হুম! আচ্ছা, ডক্টর জিহাভোর আসল পরিচয় জানা গেছে?
গেছে, স্যর, জবাব দিল মুসা। নাম্বার ওয়ান ক্রিমিনাল, আসল নাম হগ রিমার। চুরি, জালিয়াতি, বাটপাড়ি, পকেট মারা, সব ব্যাপারে ওস্তাদ। ভ্যারাড আর রড তার সহকারী, অনেক দিন থেকেই। সব কজনের নাম আছে পুলিশের খাতায়। মেকসিকো আর নিউ ইয়র্কের পুলিশ অনেক দিন থেকে খুঁজছে ওদের। টাকার জন্যে সব করতে পারে ব্যাটারা, এমনকী খুনও।
হুঁ। জিনার খালার খবর কী?
ভাল অনেকটা। শিগগিরই নাকি আউরোর সঙ্গে আবার দেখা করতে যাবেন। চিকিৎসা করাতে, রবিন জানাল।
এসব মানুষ নিয়ে ভয়। লোককে অযথা বিপদে ফেলে দেয়।
হ্যাঁ, মিস পলের পা ভাঙার জন্যে তিনি কিছু হলেও দায়ী। তবে প্রায়শ্চিত্ত হয়ে গেছে, যে মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছেন! জিনাকে পাঠিয়ে র্যামন ক্যাসটিলোর ক্রিস্টাল বলটা কিনিয়েছেন, ওটা উপহার পাঠিয়েছেন মিস পলকে।
ভাল। জিনার কী খবর?,
হোস্টেলে চলে যাবে, শিগগিরই। গেলে বাঁচি। ওর তো মুখের ঠিক-ঠিকানা নেই, আর এত মিছে কথা বলতে পারে! ওদিকে শুঁটকি টেরিরও আসার সময় হলো, কোন দিন রেগেমেণে গিয়ে তাকে আমাদের গোপন পথগুলোর খবর জানিয়ে দেবে, কে জানে!
খুব জেদি মেয়ে। এরা কিন্তু একদিক থেকে ভাল হয়। দলে টানতে পারো যদি, দেখো, বিপদের সময় তোমাদের জন্যে দরকার পড়লে প্রাণ দিয়ে দেবে। নিয়ে এলে না কেন ওকেও?
আসার সময় দেখলাম, ঘোড়া নিয়ে সৈকতে চলেছে, তাই আর ডাকলাম না, কিশোর বলল।
এই সুযোগে ঘোড়ায় চড়াটা শিখে নাও না তার কাছে? কাজে লাগবে, দেখো, পরে।
আমি বাদ, স্যর, দুহাত দুদিকে নাড়ল মুসা। আরিব্বাপ রে, যে কামড় মারে! আর লাথি!
মুসার কথার ধরনে হেসে ফেললেন স্বভাবগম্ভীর মানুষটাও।
আজ তা হলে উঠি, স্যর? কিশোর উঠে দাঁড়াল।
মুসা, মিটিমিটি হাসছেন পরিচালক। আইসক্রিম?
উঠে দাঁড়িয়েছিল, বসে পড়ল আবার মুসা। খুশিতে দাঁত বেরিয়ে। পড়েছে। তা, স্যর, আনাতে পারেন!
নিষ্পাপ সুন্দর হাসিতে ভরে গেছে মিস্টার ক্রিস্টোফারের কুৎসিত মুখটা। ইন্টারকমের বোতাম টিপলেন।