বৃহস্পতিবার, মে 15, 2025
  • Login
BnBoi.Com
No Result
View All Result
No Result
View All Result
BnBoi.Com
No Result
View All Result

জলকন্যা – রকিব হাসান

Jolkonna by Rakib Hasan

লোকে বলে ভূত আছে বাড়িটাতে, আগেও বলেছেন, আবার বললেন ডেজার। ভূতের কাছাকাছি বাস করতে পেরে যেন খুব খুশি তিনি। ওটা নাকি নিরম হল্যাণ্ডের প্রেতাত্মা।

একেবারে কাঠির মতো শুকনো তার শরীর, যোগ করলেন এমিনার। ভূতের কাছ থেকে নিশ্চয় ভাড়া পায় না ক্যাম্পার। অথচ তার মতো একটা লোক টাকা উপার্জনের চেষ্টা করছে না হোটেলটা থেকে, এটা বিশ্বাস হয় না। না ভাঙার নিশ্চয়। কোনো কারণ আছে।

কিন্তু কারণটা কি? নিজেকেই যেন প্রশ্ন করলো কিশোর। দামী জায়গা এখন এটা। সাগরের দিকে মুখ করা। চমৎকার হোটেল বানিয়ে প্রচুর টাকা ইনকাম করা যায়।

আসলে ক্যাম্পারটাকে বোঝাই মুশকিল, জোরে মাথা আঁকালেন মিস এমিনার। আজব লোক!

ওপর তলার জানালায় শিক নেই, কিশোর বললো। ভাবছি, ঢোকা যাবে। কিনা! এই বাড়িটার ছাতের ওপর দিয়ে যাওয়া যায়, চেষ্টা করলে।

অবাক হলো মুসা। কেন? দেখেই তো এলাম একবার।

নিরমা হল্যাণ্ডের ঘরটাতে ঢুকতে পারিনি, ভুলে গেছো?

ওটাতেই তো থাকে ভূত, সঙ্গে সঙ্গে বলে উঠলেন ডেজার। ওই জানালী গুলো দেখছো, উত্তর ধারে? ওটা নিরমা হল্যাণ্ডের ঘর। রাতের বেলা ওখানেই আলো দেখি মাঝে মাঝে।

ঘরের ভেতরের আলো না। যুক্তি দেখালেন মিস এমিনার, হয়তো বাইরের আলো এসে পড়ে জানালার কাঁচে, আপনার মনে হয়েছে ভেতরে জ্বলছে।

জবাব দিলেন না ডেজার, এড়িয়ে গেলেন। কিশোরকে বললেন, তোমরা যেতে চাইলে আমি সাহায্য করতে পারি। ক্যাম্পারের সঙ্গে কথা বলার ছুতোয় তাকে আটকে রাখবো, এই সুযোগে তোমরা গিয়ে ঢুকে দেখে আসতে পারো।

থ্যাংক ইউ, মিস্টার ডেজার।

আমি এখান থেকে চোখ রাখছি, মিস এমিনার বললেন। যদি এক ঘণ্টার মধ্যে না ফেরো তোমরা, মিস্টার ডেজার আর মিস্টার বোরম্যানকে পাঠাবো তোমাদের খুঁজতে।

উঠে বেরিয়ে গেলেন ডেজার। গ্যালারিতে গিয়ে ঢুকলেন। কথা বলতে শুরু করলেন ক্যাম্পারের সঙ্গে। চত্বরের দিকে পেছন ফিরে আছে ক্যাম্পার।

এসো, যাই, মুসাকে বললো কিশোর।

কাজটা কি ঠিক হচ্ছে? মুসার কণ্ঠে অস্বস্তি। যদি…যদি সত্যিই ভূত থেকে থাকে?

থাকবে না, কারণ, ভূত বলে কিছু নেই। এসো।

কিন্তু নিশ্চিন্ত হতে পারলো না মুসা। তবে আর প্রতিবাদও করলো না। মিস এমিনারের ঘরের পেছনের দরজা দিয়ে বেরিয়ে সিঁড়ির কাছে চলে এলো। ছাতে উঠে পেরিয়ে এলো মিস্টার ডেজারের ঘরের ছাত। সামনেই সরাইখানার দেয়াল। মাথা নিচু করে রইলো ওরা, যাতে গ্যালারি থেকে ক্যাম্পারের চোখে না পড়ে।

হাত থেকে উঁচুতে তিনতলার জানালা। তবে বেশি উঁচু নয়। উঁকি দিয়ে একবার দেখলো কিশোর, ক্যাম্পার আর ডেজার কথা বলছেন।

সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে একটা জানালার পাল্লায় ঠেলা দিলো মুসা। খুলে গেল ওটা। জানালা গলে ঢুকে পড়লো ঘরের ভেতর।

তিনতলার সমস্ত ঘরই একবার দেখে গেছে। আজ আর দেখার প্রয়োজন মনে। করলো না। সোজা এগোলো সিঁড়ির দিকে। নেমে এসে দাঁড়ালো প্রিন্সেস স্যুইটের। সামনে। নব ধরে মোচড় দিলো মুসা। ঘুরলো না। জানে লাভ হবে না, তবু কাঁধ দিয়ে ধাক্কা দিলো পাল্লায়।

