কিন্তু কি প্রমাণিত হল বলছিলেন? প্রশ্ন করে সুকান্ত।
প্রমাণিত হল এই যে, সত্যিই আপনারা দুজনেই মণিকা দেবীকে অন্তর দিয়ে ভালবাসেন। এবং আপনাদের দুজনের একজনও অতুলবাবুর হত্যার সঙ্গে জড়িত নন।
তারপর বলুন? রণেন বলে।
তারপর আর কি, পূর্বাহ্নেই আমি শিউশরণের সাহায্যে সুবালা ও রণলালকে পৃথক পৃথক ভাবে থানায় ডাকিয়ে এনে দুটি পৃথক ঘরে আটকে রেখেছিলাম। তার পরের ব্যাপারটা তো সর্বসমক্ষেই ঘটল। নূতন করে বিবৃতির প্রয়োজন রাখে না। কিন্তু শেষ কথা আবার আপনাদের বলছি—আপনি মণিকা দেবী, রণেনবাবু ও সুকান্তবাবু, আপনাদের মধ্যে এবারে যত শীঘ্র সম্ভব একটা শেষ মীমাংসা করে নিন। কারণ আগুন নিয়ে এ বড় বিষম খেলা। দেখলেন তো চোখের সামনেই।
তিনজনেই মাথা নীচু করে।
কারও মুখ দিয়েই কোন কথা বের হয় না।
কিরীটী শিউশরণের দিকে তাকিয়ে বললে, শিউশরণ, এঁরা আজ তোমার অতিথি, মিষ্টিমুখ করাও অন্তত এক কাপ করে চা—
নিশ্চয়ই, নিশ্চয়ই! শিউশরণ লজ্জিত ভাবে ঘর হতে প্রস্থান করলে বোধ হয় চায়ের যোগাড় দেখতেই।