অনেক সুযোগ থাকা সত্ত্বেও কিছু করতে পারেনি। জানি না কেন, মাথায় ঢুকে গেল, অপরাধের পথই সবচেয়ে সহজ পথ।
এরপর আমি অপরাধ আর অপরাধীদের নিয়ে প্রচুর পড়াশোনা করলাম। আমার মানসিকতার অদ্ভুত পরিবর্তন হল।
আইনবিদ হিসেবে সর্বোচ্চ পদ কিংবা একজন সফল রাজনীতিক হিসেবে দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়াটাও ক্ষমতার চূড়ান্ত বলে মনে হল না আমার। আমি চাইলাম এমন একজন হতে, যে হবে সর্বক্ষমতার অধীশ্বর–একনায়ক।
আমার ভবিষ্যতের পথ পরিষ্কার হয়ে গেল। আইনবহির্ভূত পথেই আমাকে দেশের সর্বসেরা হতে হবে।
আমি একই সঙ্গে দুটো জীবন গ্রহণ করলাম। একদিকে হয়ে উঠলাম দেশের সবার সেরা আইনবিদ, খ্যাতিমান কে. সি। এটা ছিল আমার বাইরের খোলসমাত্র।
কোনো ছদ্মবেশ, নকল দাড়ি গোঁফের তোয়াক্কা করলাম না। কেবল ব্যক্তিত্ব পাল্টে নাম নিলাম মিঃ ব্রাউন। শুরু হল আমার দ্বৈত জীবন।
সমধর্মীদের রক্ষা করবার জন্য আমি অপরাধীদের হয়ে মামলা লড়তাম। সফলতা ছিল আমার হাতের মুঠোয়।
যুদ্ধের সময় আমার লক্ষ্যপূরণ করব স্থির করলাম। জার্মানদের গুপ্তচর পদ্ধতি আমাকে আকৃষ্ট করল।…
…আমার মতলব সুন্দর কাজ করছে…একটা মেয়ে জড়িয়ে পড়েছে। তবে সে কিছুই জানে মনে হলো না। কিন্তু কোনো ঝুঁকি নেওয়া চলবে না…এস্থোনিয়া বন্ধ করতে হবে…
..মেয়েটার স্মৃতিভ্রংশ ঘটেছে…না, এটা ধাপ্পা নয় মোটে।…আমার চোখকে ফাঁকি দেওয়া কোনো মেয়ের সম্ভব নয়।
এই পর্যন্ত পড়া হলে মিঃ কার্টার থামলেন। বললেন, আর একটু আপনাদের পড়ে শোনাচ্ছি।
…মেয়েটার বিশ্বাস অর্জন করতে পেরেছি। তবে মেয়েটা বিপজ্জনক। তার সহজাত প্রবৃত্তি আমাকে বিপদে ফেলতে পারে।…ওকে শেষ করে দেওয়াই নিরাপদ। আমেরিকান ছোকরা আমাকে অপছন্দ করে…সন্দেহ করে।
তবে কিছুই জানতে পারবে না। অন্য ছেলেটিও কোনো কোনো ক্ষেত্রে বুদ্ধির পরিচয় দিচ্ছে…তাকেও নজরে রাখা উচিত…
নোটবই বন্ধ করে মিঃ কার্টার বললেন, বিপথগামী প্রতিভা–এছাড়া আর কি বলা যায়। অমন বিরাট মানুষ। তবে তাকেও টেক্কা দিল আমাদের দুই তরুণ অ্যাডভেঞ্চারার। সাফল্যের জন্য তাদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
সকলেই সমস্বরে মিঃ কার্টারকে সমর্থন জানাল।