ডন এখনও প্রতিদিন চার ঘণ্টা সময় দেয় সারা বিশ্ব থেকে পাঠানো চিঠিপত্র পড়ায় ও উত্তর দেওয়ায়। যাবতীয় সইয়ের মধ্যে সবথেকে দামি সইটি পাওয়ার জন্য এত চাহিদা যে সাউথ অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অটোগ্রাফ সংগ্রহকারীদের নিরস্ত করার জন্য দক্ষিণা আদায়ের ব্যবস্থা করতে বাধ্য হয়। বহু ক্লাব ডনের সই নিলামে বিক্রি করে তাদের খরচ চালায়।
ডনের স্মৃতিশক্তি যে এখনও কতটা তীক্ষ্ণ রয়েছে তার একটা উদাহরণ দিয়ে বাওরালের ব্র্যাডম্যান মিউজিয়ামের ডিরেক্টর বলে :
সম্প্রতি আমাদের আর্টিস্টের দরকার পড়ে ১৯৩০ সালে ইংল্যাণ্ডের হেডিংলি মাঠে একটা গ্র্যাণ্ডস্ট্যাণ্ডের রঙ কেমন ছিল সেটা জানার। ছবি যা পাওয়া গেছে তা সাদাকালো। ডনকে জিজ্ঞাসা করায় রং কেমন ছিল বলে দিলেন।
ডন তার সাদা রঙের হোল্ডেন অ্যাপোলো মোটর গাড়ি এখনও নিজেই চালায়। সেখুবই মজা পায়, সম্প্রতি চক্ষু পরীক্ষার পর যখন জানতে পারে ২০০২ সাল পর্যন্ত তাকে নতুন ড্রাইভিং লাইসেন্স করাবার জন্য টাকা দিতে হবে না। যখন চিঠিপত্র লেখার কাজে সেব্যস্ত থাকে না তখন তার নিজের নামের ফাউণ্ডেশন, মিউজিয়াম, সংগ্রহশালা সম্পর্কিত কাজকর্ম দেখাশোনা করে। অবসর পেলে বই পড়ে, জীবনী ও আত্মজীবনী— ডন কখনো গল্প-উপন্যাস পড়ে না। মাঝেমধ্যে খুব নি:সঙ্গ বোধ করলে সেএকান্তে বসে ভিডিয়ো টেপে দেখে জেসির অন্তিম যাত্রার আর শোকস্মরণ সভার ছবি।