মেরি বললেন এসব তার দ্বিতীয় পত্নীর দোষ। সে একজন স্ত্রীকে ত্যাগ করতে সাহায্য করেছে আবার সেই স্ত্রীকে মুখের উপর অপমান করতে চায়।
মেরী জানাল একজন ভদ্রলোক তাদের সঙ্গে আসছে। এটা শুনে তিনি অত্যন্ত বিরক্ত হয়ে বললেন বিয়ের আগে কোর পেছনে ঘুরত সে এখনও তার পেছন ছাড়েনি। নেহাত লেভিলের মত ভদ্র ছেলে বলে এসব করছে।
মেরীর বক্তব্য সে আসতে চাইলে তাকে বারণ করা যায় না। তাছাড়া সে হোটেলে থাকবে। তাই শুনে ক্যামিলিয়া বললেন, তিনি আর কাউকে নেমন্তন্ন করবেন না। তিনি লেভিলের কথা বললেন বেহায়া একটা মেয়ের পাল্লায় পড়ে যে অড্রের মত বউকে ত্যাগ করতে পারেন, তার মুখ তিনি দেখতে চান না।
লেভি ট্রেসিলিয়ানের সামনে জানালা তার সামনে হোটেল, সেখানে হৈচৈ হল্লা, এই নিভৃত সুন্দর প্রাচীর পরিবেশে এই বাড়িটা মোটেও খাপ খায় না। বাড়িটা একটা ভয়ঙ্কর ইন্দ্রপতনের মত। ক্যামিলিয়া বললেন তিনি কি লেভিলকে আসতে নিষেধ করে দেবেন।
অড্রে আসতে মেরী বললেন যে অড্রের নাকি এতে আপত্তি নেই। লেভিদের সঙ্গে তার এই ব্যাপারে কথা হয়েছে। কো এখানে এলে নাকি খুশিই হবে।
আসলে লেভিল অড্রেকে ত্যাগ করে অস্বস্তিতে আছে। সে তার বিবেক দংশনে ভুগছে। সে তার ক্ষমতা পেতে চায়। তাই ইচ্ছে করেই এমন সময় আসছে যখন কিনা অড্রে এখানে থাকবে।
মেরী বললো, এগুলো আসলে কোর কারসাজি। সে অড্রেকে দগ্ধে মারতে চায়।
লেভি ট্রেসিলিয়ান বললেন বিয়ের পরে যারা পুরুষ বন্ধু নিয়ে ঘুরে বেড়ায়; তাদের পক্ষে সবই সম্ভব। এরজন্য লেভিলকে পস্তাতে হবে।
.
২৯শে মে
মালয়ীচাকরটা সব বাঁধাছাদা করে দিচ্ছে, টমাস রয়েড সেদিকে তাকিয়ে বসে ছিল। সে ইংল্যাণ্ডে যাবে। অ্যালেন ট্রেক তার বাংলোয় এসে ঢুকল। টমাসের দিকে তাকিয়ে বললো যাচ্ছ তাহলে। টমাস সাত বছর পর তার দেশে যাচ্ছে। সে কারো সাথে কথা বলে না, চাপা স্বভাবের। গতবার তার এক দাদার মৃত্যু হলেও সে দেশে যায়নি, যার সঙ্গে তার প্রকৃতিগত মিল ছিল না। তার মা বেঁচে আছেন। টমাসের কোন বোন নেই। দূর সম্পর্কের আত্মীয়া আছে, বাবা মা মারা যেতে তার বাড়িতেই মানুষ হয়েছিল। যার স্বামী ছিলেন লেভিল, যিনি বিখ্যাত খেলোয়াড় তিনি সেপ্টেম্বরে মাসে ক্রীনে যেতে চান, তিনি ওখানে এক পরিচিতা মহিলার সঙ্গে দেখা করবেন। অ্যালেন তাকে ব্যলমোরান কোর্টে থাকার পরামর্শ দিল।
.
