সবচেয়ে বড় মার তার জন্যে, রবিন বলল, বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, এবারকার গ্যাসপার পুরস্কারটা তাকেই দেয়া হবে। কারণ, জনহিতকর অনেক বড় গবেষণা করছিল রেডম্যান। বেশি লোভ করতে গিয়ে সব দিক হারাল লোকটা।
হুঁ। ইউনিভারস্যাল ফেইলিং অভ ক্রিমিনালস, গম্ভীর হয়ে বললেন পরিচালক। সব অপরাধীই ভাবে, সে ধরা পড়বে না।…হাড়গুলোর কি
দুই সেটই রয়েছে শেরিফের অফিসে, কেবিনেটে তালাবন্ধ, বলল কিশোর। বিলের কেস পুরোপুরি শেষ না হওয়া পর্যন্ত থাকবে ওখানেই। ইতিমধ্যে গভর্নরের সঙ্গে দেখা করেছেন ডাক্তার হ্যারিসন। গভর্নরকে বুঝিয়েছেন, পুরো জায়গাটাকে রিজার্ভ এরিয়া ঘোষণা করার পরামর্শ দিয়েছেন। ওখানে আরও হাড় পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। মূল্যবান বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার হবে সেগুলো। ব্যাপারটা নিয়ে ভাবছেন গভর্নর।
ম্যাকম্বারের কি অবস্থা?
প্রায় পাগল। মাথায় চুল ছেঁড়া ছাড়া আর কিছুই করার নেই। তাকেও কোর্টে হাজির করিয়ে ছাড়তে পারত লিলি, কিন্তু ছোটবেলায় তাকে একটা আশ্রয় তো অন্তত দিয়েছে তারা, এই ভেবে আর উকিলের কাছে যায়নি। ইনসুরেন্সের টাকার কথা আর তোলেনি। তবে হলিউডের বাড়িটার দখল নিয়ে নিয়েছে সে। ভাড়াটেদের নোটিশ দিয়ে দিয়েছে। ওরা বাড়ি ছেড়ে চলে গেলে বাড়িটাকে গার্লস বোর্ডিং বানাবে লিলি। তার মতই যারা অনাথ, তাদেরকে জায়গা দেবে ওখানে, খুব সহজ শর্ত আর কম ভাড়ায়। নিজেও ওখানেই থেকে কলেজে পড়বে।
খুব ভাল আইডিয়া, মাথা নাড়লেন পরিচালক। খুব ভাল। আর। একটা প্রশ্ন। ফরমুলাটার কি হলো?
বিলের পকেটে ছিল। ধরা পড়ার পর চিবিয়ে খেয়ে ফেলেছে। তার কথা, সে যখন পেল না, আর কারও হাতে পড়তে দেবে না।
আহ্হা, গেল একটা মহামূল্যবান আবিষ্কার। তবে এক হিসেবে বোধহয় ভালই হলো। মানুষের উপকারে যেমন আসত, অপকারেও লাগানো যেত ওই ওষুধ। অনেকক্ষণ পর চেয়ারে হেলান দিলেন পরিচালক। মুসার দিকে চেয়ে বললেন, তারপর, মুসা আমান, তুমি তো একেবারে চুপ। কি ব্যাপার? খিদে পেয়েছে?
না, স্যার, নড়েচড়ে বসল মুসা। এমনি। ওরাই তো সব বলছে। আমি আর কি বলব…
তোমার টিন ছোঁড়াটা কিন্তু সময়মত হয়েছিল, মৃদু হাসলেন পরিচালক। নাহলে বিলকে ধরা হয়তো কঠিন হয়ে যেত। যাই হোক, চমৎকার এই কেসের সমাধান উপলক্ষে ফুটকেক আর আইসক্রীম হয়ে যেতে পারে, কি বলে?
না, স্যার, কি দরকার… মাথা চুলকে বলতে গিয়েও থেমে গেল মুসা। দরজা খুলে ঘরে ঢুকেছে বেয়ারা। দুই হাতে উঁচু হয়ে আছে। অনেকগুলো বাক্স। বুঝল, আগেই অর্ডার দিয়ে রেখেছেন মিস্টার ক্রিস্টোফার। হাসিতে ঝকঝকে সাদা দাঁত বেরিয়ে গেল সহকারী গোয়েন্দার। বলল, থ্যাংকিউ, স্যার, থ্যাংকিউ।
হাসিটা সংক্রমিত হলো সবার মাঝে।