ব্যঞ্জনবর্ণ নিয়ে খেলা
কশ কশ কশ কশানো,
কশালাম।
খস খস খস খসানো
খসালাম।
গছ গছ গছ গছানো,
গছালাম।
ঘট ঘট ঘট ঘটানো,
ঘটালাম।
চট চট চট চটানো,
চটালাম।
ছট ছট ছট ছোটানো
ছোটালাম।
জট জট জট জোটানো
জো্টালাম।
ঝক ঝক ঝক ঝাঁকানো,
ঝাকালাম।
টক টক টক টকানো,
টকালাম।
ঠক ঠক ঠক ঠকা্নো,
ঠকালাম।
ডক ডক ডকু ডাকানো,
ডাকালাম।
ঢক ঢক ঢক ঢোকানো,
ঢোকালাম।
তক তক তক তাকানো,
তাকালাম।
থম থম থম থামানো,
থামালাম।
দম দম দম দমানো,
দমালাম।
ধস ধস ধস ধসানো,
ধসালাম।
নম নম নম নামানো,
নামালাম।
পল পল পল পালানো,
পালালাম।
ফট ফট ফট ফাটানো
ফাটালাম।
বস বস বস বসানো,
বসালাম।
ভস ভস ভস ভাসানো,
ভাসালাম।
মত মত মত মাতানো,
মাতালাম।
যচ যচ যচ যাচানো,
যাচালাম।
লড় লড় লড় লড়ানো,
লড়ালাম।
শন শন শন শানানো
শানালাম।
ষাট ষাট ষাট ষাটানো,
ষাটালাম।
সর সর সর সরানো,
সরালাম।
হস হস হস হাসানো,
হাসালাম।
ভালো, তবে-
শিম আর ফুলকপি
তরকারি ভালো।
তবে শোনো কিছু নিয়ে
কাড়াকাড়ি ভালো নয়।
বড়সড় জমকালো
আলমারি ভালো।
তবে শোনো কারও সাথে
মারামারি ভালো নয়।
ছোট বড় খেলনার
মতো বাড়ি ভালো।
তবে শোনো কারও সাথে
মারামারি ভালো নয়।
রাকার ছড়া লেখা
রাকা নামের কন্যে
ছড়া লেখার জন্যে
খুঁজতে গেল মনে-মনে
কঙ্কাবতীর ঘাটকে,
তেপান্তরের মাঠকে।
দুয়ারে খিল এঁটে
বিছানাটায় সেঁটে
রাকা মিলায় ছন্দ,
খেলাটা নয় মন্দ।
আমরা সবাই দেখি
ময়ূরপঙ্খি একী
হল রাকার খাটটা।
নয়কো মোটে ঠাট্রা।
হচ্ছে একী যা-তা
যাচ্ছে ছড়ার মাথা
চাঁদের গলায় আটকে
এখন সময় রাকার
চুপটি ক’রে থাকার।
ছড়ায় ছড়ায় ছন্দ
হয়ে গেলো বন্ধ।
সোনার ছেলে
এক যে ছিলো সোনার ছেলে
বন্দি হলো লোহার জেলে
জাল করেনি নোটের তাড়া
হয়নি লুটে আত্মহারা
লোক ঠকানো নয়তো পেশা
ছিলো না তার মদের নেশা
করেনি সে কিছুই চুরি
চালায়নিকো বুকে ছুরি।
তবু তাকে লোহার জেলে
রাখলো ওরা রাখলো ফেলে
মিলের মজুর মাঠের চাষি
তাদের মুখে ফুটবে হাসি
আসবে সুদিন ঘোড়ায় চড়ে
দেখতো সে যে স্বপ্ন ঘোরে
এই দোষে সেই সোনার ছেলে
বন্দি হলো লোহার জেলে!