অধ্যক্ষ বলেন, প্রথম প্রব্লেম বড়ভাবী, তারে কি আপনে ডাইভোর্স করে লাইলি ভাবীর সঙ্গে সংসার করতে চান?
জেনারেল বলেন, নো, নো; ডাইভোর্স করতে চাই না। তাতে আমার ইমেজ টোটালি নষ্ট হয়ে যাবে, মাই পলিটিক্যাল কেরিয়ার উইল বি শ্যাটার্ড।
অধ্যক্ষ বলেন, এইটা পলিটিশিয়ানের মতন কথা। পলিটিশিয়ানরা মিস্ট্রেস রাখতে পারে, গোপনে দুই একটা ওয়াইফ রাখতে পারে, কিন্তু বড় স্ত্রীরে ডাইভোর্স করতে পারে না। পলিটিশিয়ানগো ফ্যামিলি ভ্যালুজ ঠিক রাখতে হয়, ফ্যামিলি ভ্যালুজ সম্পর্কে লেকচার দিতে হয়; এমনকি আমেরিকায়ও ক্লিন্টনভাই দুই তিন শো মাইয়ালোকের লগে ঘুমাইলেন সাক করাইলেন, কিন্তু ফ্যামিলি ভ্যালুজ তিনি নষ্ট করতে পারেন না।
জেনারেল বলেন, আমি ফ্যামিলি ভ্যালুজ ঠিক রাখতে চাই, ফ্যামিলি ভ্যালুজ ঠিক না রইলে সমাজে রইলো কী।
অধ্যক্ষ বলেন, তার মানে বড়ভাবীরে রাজি করাইতে হবে। আমার মনে হয় লাইলিভাবীর কথা বড়ভাবী জানে, বুড়াকালে সেও বেশি গোলমালে যাইতে চায় না, তার স্বার্থটা ঠিক থাকলেই হইল। তারে এইটা মানাইতে হইলে দুই চাইর কোটি তারে দিতে হইবো, বারিধারার বাড়িটাও লেইখ্যা দিতে হইবো মনে লইতেছে, আরো কিছু খরচ লাগবো। মাসে দুই এক রাইত তার লগে থাকলেই চলবো, তার বেশি লাগবে না।
জেনারেল বলেন, এইটা কোনো সমস্যা না, এই সব আমি দিবো, আই হ্যাভ ইনাফ মানি, মানি ইজ নো প্রব্লেম।
অধ্যক্ষ বলেন, আর ভাই, আপনের এলডেস্ট সানকেও কন্সিডার করতে হইবে, সে আমাগো বড়ো ক্যাডার; সেও পিস্তল ঠ্যাকাইতে পারে।
জেনারেল বলেন, দ্যাট ইজ ভেরি মাচ পসিবল, আই অ্যাম মাচ অ্যাফ্রেইড হি উইল ক্রিয়েট ট্রাবলস্, অলদো হি হ্যাঁজ সেভারেল মিস্ট্রেসেস, ইয়ং অ্যান্ড আৌল্ড।
অধ্যক্ষ বলেন, তারে থামাইতে কোটি দুই লাগবো, বেশিও লাগতে পারে।
জেনারেল বলেন, টাকা প্রব্লেম না প্রিন্সিপালভাই, টাকা আই হ্যাভ ইনাফ, আপনি এটা ট্যাকল করে দিবেন।
অধ্যক্ষ বলেন, দ্বিতীয় প্রব্লেম হইলো লাইলিভাবীর ইলেকশনে দারান, নমিনেশন পাওন। কথা হচ্ছে আমাগো দল থিকা কোনো মাইয়ালোক দারাইলে পাশ করতে পারবো না। মহাদেশনেত্রী মাইয়ালোকের মধ্যে পড়েন না, তিনি হইতেছেন মহাদেশনেত্রী, আমাদের মহান ফাদার অফ দি পার্টির মহীয়সী স্ত্রী, তিনি আমাদের পূজনীয়া মাদার অফ দি পার্টি, কুইন ভিক্টরিয়া। তিনি থাকলে আমরা আছি, নাইলে নাই।
জেনারেল বলেন, কিন্তু ভাই, আমি একটা সলিউশন বাইর করছি, আপনি ওইটা মাইন্যা নিলে কোনো প্রব্লেম থাকবো না, অন্যেরা আপনের কথা ফেলতে পারবে না।
অধ্যক্ষ বলেন, আপনের সলুশনটা বলেন ভাই।
