সাক্ষী দিতে হবে?
তা হবে বৈকি। ছিলাম যখন। কী বলবে?
বলব আর কি। বীথিকা মৃদু হেসে বলে, গল্প বানাতে হবে। অবশ্য সে গল্প তখুনি তৈরী হয়ে গেছে। বলা হবে, আগে চুরি করে পালিয়েছিল, আবার চুরি করতে এসে ধরা পড়েছে।
এই বলবে?
তা গুছিয়ে একটা কিছু না বললে—
কিন্তু তোমার কি মনে হল? কার কথাটা সত্যি?
শোন কথা। পালিত সাহেবের মত গণ্যমান্য লোকটার কথা সত্যি হবে না তো কি ওই জোচ্চোরটার কথা সত্যি হবে?
আর পালিত সাহেবের মেয়ের ওই কথাটা?
ও ছেড়ে দাও। ও তো রাগের কথা। ওকেও তালিম দেওয়া হচ্ছে। আর সত্যি, মেয়েমানুষ তো! এত বোকা হবে না যে কোনও খাঁটি সত্যি কথা প্রকাশ করে বসে নিজের মান মর্যাদা ঘোচাবে।
চোর ধরা পড়ায় তোমার বান্ধবী তাহলে খুব প্রফুল্ল?
বীথিকা ঠোঁট উল্টে বলে, ওর কথা বাদ দাও। একের নম্বর ঢঙি। ইচ্ছে করে ধরিয়ে দেওয়া হল, আবার এমন ছল ছল দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে আছে যে দেখে গা জ্বলে যাচ্ছিল। ভাবটা যেন মনে বড় দাগ লেগেছে। আরে বাবা, মেয়েমানুষের ঢং বুঝতে আমাদের দেরী হয় না। বিকাশ হেসে উঠে বলে, তা সত্যি, তোমরা হলে পাকা জহুরী।