কিন্তু মুগামবির প্রিয়…, বলতে গিয়ে বাধা পেলো মুসা।
ও-ই তো প্রস্তাবটা দিয়েছিলো আমাকে, বললেন টমসন। তুমি যে সিমবাকে ভালোবেসে ফেলেছো, তোমাকেও কুকুরটা ভালোবেসেছে, এটা ওর নজর এড়ায়নি…
কিন্তু, তবু…
তুমি ওটা নাও, মুসা, এবার বাধা দিলো মুগামবি। না নিলেই বরং আমি। দুঃখ পাবো। বুনো কুকুর অনেক আছে এখানে, দরকার হলে সহজেই আরেকটা বাচ্চা আমি জোগাড় করে নিতে পারবো। জন্তুজানোয়ারের প্রতি তোমার। ভালোবাসায় আমি মুগ্ধ। তোমার মতো ছেলেরা যখন জন্মাচ্ছে, বুঝতে পারছি, সুদিন আসছে আফ্রিকার, চোখ মুছলো মাসাই-সর্দার। কিশোর, রবিন, তোমরাও জন্মভূমির গর্ব। শুধু যার যার দেশেরই নও, সারা দুনিয়ার গর্ব তোমরা। দোয়া করি, বখে যাওয়া কিশোররা তোমাদের দেখে শিখুক, ভালো হোক, মানুষ হোক…
তাজ্জব হয়ে গেল তিন গোয়েন্দা, অশিক্ষিত এক মাসাইয়ের দেশপ্রেম দেখে, নীতিবাক্য শুনে, অনেক বড় বড় শিক্ষিত মানুষও এভাবে গুছিয়ে বলতে পারবে না।
নরম কথা শুনলে মুসার চোখে পানি এসে যায়। এখনও তার ব্যতিক্রম হলো। না। আপনার জন্যেও গর্ববোধ করছি আমি, মিস্টার মুগামবি। থ্যাঙ্ক ইউ।
হাসি ফুটলো মাসাইয়ের কালো চোখের তারায়। সিমবার দিকে তাকালো, যা বাবা, ভালো থাকিস। বন্ধুর কথা শুনবি সব সময়, গোলমাল করবি না।
রবিন, কিশোরও মুগামবি আর টমসনকে ধন্যবাদ দিলো।
এই চিঠিটা নিয়ে যাও, কিশোরের হাতে একটা খাম দিলেন ওয়ারডেন। এয়ারপোর্ট ম্যানেজারকে দিও। স্টর্কটীকে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা তিনি। করবেন..আর হ্যাঁ, আমার ব্যানড়া সব সময় তোমাদের জন্যে খোলা রইলো। সুযোগ পেলেই বেড়াতে চলে এসো। যাও, উইশ ইউ গুড লাক।
সিমবাও যেন ভাবলো, গুড লাক জানানো দরকার নতুন মনিবকে। পেছন থেকে মুসার গাল, কান চেটে দিলো। হেসে উঠলো সবাই। তরল হয়ে গেল পরিবেশ। হাসিমুখে স্টর্কের এঞ্জিন স্টার্ট দিলো মুসা আমান।