ছোটদের যখন দিদা তুমি বলেন তখন বুঝতে হবে তিনি রেগে আছেন। বেশি রেগে গেলে আপনি বলেন। দিদার কথা শুনে কাষ্ঠ হেসে ছোটন বললো, কুল পাড়তে গিয়েছিলাম।
কুল পাড়তে গিয়ে ও-বাড়ির মেয়েদের সঙ্গে অত গল্প কিসের বাছা! এই বেলা সাবধান করে দিচ্ছি–যখন-তখন ও-বাড়ি যাওয়া চলবে না।
কেন দিদা? বোকার মতো প্রশ্ন করলো সাদাসিধে রন্টু।
তোমরা এখন বড় হচ্ছো! শান্ত গলায় দিদা বললেন, আমি চাই না তোমরা এমন কিছু করো, যাতে এ-বাড়ির লোকদের কারো কাছে ছোট হতে হয়!
ছোটন বললো, ওরা চাইলে তখন কথা না-বলাটাও তো অভদ্রতা হবে।
সেটা তোমরা জানো। আমি এসব পছন্দ করি না, শুধু এইটুকু মনে রাখলেই চলবে। এই বলে দিদা নিচে নেমে গেলেন।
Page 17 of 17