মনের মতো দাদু
দূর আকাশের শুকতারাটা
আমার মিতা,
আমার খেলার সাথীরা সব
জানোকি তা?
মামণিটা যখন তখন
বলে, ‘পড়ো’।
আচ্ছা দাদু এই কথাটা
কেমনতরো?
যখন আমি তোমার কাছে
গিয়ে দাঁড়াই,
তুমি কি ছাই বলো দাদু
‘তোকে পড়াই’!
তুমি আমার মনের মতো
মিষ্টি দাদু,
দেখতে তুমি শাদা চুলের
ভালো সাধু।
দেখলে আমায় হাতের মোটা
বইটা রেখে
দীপিতাকে গল্প ছায়ায়
দাও যে ঢেকে।
এই পাড়ার কত্তজনের
গাড়ি আছে।
নেইকো কেন মোটর গাড়ি
তোমার কাছে?
‘শোন্ দীপিতা, দাদু যে তোর
নয়তো ধনী,
আমার আছে দীপিতা এক
লক্ষ্মীমণি’।
‘হ্যাঁ, দীপিতা আমার হাতে
আছে মায়া,
তার যাদুতে তোকে নিয়ে
হই তো ছায়া’।
‘আমরা তখন দূর আকাএ
বেড়াই উড়ে
তারার মেলায়, মায়াবী এক
চন্দ্রপুরে’।
সবার মনেই খেলাঘর
আছে, আছে, আছে,
সবার মনেই একটি মজার
খেলাঘর আছে।
আমাদের এই
খেলাঘরে, ওহো, তারার সঙ্গে,
চাঁদের সঙ্গে ছড়ার ছন্দে
নীল পরী নাচে।
আসে, আসে, আসে,
অনেক কিছুই মনের কোঠায়
রাঙা সাজে আসে।
স্বপ্নরা সব ওহো
সাঁতরে বেড়ায় এদিক সেদিক,
নানা রঙে ভাসে।
আরে আরে আরে
আমাদের এই মনের শহর
প্রতিদিনই বাড়ে।
দোলনায় দোলে শিশু,
নানান খেলনা, পুতুলের মেলা
শিশুদের-মন কাড়ে।
জাগে, জাগে, জাগে,
যারা বামে হাঁটে, রোশনি ছড়ায়,
তারা জাগে আগে।
আগে, আগে, আগে,
আলোর ঝর্ণা ভালবাসে যারা,
তাদের মধুর হাসির ছটায়
কালো ছায়া ভাগে।
হুতুম ভুতুম
হুতুম প্যাঁচার ভুতুম সাথী দু’জন মিলে
নেচে বেড়ায় ডানে বামে।
যেমন তেমন সুরের তালে তিন বছরে
ইচ্ছে হ’লে খানিক থামে।
হুতুম প্যাঁচার ভুতুম সাথী মনের সুখে
আকাশ পাতাল জুড়ে নাচে,
খায় না ওরা পোকা মাকড়, ইচ্ছে হ’লে
একটু হাওয়া খেয়েই বাঁচে।
হুতুম ভুতুম ইচ্ছে মতো ঘুরে বেড়ায়
মগের মুলুক, জাদুর দেশে।
হঠাৎ যদি ঘুটঘুটে সব বিপদ দ্যাখে,
পালায় তখন হাওয়ায় ভেসে।
বাংলাদেশে লক্ষ্মীছাড়া আঁধার আছে,
তবু দেশের মাটি ভালো।
ভবিষ্যতে জুলুমবাজি, সর্বনাশা
আঁধার ছিঁড়ে জাগবে আলো।