তা-ই করব আমি, বলল মিলহিজার।
আমিও, তাড়াতাড়ি বলল আয়োলা মর্টন।
তা হলে তো আর কথাই থাকে না, বললেন ইয়ান ফ্লেচার। এই কেস সড় হয়ে গেল। অফিসারদের ইশারা করলেন তিনি। কুকুর গুনে দেখো সবগুলো আছে কি না। ওগুলো ওগুলোর মালিকদের ফেরত দিতে হবে।
আমাদের টাকা আছে নিক মিলহিজারের কাছে, বলল কিশোর। এক হাজার ডলার।
সার্চ করা হলো মিলহিজারকে, টাকাগুলো পেয়ে কিশোরের হাতে তুলে দিলেন চিফ ইয়ান ফ্লেচার।
পরস্পরের দিকে তাকাল তিন গোয়েন্দা। ক্লান্তিতে শরীর ভেঙে আসছে ওদের। পুলিশ চিফের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বেরিয়ে এসে রাফিয়ান সহ রবিনের ফোক্সওয়াগেনে উঠল ওরা, রবিন ওদের নিয়ে। চলল স্যালভিজ ইয়ার্ডে।
.
ওরা পৌঁছে মুখ-হাত ধুয়ে মাত্র নাস্তা নিয়ে বসেছে, এমন সময় কলিং বেল বেজে উঠল। দরজা খুলল কিশোর। শ্যারন দাঁড়িয়ে আছে শুকনো মুখে। ওর পাশেই হাস্যোজ্জ্বল জিনা। কিশোরের বুঝতে দেরি হলো না, নিজে রাফিয়ানের নিখোঁজ সংবাদ না দিয়ে জিনাকে সঙ্গে করে এনেছে
শ্যারন, যাতে ওকে জিনার রাগ সামলাতে না হয়।
ইশ, মনে হচ্ছে রাফিয়ানকে কতোদিন দেখি না, কিশোর সরে দাঁড়াতেই ঘরের ভিতর ঢুকল জিনা। রাফিয়ান কোনও শয়তানি করেনি শ্যারন অসহায় দষ্টিতে কিশোরের দিকে তাকাল।
মুচকি হেসে কিশোর বলল, এক ফোঁটাও না। ও আছে তা প্রায় টেরই পাইনি আমরা! শ্যারনের দিকে ফিরল কিশোর। এখন বিশেষ কারণে আমার মনে হচ্ছে মিস্টার লেবউফ লজ্জা পাবেন তোমাকে চাকরি থেকে ছুটিয়ে দিয়েছেন বলে। তিনি যদি অনুরোধ করেন, তা হলে আবার তুমি ওই মোটেলে চাকরিটা নেবে?
অসম্ভব! বলল শ্যারন। ভদ্রলোক শেষদিকে খুব খারাপ ব্যবহার করতেন। রাফিয়ানের কারণে তখন তখনই চাকরি ছাড়তে পারিনি।
কী বলছ এসব? জিজ্ঞেস করল জিনা।
বলার মতো কিছু নয়, হালকা চালে বলল কিশোর।
এ কদিনে কী ঘটেছে জানতে হলে রবিনের নথি পড়তে হবে। জিনাকে। কিন্তু সেটা কি পড়তে দেবে রবিন? তা হলে জিনা জেনে যাবে ওকে আর কিশোরকে কুকুরের খাঁচায় বাস করতে হয়েছিল!