জেনারেল বলেন, আমি দুইটা কন্সটিটিউয়েন্সি থিকা দারাইতে চাই; দুইটা কন্সটিটিউয়েন্সিই আমি তিন বছর ধরে ঠিক করে রাখছি, আই স্পেন্ট মিলিয়ন্স, আমি দুইটা থিকাই পাশ করবো। দি ভোটারস অফ বোথ দি কন্সটিটিউয়েন্সিস ওয়ান্ট মি, অ্যাজ দ্যায়ার এমপি বিকজ দে নো আই শ্যাল বি এ মিনিস্টার, দ্যায়ার ইজ নান টু চ্যালেঞ্জ মি।
অধ্যক্ষ বলেন, আপনে দলের লিডার, দুইটা কন্সটিটিউয়েন্সি থিকা নমিনেশন আপনে পাইবেন, আমি আপনের কথা আগেই ভাইব্যা রাখছি। এই বছর আমরা লিডাররা প্রত্যেকে দুই তিনটা কইর্যা কন্সটিটিউয়েন্সি থিকাই কন্টেস্ট করবো, মহাদেশনেত্রী করবেন চাইরটা থিকা। তবে ভাই এখন থিকাই একটু দেইখ্যাইনা রাখবেন, যাতে ওইখান থিকা আর কেহ দারাইতে না চায়।
জেনারেল বলেন, ওইখান থিকা যারা ক্যান্ডিডেট হইতে পারে, তাদের আমি লাখ পঞ্চাশেক দিয়ে রেখেছি, কেউ ক্যান্ডিডেট হবে না, দে হ্যাভ গিভেন মি হান্ড্রেড পার্সেন্ট গ্যারেন্টি, দে আর মাই পেইড পিপল, অলমোস্ট স্লেভস্।
অধ্যক্ষ জিজ্ঞেস করেন, আপনে কি তাগো বিশ্বাস করেন, তাগো কথার কোনো দাম আছে?
জেনারেল বলেন, পলিটিক্সে বিশ্বাস করা বলে কিছু নাই, আছে ট্রিক্স; তার ব্যবস্থা আই হ্যাভ টেকেন, এখন থেকেই তাদের দুইজনরে দশজন কইর্যা ক্যাডার পাহারা দিতেছে, নমিনেশন পেপার জমা দেয়া পর্যন্ত পাহারা দিতে থাকবে।
অধ্যক্ষ বলেন, আপনাকে দুইটা কন্সটিটিউয়েন্সি থিকাই পাশ করতে হইবো, একটায়ও ফেল করলে চলবে না।
জেনারেল বলেন, সেই ব্যবস্থা আমি নিয়েছি, পাশ আমি করবোই। আই হ্যাভ মানি অ্যান্ড ক্যাডাস্; আমার বাক্সে ছাড়া অন্য বাক্সে ভোট দিতে নান উইল ড্যায়ার, ভোটারস্ আর নট দি ডিসাইডিং ফ্যাক্টরস্ ইন পলিটিক্স।
অধ্যক্ষ বলেন, মানি আর ক্যাডার থাকলে দুইটায়ই আপনে পাশ করবেন, যদি দুইটায়ই পাশ করতে পারেন, আপনেরে পায় কে? আপনে একটা সিট ছাইরা দিবেন, ওই খালি সিটে লাইলিভাবী দারাইবো; তখন তার নমিনেশন পাওন পানির মতন সোজা হবে। আমি তো আছিই আপনের পক্ষে, চিন্তার কোনো কারণ নাই। লাইলিভাবীও পাশ করবো, তখন দুইজনেই পার্লামেন্টে বসবেন। ড্যামোক্রেসিতে এক ফ্যামিলি থিকা যতো মেম্বার হয় ততই ভাল।
জেনারেল বলেন, অধ্যক্ষভাই, আপনি কিছু মনে না করলে আপনার ইলেকশন ক্যাম্পেইনের ব্যয়ের ফিফটি পার্সেন্ট আমিই বিয়ার করবো।
অধ্যক্ষ জেনারেলকে জড়িয়ে ধরে বলেন, চলেন ভাই, আর দুই চাইর গেলাশ খাই, মাইয়াগুলিরে একটু কাছে থিকা দেখি। বুড়া হইছি বইল্যা শরীরের কাঁপন যায় নাই।
চমৎকার খুব ভাল লাগলো