এক মুহূর্ত ভেবে নিয়ে নিয়ে দেবেশ কাশ্যপ বললেন, বেশ, চলুন।
ওরা সকলেই গাড়ি থেকে নামল। দুজন গার্ডকে দুদিকে নিয়ে সামনে সামনে যাচ্ছিলেন ডক্টর শইকিয়া। পেছনে দেবেশ কাশ্যপ। তারও পেছনে দ্যুতি আর প্রমিত পাশাপাশি।
হঠাৎ ঘাসজমিটার কাছাকাছি এসে বিদ্যুতের মতন সেই ঘাসজমির ওপর লাফিয়ে পড়লেন ডক্টর রূপেন শইকিয়া। তারপর ছফুটের ওপর লম্বা, ভারী শরীরটা নিয়ে বিশাল একটা মাছের মতন পিছলোতে পিছলোতে চলে গেলেন নদীর কিনারায়।
গার্ড দুজন তাকে গুলি করবার জন্যে বন্দুক উঠিয়েছিল। দেবেশ কাশ্যপ তাদের হাত ধরে থামালেন। বললেন, না। এর আর দরকার হবে না। একজন অনুতপ্ত মানুষকে আত্মহত্যার সুযোগটা দাও।
ওদের বিস্মিত চোখের সামনে জয়ন্তীর তীরে দাঁড়িয়ে উঠলেন রূপেন শইকিয়া। তার। বুকটা তখন রক্তছত্রাকের প্রভায় আগুনের মতন জ্বলছে। এক মুহূর্ত পরেই কাটা কলাগাছের মতন জমির ওপর আছড়ে পড়ল তার শরীর।
রাত্রির নিস্তব্ধতা ভেঙে ভুটান পাহাড় থেকে ভেসে এল একটাই মাত্র ফায়ারিং-এর শব্দ। একটাই।
আরও একটু পরে ডক্টর শইকিয়ার বুকের ওপর থেকে আস্তে আস্তে মিলিয়ে গেল মরণবিভা।