হে মহাভাগ, তুমি কে, কেন আসিয়াছিলে–জানি না। যোগীর যাহাকে ক্ষণমাত্র ধ্যানে পাইয়া পুনরায় পাইবার জন্য যুগ যুগ তপস্য করেন, তুমি কি সেই তপস্যার ধন? সংসারে ত কেবল স্ত্রী-পুত্রের ভালবাসার জন্য দিবারাত্র কাঁদিয়া থাকে, সন্ন্যাসীরা তোমাকে খুঁজিয়া বেড়ায়, সিদ্ধপুরুষেরা কতকগুলি অলৌকিক শক্তি অর্জ্জন করে কিন্তু তোমার মত কোন্ যুগে কোন্ দেশে ভগবানের জন্য এমন করিয়া কাঁদিয়াছে? নিজের মূর্ত্তিতে ভগবৎমূর্ত্তি কে এমন ভাবে অঙ্কিত করিয়া দেখাইয়াছে এবং তোমার মত এরূপ প্রত্যক্ষ দর্শন পাইয়া কে উন্মত্ত হইয়াছে? তোমার অশ্রুপ্লাবিত চক্ষে যাঁহার প্রতিবিম্ব পাঠিয়াছিল–তাঁহাকে তোমারই মধ্যে বাংলাদেশ একবারমাত্র দেখিয়াছিল–সেই রূপের ছাড়া এখনও পদাবলীর স্বর্ণপটে লিখিত রহিয়াছে।
সমাপ্ত।
Page 41 of 41