কিছুক্ষণ পরে মৃগাংক বলল, আমি চলি তাহলে।
নন্দিতা হাসল, বড় ক্লান্ত সে হাসি, কিন্তু কিছু বলল না। মৃগাংক ভাবল, ওর হাসিটা কেমন পুরন, বয়স্ক। ওর মনে হল, নন্দিতার শরীরে এখন অনেক ভাজ।
নিজের ফ্ল্যাটে ফিরে ল্যাচকির চাবি ঘুরিয়ে ঢুকতেই অবাক হয়ে গেল মৃগাংক। বাসবি বসে আছে ওর জন্য, টেবিলে খাবার ঢাকা। অপরাধীর মত মৃগাংক জিজ্ঞেস করল, ফিরলে কখন?
বাসবি বলল, সেই সন্ধেবেলা। জানো আজ সারাদিন খুব মজা হল। দাদার এক বন্ধু বিকাশদা জার্মানি থেকে ফিরেছে। বিকাশদার গাড়ি চড়ে সারাদিন ঘুরলাম আমরা, এয়ারপোর্ট, চিড়িয়াখানা, বোটানিক, কত কি দেখলাম। তুমি তো আর কোনোদিন নিয়ে যাও না।
মৃগাংক তাকিয়ে দেখল, বাসবির সারা মুখ উজ্জ্বল, উদ্ভাসিত। এই মুহূর্তে যে কোনো পুরুষই ওর প্রেমে পড়তে পারে।
Page 5 of 5