দ্বীপান্তর নয়, পাহাড়ান্তর, শুধরে দিল সিসি। পাহাড়ঘেরা দেশ তো।
হ্যাঁ, পাহাড়ান্তর, মাথা ঝাঁকাল কিশোর। হাসল। সম্পূর্ণ ভিন্ন। অচেনা পরিবেশে এত সহজে সিসি মানিয়ে নিতে পারায় খুশি হয়েছে সে। যা বলছিলাম। আমাকে বন্দি করে তারপর তোমাদের তুলে আনতে লোক পাঠিয়েছিল। আবার যদি তুলে আনার প্রয়োজন হয় আমাকে, যাতে সহজেই তুলে আনতে পারে, খোঁজাখুঁজি করা না লাগে, সে-জন্যে কোর্স অটো সেট করে রেখেছিল পাইলট। টিপে দিলেই যাতে পৌঁছে যেতে পারে কাচু পিকচুতে, তুলে নিয়ে আসতে পারে আমাকে।
এবং কাজটা সহজ করে দিল আমাদের, হাসল রিটা। খুব সহজেই জায়গামত পৌঁছে গিয়েছিলাম আমরা।
সহজ আর কই? ভুরু নাচাল কিশোর। আমাকে উদ্ধারের জন্যে যে কষ্ট তোমরা করেছ, যে ঝুঁকি নিয়েছ…বাপরে বাপ!…ভয়ঙ্কর সব রোবট দানবের সঙ্গে লড়াই!…
তা তো বুঝলাম, বাধা দিল মুসা। কিন্তু আবার তো সেখানেই ফিরে যাচ্ছি আমরা। নিশ্চয় মলের ভেতরে বা আশেপাশেই কোথাও রয়েছে ওরা। গেলেই কাক করে ধরবে।
সেজন্যেই তো সেখানে যাওয়া চলবে না, কিশোর বলল। রকি বীচে নামাবে না স্পেস শিপ-যে বানিয়েছে সে এটার কি নাম রেখেছে, তা যখন জানি না, আপাতত এটাকে স্পেস শিপই বলব আমরা। রকি বীচের আশেপাশে যে কোন জঙলা কিংবা পাহাড়ী জায়গায় নামাবে, যেখানে মানুষজন তেমন যায় না, লুকিয়ে রাখা যায়।
রিটা বলল, সব প্রশ্নের জবাবই তো পাওয়া গেল, কিশোর, একটা প্রশ্নের জবাব আমি পাইনি এখনও।
ফিরে তাকাল কিশোর, কি?
আমি কে? আমিও কি রোবট?
এ কথা কেন মনে হলো তোমার!
ডক্টর মুনের রোবটগুলো আমাকে ডেলটাদের দলের লোক বলছিল। এই ডেলটারা কারা?
নিচের ঠোঁটে চিমটি কাটল কিশোর। ডেলটা! নামে তো রোবটই মনে হচ্ছে। তবে ওরা যা-ই হোক, আমাদের মতই ডক্টর মুনের শত্রু। সেজন্যেই ধরে নিয়ে যেতে এসেছিল তোমাকে।
তারমানে আমি আসলে কে, জানার কোন উপায় নেই?
থাকবে না কেন? গম্ভীর কণ্ঠে জবাব দিল কিশোর। রকি বীচে গিয়ে সুস্থির হয়ে নিই আগে, তারপর বেরোব ডেলটাদের খোঁজে।