আর?
প্রমোদ নাবালক হলে তার ভরণপোষণ ও শিক্ষাদীক্ষার জন্য নিশ্চয়ই অর্থের ব্যবস্থা করা হতো কিন্তু তিনি শুধু সাবালকই না বেশ বয়স্কও হয়েছেন। তাই অঘোরকান্তির ব্যবসা-বাণিজ্য বা পারিবারিক সম্পত্তির আয় থেকে তাকে কিছুই দেবার প্রয়োজন নেই। তবে তিনি জীবিতকালে রায়চৌধুরী পরিবারের মূল বসত-বাড়িতে থাকতে পারবেন ও তার জন্য তাকে কোন ভাড়া বা ট্যাক্স দিতে হবে না।
গুড বাই জেন্টলমেন! গুড বাই!
আগের মতই চিৎকার করে প্রমোদবাবু নাটকীয় ভঙ্গীতে সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে ডালহৌসীর ভিড়ে মিশে গেলেন।
পরের দিন সকালে কলকাতায় সব খবরের কাগজেই ছোট্ট একটি খবর বেরুল
শুক্রবার সন্ধ্যায় জনৈক প্রমোদ রায়চৌধুরী (৪৮) হাওড়া পুলের উপর থেকে গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
পুলিস সূত্রে বলা হয় যে, মৃত ব্যক্তির পকেটের একটি চিঠি ও হাতের আংটি থেকে জানা যায় যে উনি বিহারবাসী। চেহারা ও পোশাক-পরিচ্ছদ দেখে মনে হয়, উনি কোন ধনী পরিবারের লোক।
পুলিস আরও জানায় যে মৃত ব্যক্তির স্বহস্ত লিখিত একটি কাগজ ওর পকেটে পাওয়া যায় এবং তার থেকে জানা গেছে সোনাগাছির এক বারবনিতার কাছেই উনি থাকতেন। ঐ বারবনিতার ঘরে ওর যেসব টাকাকড়ি-ঘড়ি-আংটি ইত্যাদি আছে তা ওর ছোট ভাইদের কাছে পাঠিয়ে দিতে পুলিসকে অনুরোধ করা হয়েছে।
মৃতদেহটি ময়না তদন্তের জন্য পাঠান হয়েছে।