাতে মারা যান। তখন ব্ল্যাণ্ড হিলাজাকে বিয়ে করেন। এসব তথ্য প্রতীতি।
আপনার বিশ্বস্ত
হার্ড ক্যাসেল
সুসংবাদ মিসেস ব্ল্যাণ্ড গ্রেফতার হয়েছেন। অপরাধের দায়িত্ব তিনি তার স্বামী ও বোনের ঘাড়ে চাপিয়েছেন। উনি ভেবেছিলেন যে, ওরা ভদ্রলোককে শুধু নেশা করাতে যাবে, তিনি ঐ অবস্থায় হিলস মার্টিনডেলকে চিনতে নাও পারেন। এটাই সম্ভাব্য কাহিনী।
কোর্ট বেলা মেয়েটি এক মহিলা মার্টিনডেলকে শনাক্ত করেছে। উনি দুটি ঘড়ি পান। ম্যাকলটন ব্ল্যাণ্ডের বক্তব্য ভ্যানে মিঃ ডুগেস ক্লিকে দেখেছিলেন। ভ্যানটা শেষ পর্যন্ত ব্ল্যাণ্ডের গ্যারেজে ঢুকেছিল।
কলিন ল্যাম্ব শীলাকে বিয়ে করেছে। কলিন আবেগপ্রবণ।
শুভেচ্ছাসহ
রিচার্ড হার্ড ক্যাসেল