.
সুরঙ্গ কাটা হয়েছে। আলো এসে পড়েছে অন্ধকূপে। দলে দলে পিপড়া বের হয়ে আসছে। সবার সামনে আছে নতুন রাণী পিপলী বেগম। নতুন রাণীর মুখ হাসি-হাসি হলেও চোখ দুটি বিষণ্ণ। তার সামনে অনেক সমস্যা, অনেক দায়িত্ব। সবাই তাকিয়ে আছে তার দিকে। সে এক বিশাল গোত্রের রাণী। তার চোখ বিষণ্নতো হবেই।
.
মতিন সাহেব হাই তুলে বললেন –গল্প শেষ। মায়েরা, চল ভাত খাই। খাবার পর সবাই ঘুমুতে যাও। তিলু বিলু খাবার টেবিলে চলে গেল। শুধু নীলু গম্ভীর মুখে বসে রইল। মতিন সাহেব বললেন, কি হল মা? তুমি এমন কঠিন মুখ করে বসে আছ কেন? নীলু রাগী গলায় বলল, বাবা, গল্প মোটেও শেষ হয়নি। তুমি শেষটা এখনো বলনি। শেষটা না বললে আমি ঘুমুতে যাব না।
মতিন সাহেব বললেন, শেষটা কি মা?
শেষটায় নতুন রাণী পিপলী বেগম, উইপোকা রাণীকে দেশ থেকে তাড়িয়ে দেবে।
আচ্ছা বেশ, তাড়িয়ে দিল। তারপর?
তারপর পিপলী বেগম বলবে –এখন থেকে পিপড়াদের আর স্কুলে যেতে হবে না।
সে কি?
ওদের স্কুলের কোন দরকার নেই, বাবা। ওদের স্কুল ভাল লাগে না।
তোমার স্কুল ভাল লাগে না বলে ওদেরও ভাল লাগবে না, তা তো না। ওদের স্কুল খুবই ভাল লাগে।
না বাবা, তুমি জান না ওদের স্কুল ভাল লাগে না।
আচ্ছা বেশ, ওদের স্কুল ভাল লাগে না।
পিপলী বেগম বলবে –আজ থেকে স্কুল নেই, পড়াশোনা নেই। সবাই শুধু আনন্দ করবে। হৈচৈ করবে।
ঠিক আছে করবে।
আর পিপলী বেগম বলবে, এখন থেকে দেশে কোন সৈন্য থাকবে না।
তা কি করে হয় মা? সৈন্য ছাড়া ওদের চলবে কি করে?
ওদের সৈন্য ভাল লাগে না, বাবা। ওরা সৈন্যকে ভয় করে।
তুমি ভয় কর। কিন্তু তাই বলে ওরা কেন ভয় করবে।
না, ওরাও করে।
আচ্ছা বেশ, ওরাও করে। এখন খেতে চল মা যাও মা।
.
রাতের খাবার শেষ করে নীলু বাবার গলা জড়িয়ে ঘুমুতে গেল। এবং এক সময় ঘুম-ঘুম গলায় বাবার কানে কানে বলল, বাবা, আমার খুব পিপলী বেগম হতে ইচ্ছা করছে।