আমরা রান্নাঘরের ওপরে রয়েছি, চিন্তিত ভঙ্গিতে বললো কিশোর। কিংবা ভাঁড়ারের ওপর। আর তিনতলার কোণের ঘরের নিচে রয়েছি, যেটা থেকে ডামব ওয়েইটার নেমে গেছে। হাসি ফুটলো মুখে। শ্যাফটটা নিশ্চয় প্রিন্সেস স্যুইটের ভেতর দিয়ে নেমেছে। এই দেয়ালটার ঠিক ওপাশে। ঘরে খাবার পাঠানোর জন্যে তৈরি হয়েছে ডামবওয়েইটার, নিশ্চয় বন্ধ থাকার কথা নয় সব জায়গায়। প্রতি তলাতেই ওটা থেকে বেরোনোর জায়গা আছে।

খাইছে! তাই তো!

তাড়াতাড়ি আবার তিনতলায় উঠে এলো ওরা। শ্যাফটের ছোট দরজাটা খুলে ভেতরে উঁকি দিলো কিশোর। অন্ধকার। বাড়িটা তৈরি করতে কাঠ লেগেছে, ওগুলোর মাথা অনেক জায়গায় বেরিয়ে রয়েছে শ্যাফটের ভেতর।

ধরে ধরে সহজেই নেমে যেতে পারবো, বললো মুসা। মইয়ের মতো।

নেমে যেতে আরম্ভ করলো সে।

ওপর থেকে দেখছে কিশোর।

বেশিক্ষণ লাগলো না, দোতলায় দরজাটা পেয়ে গেল মুসা। পা দিয়ে ঠেলতেই খুলে গেল পাল্লা। শূন্য একটা ঘরে ঢুকলো মুসা। ধুলোর ছড়াছড়ি সবখানে। দরজা। দিয়ে আবার মুখ বের করে ওপরে তাকিয়ে ডাকলো সে, এসো।

কিশোরও নেমে এলো। ঢুকলো নিমা হল্যাণ্ডের ঘরে।

ছোট একটা অ্যান্টিরুমে ঢুকেছে ওরা। পুরানো ধাচের একটা সুইং ডোরের। গায়ে বসানো ছোট কাঁচের ভেতর দিয়ে আলো আসছে।

বাকি ঘরগুলো ওপাশে আছে, ফিসফিসিয়ে কথা বলছে মুসা, ভয়ে ভয়ে। তাকালো এদিক ওদিক। যেন ভয় করছে এখুনি বেরিয়ে আসবে ভূতটা।

সুইং ডোরে ঠেলা দিলে কিশোর। ওপাশে তাকিয়েই হাঁ হয়ে গেল।

ধুলোর নামগন্ধও নেই ঘরটায়। অনেকদিন বদ্ধ থাকলে যেমন ভ্যাপসা গন্ধ থাকে বাতাসে, তেমন গন্ধও নেই। লুকানো কোনো ভেন্টিলেটর দিয়ে বাতাস এসে থিরথির করে কাঁপছে জানালার পর্দা। ভারি, সুন্দর পর্দা, দামী। ঘরে আলো খুব কম তবে কি আছে না আছে দেখতে অসুবিধে হয় না। সাইডবোর্ড আছে কয়েকটা। তাতে রয়েছে রুপার মোমদানী, রুপার নানারকম পানপাত্র। দেয়ালে ঝোলানো অসংখ্য সুন্দর সুন্দর ছবি।

এই যে,বললো একটা চাপা কণ্ঠ, এটা কেমন?

ভীষণ চমকে গেল মুসা। ধক করে উঠলো বুক। কিশোরের হাত আঁকড়ে প্রলো। ব্রড ক্যাম্পারের গলা।

Page 23 of 31
Prev1...222324...31Next
Previous Post

পোয়ারো ইনভেস্টিগেটস – আগাথা ক্রিস্টি

Next Post

ঢাকায় তিন গোয়েন্দা – রকিব হাসান

Next Post

ঢাকায় তিন গোয়েন্দা - রকিব হাসান

প্লেয়িং উইথ দ্য কার্ডস - আগাথা ক্রিস্টি

মন্তব্য করুন জবাব বাতিল

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

সাম্প্রতিক প্রকাশনাসমূহ

  • তিন গোয়েন্দা ভলিউম ১১৫: ভূমিকম্প – শামসুদ্দীন নওয়াব
  • তিন গোয়েন্দা ভলিউম ১১৮: বিভীষিকার প্রহর – রকিব হাসান
  • তিন গোয়েন্দা ভলিউম ১১৭: বড়দিনের ছুটি – রকিব হাসান
  • তিন গোয়েন্দা ভলিউম ১১৭: আলাস্কা অভিযান – রকিব হাসান
  • তিন গোয়েন্দা ভলিউম ১১৭: আমিই কিশোর – রকিব হাসান

বিভাগসমূহ

© 2023 BnBoi - All Right Reserved

No Result
View All Result

© 2023 BnBoi - All Right Reserved

Welcome Back!

Login to your account below

Forgotten Password?

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.

Log In