অবনী আলো নিবিয়ে দিল। দিয়ে জ্যোৎস্নার আলোয় ধীরে ধীরে, অন্ধ আশ্রমের আর কোনও কিছুকে খণ্ডিত না করে অপরাধীর মতন মাঠ দিয়ে পথ ধরে ফটকের বাইরে জামতলায় চলে এল।
তারপর কাঁচা রাস্তায় আবার আলো জ্বালল অবনী। গাড়ি চলছিল।
যাবার পথে অবনী বুঝতে পারল না–পিছনে যে মানুষটি একপাশে কিছু অন্ধ, অন্য পাশে কয়েকটি মড়কের মানুষ নিয়ে পড়ে আছে, সে জীবনে কী পাবে। অবনী জানেনা এতে কিছু পাওয়া যায় কি না। তার বিশ্বাস হয় না। সুরেশ্বর নির্বোধের মতন সমস্ত প্রাপ্তিগুলোই একে একে ফেলে দিয়েছে। এখন, সে অন্য কিছুর অপেক্ষায় আছে। এই অপেক্ষায় সে কি কিছু পাবে? পাওয়া কি সম্ভব?
অবনীর বিশ্বাস করতে বাধছিল, এতে কিছু পাওয়া যায়। তবু কী এক বেদনায়,সহানুভূতি ও করুণায় অবনী প্রার্থনা করল: ওই মানুষটি যেন কিছু পায়। কিছু পায়।
অবনী সজল চোখে অসাড় জ্যোৎস্নাপ্লাবিত এই চরাচরে কিছু যেন অনুভব করার চেষ্টা করল।