সকল বঙ্গবাসি! তোমরা শোনো! অবশ্যই এখনো কণ্ঠ খুব ক্ষীণ,হয়ত এখনই দেশের আকাশ সীমা ছাড়িয়ে দূরান্তে পৌঁছানোর ক্ষমতা তার নেই। কিন্তু সেই ক্ষমতা পেতে কি তার খুব দেরী হবে? ট্রানজিস্টারে খবর শেষ হয়ে গান শুরু হল–আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি।…
হ্যাঁ, এই ভালোবাসাই বাঙালিকে পথ দেখাবে। বাঙালির অস্ত্রের শক্তি আজ সীমিত হতে পারে, কিন্তু ভালোবাসার সম্পদ তো অফুরন্ত। সেই প্রীতি ভালোবাসার সঙ্গে এবার অস্ত্রের সম্মেলন হয়েছে-এবার বাঙালি দুর্জয়।…
অনেক রাতে সুদীপ্ত শুতে গেলেন। মেঝেতে ঢালাও বিছানা। সারি সারি তাঁরা শুয়েছেন যতো জনের শোয়া সম্ভব। আর এদের একজনকেও তিনি চেনেন না। সব থেকে বেশি চেনেন জামাল সাহেবকে, কিন্তু সে পরিচয়েই সূত্রপাত হয়েছে মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে। হ্যাঁ, ঠিকই, তো হয়েছে। নব পরিচয়ের সূত্রপাত হয়েছে। পুরোনো জীবনটা সেই পঁচিশের রাতেই লয় পেয়েছে। আহা তাই সত্য হোক। নতুন মানুষ, নতুন পরিচয় এবং নতুন একটি প্রভাত। সে। আর কতো দূরে। বেশি দূরে হতে পারে না। মাত্র এই রাতটুকু তো! মা ভৈঃ। কেটে যাবে।