২৯শে জুন
বৃদ্ধ সলিসিটার মিঃ ট্রিভসকে ব্যারিস্টার রুফার্স লর্ড ব্যালমোরাল কোর্টে থাকতে বললেন। যেখানে রজাম নামে এক ব্যক্তির বউ রান্নার কাজ করে, যা অত্যন্ত উপাদেয়।
রুফার্স লর্ড বললেন, সেপ্টেম্বর মাসে হোটেলে ঘর মিলবে এ আশ্বাস দিলেন। ভদ্রলোক নিজের শরীর সারাতে ওখানে যাবেন। সেখানে গেলে পুরনো বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে দেখা হবে। স্যর ম্যাথুর বিধবা স্ত্রী এখন সেখানে থাকেন। এবারে গিয়ে লেভি ট্রেসিলিয়ানের সঙ্গে দেখা করা হবে। তিনি তো তার বন্ধুর বাড়িতে থাকতে পারতেন! লেভি ট্রেসিলিয়ান যদি জানতে পারেন যে তিনি সস্ত্রীক এখানে আছে তাহলে মাঝে মাঝে ওখানে নেমন্তন্ন করে খাওয়াবেন। রজাসক ট্রিভস বললেন যে, তার জন্য যেন ব্যালমোরাল কোর্টে ঘর ভাড়া করা হয়।
.
২৮শে জুলাই
কো ও ট্রেড খেলা দেখছিল। মেরীক আর লেভিলের সেমি ফাইনাল খেলা। মেরীক তরুণ। কে জিতবে এই খেলায় বলা শক্ত। তিন সেটের খেলা। প্রথম দুটি সেটের একটি জিতেছে লেভিল। অন্যটি মেরীক। এখন তৃতীয় সেটের খেলা চলছে হঠাৎ ট্রেড নামক বন্ধুর প্রবেশ ঘটল। যে তার কুমারী জীবনের বন্ধু।
ওদিকে দুজনের খেলাই জমে উঠছে। শেষ পর্যন্ত সেট হারল লেভিল, জিতল মেরীক, লেভিল হারার পরে কোকে জড়িয়ে ধরল। সে সত্যিই যে একজন খেলোয়াড় তাই তার প্রমাণ। খেলা সেরে লেভিল তার স্ত্রীকে ট্রেডের কথা জিজ্ঞাসা করল।
কো বললো, ট্রেড-কে সে হিংসে করে, ট্রেড কি তাকে হিংসা করে না? কেননা সে মনে করে তিনি তার স্বামী, এককালে তার সঙ্গে তার বন্ধুত্বের সম্পর্কে ছিল, কিন্তু আজও সে তার বন্ধু।
.
১০ই আগস্ট
লর্ড কর্নেলকে যারা চেনেন তারা বললেন, লোকটি ভালো কিন্তু খামখেয়ালী, তবে তিনি আদর্শবাদী। এহেন মানুষটি অফিস কামরায় বসেছিলেন। তিনি ভাবছিলেন দক্ষিণ আমেরিকায় তার ব্যবসা দেখাশুনা করার জন্য একজন লোক দরকার। সেক্রেটারী একটা স্লিপ রাখল। মার্ক হোয়াটার নামের একজন ব্যক্তি। তিনি এই নামে কাউকে চেনেন না।
একটু বাদে মার্কহোয়াটার ঘরে ঢুকলেন। তাকে কয়েকটি প্রশ্ন করলেন কর্নেল। জিজ্ঞাসা করলেন তিনি কি হার্বাট ক্লে কারখানায় কাজ করতেন, সে সম্মতি জানাল।
সে বললো সে মিথ্যে সাক্ষ্য দেয়নি বলে তার চাকরী গেছে। সে মিথ্যা কথা বললো।
লর্ড কর্নেল বলেন, যে তার একটা ব্যবসা আছে। দক্ষিণ আমেরিকায়, সেখানে তিনি তার ম্যানেজার করে তাকে পাঠাতে চান, অতঃপর কিছু কথাবার্তা হল এবং তারপর কর্নেল চলে গেলেন। মার্ক হোয়াটারের পকেটে তখন নতুন চাকরীর কাগজপত্র; ব্যাপারটা তার কাছে স্বপ্নের মত ঘটে গেল। সে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে যাবে বলে কথা দিল। তার শরীর এখনও সুস্থ হয়নি। সে সেপ্টেম্বরে কোন নির্জন জায়গায় গিয়ে বিশ্রাম নেবে। লর্ড কর্নেল তাকে কিছু টাকা দিলেন। সে কোথায় যাবে এখনও ঠিক করতে পারলো না।