তার মানে তুই বলছিস, আমার আর আজ চায়ের কোনও আশা নেই? মা ভুলে যাবে?
ঠিক এই সময় ফটু করে কারেন্ট এসে যায়, আবার আলো জ্বলে ওঠে।..তার প্রতিক্রিয়ায় রাস্তায় এবং পাড়ার বাড়িতে বাড়িতে সমবেত একটা উল্লাসধ্বনি ওঠে, এসে গেছে! আলো এসে গেছে!
খুকু (জনান্তিকে) ও বাবা বাঁচা গেল, আলো এসে গেছে, চিঠিটা পড়ি ভাল করে।
সীমার বাষ্পচ্ছন্ন অথচ উল্লসিত কণ্ঠ শোনা যায়, পিন্টু, চা ঢালছি আয়। বাবাঃ, এতক্ষণ অন্ধকারে যেন হাত-পা আসছিল না, চা বানাতে এত দেরি হয়ে গেল!…আর এই দে তোদের বাবার কাণ্ড! এত দুর্গতি করে আসা, তার মধ্যে কিনা বুকে করে গুচ্ছির ল্যাঙড়া আম বয়ে আনা হয়েছে। কী না পোস্তায় আম সস্তা। আর দেরি দেখে কিনা আমি বকে বকে মরছি
.
এখন আলো জ্বলে উঠেছে, এখন কর্তা প্রসন্নজীবন রায়ের চেহারাখানি দেখতে পাওয়া যাচ্ছে, অগ্নিতাপশূন্য প্রসন্ন প্রদীপ্ত মুখ। সেই মুখে আরও প্রসন্নতার আলো জ্বেলে বলেন তিনি, শুধু সস্তা বলেই নয়, জিনিসগুলোও উৎকৃষ্ট। আসল বেনারসী ল্যাংড়া। তোমাদের মাতৃদেবীর তো আবার হাবিজাবি আম মুখে রোচে না জানই, তাই প্রত্যেকটি বেছে বেছে–উঃ, যে করে আমের থলিধরা হাতটা উঁচু করে–এতটি রাস্তা বাঁচিয়ে বাঁচিয়ে এসেছি–বলি আমি ব্যাটা ভিড়ে আখমাড়াই হই-হই, তোদের মার আমগুলো না টস্কায়!