তোমাকে দেখতে তাই না? তুমিই ওকে খবর দিয়েছিলে, ঠিক না?
শাহিনার নিজের কানকে বিশ্বাস হয় না। এ কী শুনছে সে! পাথরের মতো স্থির হয়ে যায় তার শরীর। চোখের পলক পর্যন্ত পড়ে না।
আর ঐ মুহূর্তে একটু ঝুঁকে দাঁড়িয়ে বউয়ের মুখোমুখি তাকায় আতিকুল ইসলাম প্রধান বি.এসসি। তারপর জিজ্ঞেস করে, আচ্ছা একটা কথা তুমি সত্য করে বলো তো? তোমার পেট থেকে যে বাচ্চাটা বের হবে সেটা কার? শাহিনার চোখের সামনে দুনিয়া ওলটপালট করে। নিজের মন তাকে ধিক্কার দেয় বলে, মর তুই। মরে যা এক্ষুণি! তার দুই চোখ জ্বালা করে, বমি বমি লাগে, কিন্তু তারপরও সে খাটের বাজু ধরে দাঁড়িয়েই থাকে। কাঁদে না সে, রাগে-অপমানে চিৎকার করে না, এমন একটা নোংরা প্রশ্নের জবাব দেওয়ার জন্য ভাষাও সে খুঁজে পায় না। নির্বোধ নির্বাক পাথরের মূর্তির মতো স্বামীর মুখের দিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে।