-ঠিক আছে।
তারপর নির্দিষ্ট দিনে বিকেলের দিকে ন্যাশ গাড়ি রাখার জায়গায় বুইক-টা রেখে পাহারার লোককে বলে, সে রাতে এসে গাড়ি নিয়ে যাবে।
ন্যাশ দৌড়ে বাড়ি এসে শুনল জুলিয়ান বাড়িতে নেই। ন্যাশ হেলেনকে তাড়াতাড়ি তৈরী হয়ে নিতে বলে। এরপর সে দৌড়ে নিজের বাড়িতে যায়। আগেই সে নিজের জামাকাপড় স্যুটকেসে ভরে নিয়েছে। এখন সে ডেসটারের জামা, কাপড়, জুতো, উটের লোমের ওভারকোট এবং কান ও মুখের অনেকটা অংশ জুড়ে থাকা একটা বড় টুপী।
ন্যাশ এখন আর্ল ডেসটার-এ পরিণত হয়েছে। যাকে স্যাটেরিয়ামে ভর্তি করা হবে।
একটু পরেই জুলিয়ান এসে গেল।
হেলেন ওকে চিন্তিত মুখে বলল, তুমি এসে গেছ, ওদিকে ন্যাশের পাত্তা নেই। এদিকে মিঃ ডেসটার তৈরী হয়ে আছেন, তাকে এখুনি নিয়ে যাওয়া দরকার।
–আমি আপনাকে সাহায্য করবো।?
–না, তার কোন দরকার নেই, আমিই ওঁকে আস্তে আস্তে নিয়ে যেতে পারবো।
চমৎকার অভিনয় করছে হেলেন। জুলিয়ান তাকে কোন সন্দেহ করতে পারছে না।
তারপর জুলিয়ানকে বসবার ঘরে বসতে বলে ডেসটারকে আস্তে আস্তে নিচে নামিয়ে আনছে। ন্যাশ টুপিটা মুখের দিকে নামিয়ে দিয়েছে।
সিঁড়ির আলো কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। জুলিয়ান শুধু ন্যাশের পিছন দিকটাই দেখছে।
তারপর হেলেন জুলিয়ানের দিকে তাকিয়ে বলে, ন্যাশ এলে বোলো ডেসটারকে নিয়ে স্যানটোরিয়ামে গেছে।
হেলেন গাড়িটা চালিয়ে খানিকটা অন্ধকার জায়গায় এসে গাড়িটা থামায়। স্যুটকেশ সঙ্গে আনা হয়েছে।
ন্যাশ তাড়াতাড়ি ডেসটারের পোশাক ছেড়ে নিজের পোশাক পরে একরকম হাঁপাতে হাঁপাতে ডেসটারের বাড়িতে হাজির হয়ে জুলিয়ানকে দেখে বলে, একটা দরকারী কাজে গেছিলাম। পথে বুইকটা বিগড়ে গেল। শেষে বাসে আসতে হলো।
ন্যাশ জুলিয়ানের মুখে শুনল, ম্যাডাম মিঃ ডেসটারকে নিয়ে স্যানটোরিয়ামে চলে গেছে।
-ম্যাডাম চলে গেছে? ন্যাশ অবাক হবার ভান করল।
–ঠিক আছে তাহলে আমি চলি।
–আমিও যাবো, এই ফাঁকা বাড়িতে আমি একা থাকব না, বলে জুলিয়ান জেদ ধরল। সে কিছুতেই একা থাকতে চাইল না। ন্যাশ অনেক বোঝাবার চেষ্টা করল। তখন ন্যাশ ওকে একটা ঘরে ঢুকিয়ে বাইরে থেকে ছিটকিনি দিয়ে দিল। ন্যাশ আবার গাড়িতে ফিরে এল। হেলেনকে বলল, মেয়েটা ঝামেলা করছিল, দরজা বন্ধ করে দিয়ে এলাম।
হেলেন স্যানটোরিয়ামের দিকে গাড়ি চালাল। ন্যাশ মাথাটা নামিয়ে বসেছে। যাতে চট করে কেউ তাকে দেখতে না পায়। কিছুদূর গিয়ে হেলেন দেখল মোটর সাইকেলে একজন পুলিশ এদিকে আসতে আসতে বাঁ-দিকের রাস্তায় ঢুকে গেল। ওরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল।
