শহুরে এক ছোট্র ছেলে
শহুরে এক ছোট্র ছেলে
গেলো দূরে গাঁয়ে একা।
বহুদিন আর বেশকিছু মাস
তার সাথে আর হয়নি দেখা।
সেই ছেলেটি সত্যি ছিলো
আমার দুটি চোখের মণি।
তার সে গলার স্বরটি ছিলো
মিষ্টি গানের মধুর ধ্বনি।
সেই ছেলেটা পুত্র আমার
গেলো দূরে খেলার ছলে।
গেলো হঠাৎ আঁধারপুরে
হিংসুটে এক নদীর জলে।
শিশুর মেলা
নতুন গাছে ফুলের হাসি
দেখলে বড় লাগে ভালো।
অন্ধকারে জাগে খুশি
যদি দেখি চাঁদের আলো।
শিশুর মেলা পড়লে চোখে
সবার হৃদয় নেচে ওঠে।
খেলতে ওরা খেলার মাঠে
হাসি মুখে নিত্য জোটে।
শিশুর খেলা নষ্ট করে
যারা হিংসবশে কোনো,
তাদের ভালো, সত্যি বলি,
কখনো ঠিক হয় না জেনো।
তাই তো বলি ছোট্র আমার
ভাই-বোনেরা হাসিমুখে
থাকবে সদাই! তা’হলে ঠিক
সকল সময় থাকবে সুখে।
সবার পানি চাই
করিম বলো, কানু বলো
সবার পানি চাই।
পানি ছাড়া কারুর জানি
বাঁচার উপায় নাই।
মিঠাই বলো, মণ্ডা বলো-
মজার খাদ্য বটে।
কিন্তু যদি না পাই পানি
মস্ত বিপদ ঘটে।
বাঁচতে হ’লে রোজানা ভাই
সত্যি পানি চাই।
নইলে গলা শুকিয়ে ঠিক
হবে ভষ্ম ছাই।
কিন্তু পানি ফেঁপে ফুলে
বাড়তে যখন থাকে,
তখন প্রাণে ধাক্কা লাগে,
বিপদ আসে ঝাঁকে।
সেই ছেলেটা
আচ্ছা খোকা, আচ্ছা খুকী
তোমরা যারা আছো সুখী,
খাচ্ছো দাচ্ছো, খেলছো খেলা
মধুর আলোয় বিকেল বেলা-
যে-ছেলেটা অনেক আগে,
যখন শুধু পাখি জাগে,
ছোটো ঘরের জানলা ধরে
দাঁড়িয়ে থেকে মিষ্টি করে
তাকাতো দূর মেঘের দিকে
হাতের মুঠো থাকতো শিকে।
নাম কী তার, বলতে পারো?
সময় দিচ্ছি সেকেন্ড বারো,
পারলে নাতো? দিচ্ছি বলে
শোনো সবাই ভাল করে কানটি মলে,
সেই ছেলেটা জোড়াসাঁকোর রবি ঠাকুর
তার পদ্য জাগে সত্যি নানান সুর।
সেই ছেলেটা
হুট করে সেই গলি থেকে
ছুট দিলো এক দুষ্টু ছেলে,
সেই ছেলেটা মেতে ওঠে
খেলায় কোনো সঙ্গী পেলে।
সেই ছেলেটা যায় ছুটে যায়
খেলার লোভে দূরের মাঠে,
সঙ্গী সাথীর সঙ্গে খেলে
সময়টা ওর মজায় কাটে।
কিন্তু সাঁঝের অনেক পরে
সেই ছেলেটা ফিরলে ঘরে,
বকা-ঝকা খায় না শুধু
লাল হয়ে যায় গালটা চড়ে।
বেশ কিছুদিন কেটে গেলে,
ছেলেটিকে দেখে না কেউ,
খেলার মাঠে জাগে না আর
হৈ-হুল্লোড়, খুশির ঢেউ।