সেরকম কিছু খুঁজে পাইনি, তবে মনে হয় এই জায়গাটা সম্পর্কে একটা বদনাম বহুবছর থেকেই ছিল। সত্যি সত্যি হয়তো কেউ মনে করতে পারে। কিন্তু ঘটনাটি হয়ত গল্পের মতো–তুমি তোমার ঠাকুরমার মুখ থেকে শুনে থাকবে।
ট্রুপেন্স বলল, আচ্ছা তোমার ঐ বুড়ো মন্টি প্রকৃতই তোমাকে কি বলেছে?
কোন চিঠিপত্র বা গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র। টমি বলল, এমন কিছু যা কোন রাজনৈতিক জটিলতা সৃষ্টি করেছিল। কেউ একজন ক্ষমতায় ছিল। আর এমন কেউ ছিল যার ক্ষমতায় থাকা উচিত ছিল না। ঐ চিঠি বা কাগজপত্রগুলো বা ঐ ধরনের কোন জিনিষ যা প্রকাশিত হলে নিশ্চিত বিপদ। সবকিছুই অনেক বছর আগের ব্যাপার।
ট্রুপেন্স বলল, শুনতে খুবই অদ্ভুত লাগছে? এটা মেরী জর্ডনের সময়? ট্রুপেন্স বললো ট্রেনে ফেরার পথে তুমি নিশ্চয় ঘুমিয়ে পড়ে এসব স্বপ্ন দেখছিলে?
টমি এই ব্যাপারটা স্বীকার করে নিয়ে বলল, হয়তো সেটাই হবে।
টমি বলল, আমরা যখন এখানে বসবাস করি। তখন আমাদের বাড়ির চারিপাশটা খুঁজে দেখতে হবে।
ওর চোখদুটি দিয়ে সারা ঘর দেখল।
আমার কিন্তু তেমন কিছু মনে হয় না, যে এখানে তেমন কিছু লুকানো আছে। টমি তোমার কি মনে হয়।
এখানে বহুলোক বাস করে গেছে। এটা তেমন কোন বাড়ি না যে এখানে তেমন কোন কিছু লুকিয়ে রাখা যেতে পারে।
একটার পর একটা পরিবার থেকেছে? হয়তো চিলাঘরে কিংবা ভূগর্ভস্থ ঘরটাতে কিছু হয়ত থাকতেও পারে। হয়তো বাড়ির মেঝের তলায় কিছু পোঁতা থাকতে পারে।
তবে কোন অনাবিষ্কৃত বস্তু এখানে থাকতে পারে বলে মনে হয় না। টমি বলল।
এভাবে নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যায় না। যেমন কোথাও কোন বাক্সে হয়তো নোট থাকতে পারে।
এটা প্রায় অসম্ভব জায়গা, টমি মন্তব্য করল। তবে সব ব্যাপারেই আমাদের সতর্ক থাকা উচিত। পরে কোন একটি প্রসঙ্গে সে বলল, তাহলে তুমি বলতে চাইছ কেউ একজন মেরী জর্ডনকে খুন করেছিল?
মহিলাটি কিছু জানতেন। ট্রুপেন্স বলল। আমাদের মধ্যে কেউ…কথাটা মনে আসা মাত্রই ট্রুপেন্সের মুখমণ্ডল উজ্জ্বল হয়ে উঠল। এই আমাদের শব্দটা সে জোর দিয়ে উচ্চারণ করল। আমাদের এখন এই আমাদের ব্যাপারে পুঙ্খানুপুঙ্খ থাকতে হবে। আমাদের অতীতে ফিরে যেতে হবে ঘটনাটির সমাধান করতে। আমরা এই ব্যাপারটি আগে চিন্তার মধ্যে আনিনি।
ট্রুপেন্সকে দেখতে পেয়েই টমি জিজ্ঞাসা করল, বলি তুমি কোন চুলোয় ছিলে?
উত্তরে ট্রুপেন্স বলল যে সে ভূগর্ভস্থ ঘরটায় গিয়েছিল।
হ্যাঁ সেটা তোমায় দেখে বোঝা যাচ্ছে, টমি বলল। জানো কি তোমার গোটা মাথাটায় মাকড়সার জালে ভরে গেছে?
