প্রমাদ গুনল কিশোর। সবার সামনে এখন প্রেম না নিবেদন করে বসে। তাহলে ভীষণ লজ্জায় পড়তে হবে। কৌতূহলী চোখে অনেকেই তাকিয়ে রয়েছে ওর দিকে। পায়ে পায়ে এগিয়ে আসতে শুরু করেছে দুএকজন। কিশোর বলল, থ্যাংকস, মিরিনা। এখন তো আমার সময় নেই। পরে কথা বলব। তা কোথায় থাক তোমরা?
পোর্টল্যান্ডে।
চোখ মিটমিট করল কিশোর। ওরিগনের পোর্টল্যান্ড?
হ্যাঁ।
অনেক দূর…
অত দূরে যেতে হবে না তোমাকে! আরও কিছুদিন লস অ্যাঞ্জেলেসেই আদি আমরা। আর যদি মডেলিঙের কাজটা পেয়েই যাই, তাহলে তো এখানেই থাকতে হবে। দেখা করতে পারব…
ঘিরে ফেলছে ওদেরকে তরুণেরা। আর একটা মুহূর্তও এখানে নয়, ভাবছে কিশোর। বলল, পরে কথা বলব, ঠিক আছে? চলি, গুড বাই।
হলের বাইরে বেরিয়ে হাঁপ ছাড়ল গোয়েন্দাপ্রধান। বাপরে বাপ! বড়। বেঁচেছি!
তুমি যে কি কিশোর, বুঝি না, রবিন বলল। মেয়েদের সঙ্গে কথা বলতে গেলেই…
ওসব কথা থাক। কিশোরের দিকে হাত বাড়াল মুসা। আমার টাকাটা এখনই দিয়ে দাও। পরে ভুলে যাব।
চলো, গাড়িতে গিয়ে দেব, এলিভেটরের দিকে রওনা হলো কিশোর। এখানে বের করলে আবার কে কোনদিক দিয়ে ডাকাতি করে নেয়, ঠিক আছে।
আমাদের টাকা নিয়ে হজম করবে এতই সহজ? বুকে চাপড় দিয়ে বল মুসা, আমরা তিন গোয়েন্দা। মঙ্গল গ্রহে গিয়েও পার পাবে না ব্যাটা। ঠিক ধরে নিয়ে আসব।
তার কথায় হাসল রবিন আর কিশোর।
***