যখন-তখন
ভাইয়া বড় দুষ্টু ওরে, ভাইয়া ভারি বিশ্রী।
কথায় যেন উচ্ছে মাখা, একটুও নেই মিছরি।
যখন-তখন প্রশ্ন করে, জিগেস করে নামতা,
ভড়কে গিয়ে সব ভুলে যাই, নামতা যে হয় আমতা।
“টরটইজের বাংলা কী রে?”-ব’লেই ধরে কানটা,
বলার আগেই হ্যাঁচকা টানে বেরিয়ে আসে জানটা।
লম্বা গলা
সিরাপ খেয়ে জিরাফ পেল
গলা ইয়া লম্বা।
লম্বা গলায় কী এসে যায়,
কার চেয়ে সে কম বা?
জেনে রাখো লাভ আছে ঢের
গলা হলে লম্বা।
মই লাগে না পাতা খেতে,
খেতে পাকা রম্ভা।
লোকটা
লোকটা লিখে মজার ছড়া
মাথায় গুঁজে রাখত।
চাইলে পরে ছড়াগুলোর
নাম ধ’রে সে ডাকত
পাখির মতো নানান ছড়া
বাবরি ছেড়ে আসত।
লোকটা গোঁফে মোচড় দিয়ে
একটু কেশে হাসত।
বলত শুধু “আমার ছড়া
সত্যি নিতে চাস তো?
আমার ছড়া টিয়ের মতো
ঠোকর মারে জোরসে;
দোষ দিবিনে দুই চোখে তুই
দেখিস যদি সর্ষে”।
শীতের ছড়া
শীতসকালে লোকটা কাঁপে,
কাঁদে সবার পা ধ’রে।
একটা শুধু ছিল জামা,
তা-ও ছিঁড়েছে ভাদরে।
হি-হি শীতে থাকে প’ড়ে,
ডাকে না কেউ আদরে।
বলল তাকে খোকন সোনা,
মিছে কেন কাঁদরে?
একটু তুমি ধৈর্য ধরো,
সাহসে বুক বাঁধোরে।
শহরটাকেই দিচ্ছি ঢেকে
পশমি বড় চাদরে।
সুয্যিমামা
আজকে হঠাৎ সুয্যিমামার
মেজাজ হল গুম,
কালো চাদর মুড়ি দিয়ে
খুব দিয়েছে ঘুম।
তাইতো দেখি দিনের বেলা
অন্ধকারের ধুম।
নোলক নেড়ে শোলক ব’লে
পলাশতলির গাঁয়
কাজলা দিনে কন্যা নাচুক
লাল খাড়ুয়া পায়।
ঘাটের আড়ে, মাঠের ধারে
ডাকুক পাড়ার লোক,
সুয্যিমামা পণ করেছে
খুলবে না সে চোখ।