ঠিক এই মুহূর্তে নয়। ও আর ক্লারেন্স আমাদের কাজে যুক্ত হতে চায়। অনুসন্ধান করবার কাজে এবং নতুন কিছু জানতে পারলে আমাদের জানাবার জন্য।
এই বয়েসের ছেলেমেয়েরা আমাদের কি ভাবে সাহায্য করবে? হেনরি ছেলেটা সত্যিই কি বলেছে তা আমাকে বলো?
আমাদের না জানা অনেক ব্যাপারই ওরা জানে। তাছাড়া ওরা অনেক শোনা কথা বলছিল।
কার থেকে ওরা শুনেছে। টমি বলল সরাসরি ওরা কারুর কাছ থেকে শোনেনি। লোকের মুখ থেকে আসা কোন কথা।
ট্রুপেন্স বলল, একটু চুপ করে থেকে বলল, ওরা এই ঘটনা নির্দিষ্ট কোন জায়গা বা গল্পে উল্লিখিত হতে শুনেছে, আমাদের এখানে এসে আমাদের এই ব্যাপারে সাহায্য করার ব্যাপারে খুবই উৎসাহিত তারা।
কি ব্যাপারে, টমি জিজ্ঞাসা করল, গুরুত্বপূর্ণ কিছু খুঁজে বের করার ব্যাপারে। এমন কোন জিনিষ যা এখানে লুকানো আছে বলে সুনিশ্চিত।
ওহো! লুকানো লুকানো, কিন্তু কোথায়, কেমন ভাবে এবং কখন? এই তিনটি ব্যাপারে অন্যরকম গল্প ট্রুপেন্স জানালো, কিন্তু সে খুবই উত্তেজনাকর তা তোমাকে স্বীকার করতে হবে।
এটির সঙ্গে বুড়ো আইজ্যাকের সম্পর্ক। ট্রুপেন্স জানালো, আমার তো মনে হয় আইজ্যাক অনেক কিছু জানত যা আমাদের ও বলতে পারেনি।
কিছুক্ষণ চুপ করে থাকার পর টমি বলল, মেরী জর্ডন নামে মহিলাটি স্বাভাবিক ভাবে মারা যায়নি।
ট্রুপেন্স হ্যাঁ বলে বলল, বুড়ো আইজ্যাকও খুন হল, আমাদের অতি অবশ্যই খুঁজে বের করতে হবে কে তাকে খুন করল এবং কেন তাকে খুন করল।
ট্রুপেন্সকে টমি বলল তোমাকে সতর্ক থাকতে হবে। আইজ্যাক যদি কিছু জেনে থাকে সেই ব্যাপারটা যাতে কেউ না জানে বা কাউকে বলতে না পারে তার জন্য যদি কেউ খুন করে থাকে তাহলে জানবে তোমারও কপালে সেইরকম কিছু লেখা রয়েছে।
ট্রুপেন্স বলল, তাহলে আমি কি সাথে একটা পিস্তল রাখব?
টমি বলল, তা না, তখন ট্রুপেন্স বলল, তোমার ধারণা আমি ভুলবশতঃ কোন দুর্ঘটনা করে ফেলি সেই ভয় তোমার। যদি তাই হয় তাহলে কি সঙ্গে একটা ছুরি রাখব।
আমাদের সঙ্গে কিছু রাখবার দরকার নেই। আমরা নির্বিঘ্নে ঘুরে বেড়াবো। এমন একটা ভাব দেখাবো যেন আমরা এখানে থাকব কি না ঠিক নেই। এমনও হতে পারে অন্য কোন বাড়ি কিনে চলে যাব।
***
২. পরের দিন হেনরী
পরের দিন হেনরী কিছু ছেলে এবং ক্লারেন্সকে নিয়ে হাজির হল। ওদের সঙ্গে বাগানে এসে ঘুরতে ঘুরতে অনেক কথা হল। হেনরী বলল, আপনি কি যেতে পারেন সেখানে পিপিসিতে যেখানে অনেক বৃদ্ধলোক আছে যারা আপনাকে সেই সময়কার নানা ঘটনার কথা বলতে পারে।
