বিশশতক কেটে যাওয়ার আর বাকি নেই। বিশশতকের সাহিত্যের কথা বললাম খুব সংক্ষেপে। বলেছি শুধু বিশশতকের প্রথম অর্ধেকের কথা। দ্বিতীয় ভাগের কথা কিছুই বলিনি। এ-সময়েও জন্ম নিয়েছেন অনেক বড়ো কবি ও ঔপন্যাসিক। তবে এ-শতকের তৃতীয় দশকের মাঝামাঝি যে-আধুনিক সাহিত্যের উদ্ভব হয়েছিলো, তাই এ-শতকের শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি। দ্বিতীয় ভাগে অতো বড়ো কেউ জন্মান নি। তাঁদের প্রতিভা ছিলো; কালের আনুকূল্যও পেয়েছিলেন তাঁরা। তাই সৃষ্টি করতে পেরেছিলেন এমন সাহিত্য, যা ধারণ করেছে আধুনিক কালের চেতনা। ওই চেতনা ভিন্ন উনিশশতকের চেতনার থেকে। আগামী শতকে দেখা দেবে নতুন চেতনা। হয়তো তার আভাস দেখা দেবে বিশশতকের শেষ দশকেই। তা হয়তো বহুবর্ণের দীপাবলি হয়ে দেখা দেবে একুশশতকের প্রথম বা দ্বিতীয় বা তৃতীয় দশকে। চিরকাল জ্বলবে বাঙলা সাহিত্যের লাল নীল দীপাবলি।