ট্রুপেন্স স্বীকার করে নিল যে এই ঘরটি মাকড়সার জালে ভর্তি।
ট্রুপেন্স জানালো দ্যাখো কোন একটা জায়গা থেকে শুরু করতে হবে। হতে পারে এই বুড়ো লোকটা যা বলেছে তা ঠিকই। সত্যিই হয়তো এই বাড়ির কোথাও কিছু লুকানো আছে। যদিও সেটা চিন্তা-ভাবনা করে বার করা মুশকিল।
এই বাড়িতে লুকানোর জন্য একটা জায়গা হতে পারে তাহল স্যাথিলজেজের পেট, একটা কাঠের ঘোড়া। এরই মধ্যে কিছু লুকানো আছে।
ট্রুপেন্স স্বীকার করল যে, হ্যাঁ এটি কোনকিছু লুকিয়ে রাখার পক্ষে একটা আসল জায়গা বটে।
দ্বিতীয় জায়গাটি হল ট্রলাভ। সে ট্রলাভ পরীক্ষা করে দেখেছে সেখানেও কিছু পায়নি। আর বই-এর তাকগুলো এবং বইগুলোও কোন কিছু লুকিয়ে রাখার পক্ষে খুব ভালো জায়গা। আর উপরের বই রাখার ঘরটাও ভালো করে দেখা হয়ে ওঠেনি।
আসবাবপত্রগুলিতে গোপন জিনিষ রাখার জন্য অসংখ্য গুপ্তস্থান থাকে।
তেমন কোন সুযোগ নেই। কারণ যেসব আসবাবপত্র রয়েছে তারা প্রায় সঙ্গে এনেছে। শেষে ট্রুপেন্স বলল, পুরানো দিনের জিনিষ বলতে এই (KK) নামটি পুরানো জীর্ণ খেলনা আর বাগানের সীটগুলো।
যারা এখানে ছিল হয় তারা সেসব আসবাপপত্র সমেত অনেক জিনিষ সঙ্গে নিয়ে গেছে নয় বিক্রি করে দিয়েছে। অনেক লোকই এখানে থেকে গেছে। সেই পারকিনসন পরিবারের থেকে।
একটু পরে কি ভেবে ট্রুপেন্স বলল ঐ জন্ম দিনের বইটি থেকে উইনিফ্রেড মরিসন নামে কোন ব্যক্তির উল্লেখ রয়েছে।
মিসেস গ্রিফিন কোন কুমারীর নাম। ঐ মহিলাটি অনেককিছু জানে বলেই আমার মনে হয়। ওনার কাছে যেতে পারি।
টমির পরের সাক্ষাৎকারটি টিটনথমি কোর্ট রোডে।
প্রথমে টমি অন্যান্য কয়েকটি বিষয়ে কথা বলল বুড়ো লোকটির সঙ্গে। লোকটি ওর পরিচিতই। একসময় ও ওকে বলল, আমি তোমাকে কয়েকটা ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করতে চাই।
ঠিক আছে জিজ্ঞাসা কর। খুব শান্ত ভাবে জীবনযাপন করছি। তারপর বলল, সাজারি মানবিকে তোমার মনে আছে।
অবশ্যই আমার তাকে মনে আছে।
সত্যি কথা বলতে কি ব্যাপারটি এতদিন আগেরকার যে আমি কিছুই মনে করতে পারছি না। সেই সময় ব্যাপারটা রীতিমত আলোড়ন তুলেছিল। নৌবাহিনীর অফিসার সমস্ত সন্দেহের উর্ধে ছিল। ঘুষ দেওয়ার ব্যাপারটায় আমি ঠিক এখন স্মরণ করতে পারছি না। ঘুষটা কে দিত?
ওদের মধ্যে একজন মহিলাও এসবের সঙ্গে ছিল। টমি জানালো।
আমার মনে হয় এই ব্যাপারে মেরী জর্ডন নামে এক মহিলার নাম কিছুটা শুনেছিলাম। সম্ভবত মহিলাটি ঐ নৌবাহিনীর অফিসার জির স্ত্রীর ছিল। সেই সময় এইরকম কিছু একটা ঘটেছিল। সব ব্যাপারগুলি এমন হয়েছিল যে সমস্ত কিছুই একরকম মনে হয়। মনে হয় স্ত্রীটি পয়সা কামাবার জন্যই এটা করেছিল।