ট্রুপেন্স পিপিসি শব্দটি কি জানতে চাইল। তখন সেটির পুরো অর্থ করে বুঝিয়ে দিল। অর্থাৎ-পেনসনার্স; প্যালেস ক্লাব। ট্রুপেন্স বিশ্বাস করতে পারল না যে, এইরকম একটা ক্লাব থাকতে পারে। তবুও তাদের বলে দিল সেদিনই বিকেলে নিয়ে যাবার জন্য। ট্রুপেন্স অ্যালবার্টকে ক্লাবটির কোন অস্তিত্ব আছে কি না সেটা জিজ্ঞাসা করল।
ওখানে বুড়ো পেনসনাররা থাকে। জায়গাটা খুব একটা বেশী দূর নয়, গ্রামেরই প্রান্তে।
সেই দিনই বিকেলে ট্রুপেন্স ছেলেগুলোকে সঙ্গে নিয়ে পেনসনের প্যালেস ক্লাবে গেল। কিন্তু সেখানে গিয়ে তেমন কোন সুবিধা হল না। সেখানকার বৃদ্ধ মানুষদের সঙ্গে অনেক কথাবার্তা হল কিন্তু কাজের কথা হল না। সবই প্রায় অপ্রাসঙ্গিক।
বাড়ি ফিরে আসতেই টমি বলল, তোমাকে প্রচণ্ড ক্লান্ত মনে হচ্ছে। কি করছিলে যার জন্য এই রকম লাগছে? তোমাকে তো বিধ্বস্তও মনে হচ্ছে?
কোন রকম কায়দা বা ভণিতা না করে ট্রুপেন্স বলল, পিপিসি কি জানো?
টমি বলল, এটার নাম তো আমি কোনদিন শুনিনি। তখন ট্রুপেন্স হেনরীদের সঙ্গে সেদিন বিকেলে যে পেনসনার্স প্যালেস ক্লাবে গিয়েছিল সেটি বলল।
ট্রুপেন্স বলল, সেখানে একই সঙ্গে ছজন বুড়ো কথা বলছিল। ঠিক বোঝা যাচ্ছিল না তারা কি বলতে চাইছে। বেশীরভাগ লোকই ঠিকমত কথা বলতে পারছিল না। তারা এক এক জন এক এক ধরনের কথা বলছিল। তবে মনে হচ্ছে ওদের কথা শুনে, কোন একটা ব্যাপারে অনেক গল্পকথা প্রচলিত আছে। এখন কোন ঘটনা যেটির গোপনীয়তা ১৯১৪ সালের যুদ্ধের সঙ্গে সম্পর্কিত। কিংবা ধরা যাক তারও আগে।
এর অনেককিছু আমরা আগেই জেনেছি। কিন্তু এত সব গল্পকথার মধ্যে কোনটা সঠিক বলে তুমি ধরে নেবে?
হ্যাঁ, সত্য তো একটা থাকবেই। তার মধ্যে থেকেই আমাদের খুঁজে বার করতে হবে।
আমরা জানি না আমরা কি করব। তবে আমরা আজ একটু সাহায্য পেয়েছি।
সেটা কি? সেটা হল আদমসুমারি।
কি বললে, আদমসুমারি।
বিশেষ একটা বছরে জনসংখ্যার একটা হিসাব আছে। সেটার একটা লিখিত হিসাব ছিল। আমি সেটা পেয়েছি। আর এই বাড়িটাতে অনেক লোক বাস করে গেছে, পারকিনসন পরিবার সমেত।
তুমি কিভাবে সমস্ত কিছু খুঁজে পেলে। মিস কলডনের সাহায্যে সন্ধানের নানা পদ্ধতিতে, ট্রুপেন্স বলল। একজন কেউ লিখে রেখে গিয়েছিল। তবে মনে হয় এই বাড়িতে বসবাস করত তাদের মধ্যে কেউ একজন। সেইজন্য আদমসুমারির রেজিস্ট্রারে একটু চোখ বুলিয়ে নিয়েছিলাম, এই বাড়িতে কেউ রাত কাটালে এই ব্যাপারটা পরিষ্কার হয়ে যাবে। আমার ঠিক চেনা নেই। কিন্তু আমার জানাশোনা লোকজনের মাধ্যমেই তাদের চিনে নিতে পারি। সেইজন্য শব্দটা যতটা সম্ভব নামের তালিকা তৈরী করে ফেলি। পরিকল্পনা ভালোই, ট্রুপেন্স জানালো।