ঘরে ঢুকেই ইয়াসমিন বলে, কী যে সুন্দর ঘর!
হাসান বলে, এ-ঘরটা আসলে ওই দূরের আবর্জনাস্তূপের থেকেও নোংরা; এ-নোংরায় তুমি আর কোনোদিন পা ফেলতে চাইবে না।
ইয়াসমিন বলে, চিরকাল আমি এই ঘরে গড়িয়ে গড়িয়ে চলতে পারবো।
হাসান বলে, ইয়াসমিন, তোমার মুখ দেখে আমার কষ্ট হয়, তুমি যাও।
ইয়াসমিন বলে, আমি যাবো না, আমি থাকবো।
হাসান বলে, তুমি জানো না তুমি কোন নরকে এসেছে, ইয়াসমিন।
ইয়াসমিন বলে, আমি আপনাকে ভালোবাসি।
হাসান বলে, আমি ভালোবাসা চাই না।
ইয়াসমিন বলে, আমি হাত বাড়িয়ে দিচ্ছি, আপনি আমার হাত ধরুন। আপনাকে আমি ভালোবাসি।
হাসান বলে, আমি কারো হাত ধরতে পারি না।
ইয়াসমিন বলে, আমার ঠোঁট দেখুন, সুন্দর, আপনি আমাকে চুমো খান। আপনাকে আমি ভালোবাসি।
হাসান বলে, আমি কাউকে চুমো খেতে পারি না।
ইয়াসমিন দাঁড়িয়ে বলে, আমার শরীরটি দেখুন, সুন্দর, আপনি আমাকে জড়িয়ে ধরুন। আপনাকে আমি ভালোবাসি।
হাসান বলে, আমি কাউকে জড়িয়ে ধরতে পারি না।
ইয়াসমিন চিৎকার ক’রে ওঠে, কেনো নয়, কেনো নয়?
হাসান দাঁড়িয়ে, দাঁড়িয়ে জিন্সের বেল্ট খোলে, বোতাম খোলে, জিপার খোলে, এবং জিন্সটি খুলে দূরে ছুড়ে ফেলে বলে, দ্যাখো।
ইয়াসমিন হাসানের দুই উরুর মধ্যস্থলের দিকে তাকিয়ে চিৎকার ক’রে ওঠে, না, না, না, না, এমন হ’তে পারে না, এমন হ’তে পারে না।
সে কান্নায় ভেঙে পড়ে।
হাসান স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে, যেনো চিরকাল দাঁড়িয়ে থাকবে।
(সমাপ্ত)