”হ্যাঁ, আমি ভেবেছি। আমি যে একটা মানুষ এটা বুঝে ওঠার মতো কোনো ব্যাপারই এতকাল আমি পাচ্ছিলাম না…ভুল করে ফেললে সেটা শুধরে নেওয়া উচিত, মানুষে তাই করে। আপনি যদি না আসতেন তাহলে আমি জানতেই পারতাম না, ছাব্বিশ বছর ধরে আমি শুধু ছাইগাদার দিকেই হেঁটেছি।”
প্রিয়ব্রত কৌতুক বোধ করল গৌরাঙ্গর মুখে বিভ্রান্ত ভাব দেখে, বেচারা বিরাট আশা নিয়ে এসেছে!
”আমার মতো অবস্থায় পড়লে আপনি কী করতেন?…মাসে মাসে টাকাটা দিয়ে দিতেন। আমি তাই-ই করেছি। কিন্তু আর নয়।”
প্রিয়ব্রত দেখতে পেল সুখেন্দু ব্যস্ত হয়ে আসছে। এবার তাকে দোতলায় যেতে হবে। সে চেয়ার থেকে উঠল। সুখেন্দু দূর থেকেই হাত নেড়ে ইশারায় তাকে দোতলায় যাবার ইঙ্গিত করল।
তার কথা এখনও শেষ হয়নি। ডিরেক্টরের ঘরের পর্দা সরাবার আগে তার মনে পড়ল, তিনকড়ি কেন জায়গা বদলে বসতে চেয়েছিল এখনও সেটা জানা হয়নি! এরপর তার চোখে হিতুর মুখটা একবার ভেসে উঠল। আর মনে মনে শুনতে পেল: ‘তোমার ওই বন্ধুটা বিপজ্জনক লোক।’
তখনও ওনার হাতে চিঠিটা। বোধহয় তৃতীয় কি চতুর্থবার পড়ছেন। টেবিলে পড়ে রয়েছে সাদা খামটা। সোনালি ফ্রেমের চশমাটা খুলে চোখ কুঁচকে তাকালেন।
”এসব কী লিখেছেন…বিশ্বাসই করতে পারছি না!”
”স্যার কয়েক মিনিট সময় দিন, আমি সব বুঝিয়ে বলছি।”