ইতিমধ্যে ওরা বন-বিভাগের এলাকায় প্রবেশ করেছে। নির্জন জায়গা, এ জায়গাটা ন্যাশ আগে দেখে গেছে। তারা একটা কুঁড়েঘরের কাছে এসে পৌঁছাল। ঘরটায় তালা দেওয়া আছে। কয়েকটা টান মারতেই তালাটা খুলে গেল।
তারা প্রবেশ করল ঘরে। ঘরের কোণের দিকে তারা কিছুটা দড়ি খুঁজে পেল। ন্যাশ প্ল্যান করেছে হেলেনকে দড়ি দিয়ে বাঁধবে। পরদিন সোমবার। বনবিভাগের লোকেরা এসে হেলেনকে উদ্ধার করবে। হেলেন যেন তাদের কাছে কেঁদে কেটে বলে, সে গুণ্ডাদের হাতে পড়েছিল।
আচমকা ন্যাশ হেলেনের চোয়ালে একটা ঘুষি মেরে বসল। হেলেন ছিটকে পড়ল। বিস্ময়ে হতবাক হেলেন। তার চোয়ালে ভীষণ চোট লেগেছে।
–এভাবে আমাকে মারার অর্থ কি? হেলেন বলে।
বাঃ, তোমাকে দেখাতে হবে না, গুণ্ডারা তোমাকে মারধোর করেছে এবং তুমি ধর্ষিতাও।
–এখন তুমি আমাকে ধর্ষণ করবে নাকি?
-ইচ্ছে তো আছে। কথা শেষ করেই ন্যাশ হেলেনকে আবার একটা ঘুষি মারে। এবারের ঘূষিটা একটু জোর হয়ে গেছে। আসলে সে এখন ভীষণ উত্তেজিত।
হেলেন জ্ঞান হারিয়ে মেঝেতে লুটিয়ে পড়ল, ঠোঁট কেটে রক্ত ঝরছে। ন্যাশ এটাই চাইছিল।
এরপর ন্যাশ অচৈতন্য হেলেনের দেহটা তুলে ধরে ওর চুলগুলো এলোমেলো করে দেয়। ওর স্কাটা খুলে ওর মুখটা বাঁধলো। ফ্রকটা কয়েক জায়গায় ছিড়লো। হেলেনের প্যান্টিটা ছিঁড়ে ছুঁড়ে ফেলে দিল।
যদিও তাকে ধর্ষণের মানসিকতা এখন ন্যাশের নেই, তবুও সে সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে অচৈতন্য হেলেনকে মিনিট খানেকের জন্য ধর্ষণ করেই পোষাক পরে নেয়।
এরপর কুঁড়ে থেকে বেরিয়ে এল। আগেই স্যুটকেসে ডেসটারের পোশাকগুলো ভরে নিয়েছে।
রোলস-টা অন্ধকার গলিতে ফেলে রেখে স্যুটকেশ হাতে বাসস্ট্যাণ্ডের দিকে এগিয়ে যায়। মাথায় চিরুনি বুলিয়ে খানিকটা ভদ্রস্থ হয়ে নিল সে।
বাস ডিপোয় গিয়ে ম্যানেজারের সঙ্গে দেখা করে, নমোন্যাল চার্জ দিয়ে, মিথ্যে পরিচয় দিয়ে ন্যাশ স্যুটকেসটা জমা করে দিলো। আগের রাতের বুইক-টায় সে চড়ে বসল। এরপর সে খানিকটা নিশ্চিন্ত হয়ে ঘরে ফিরল। ইন্টারকমটা বেজে উঠল।
ফোনে জুলিয়ান বলে উঠল, দরজা খুলে দাও।
-হ্যাঁ, এখুনি যাচ্ছি।
তারপর ন্যাশ এসে দরজাটা খুলে জুলিয়ানকে খুশী করার জন্যে ভীষণভাবে আদর করতে লাগল।
এরপর জুলিয়ান বলল, এখন পর্যন্ত হেলেন কোন ফোন করেনি।
-হেলেন ফোন করেনি? ন্যাশ অবাক হবার ভান করে।
–আমি স্যানটোরিয়ামে ফোন কোরেছিলাম, ওরা জানালো, এখনও পর্যন্ত ও নামে কেউ আসেনি। আমার যেন কেমন ভয় করছে।
–ভয়ের কি আছে?
–না, মনটা কু-ডাকছে। তুমি পুলিশে একটা ফোন করো। কেমন যেন গোলমেলে লাগছে।