ছবিটা একবার দেখে নিয়ে শিবানন্দ দুখানি ছবিই ডাক্তার রুদ্রের হাতে দিয়ে বললেন, এইটে সুনয়নী আর তার স্বামীর ফটো। থানায় যদি দরকার হয় মনে করে সুনয়নীর স্বামীর কাছ থেকে চেয়ে নিয়েছিলাম। এবার দুটো ছবিই আপনারা ভালো করে দেখুন।
ডাক্তার রুদ্র ছবি দুখানা দেখলেন। স্তম্ভিত হয়ে গেলেন। কি ভাবতে ভাবতে ছবিটা সঞ্জয়ের হাতে দিলেন।
কিশোরী মেয়েটি এসে দাঁড়াল দরজার কাছে। চকিতে একবার সঞ্জয়ের দিকে তাকিয়ে শিবানন্দকে বলল, সন্ধে হয়ে গেছে: খাবে চলো।
–হ্যাঁ, চলো।
শিবানন্দ উঠে বসলেন। নাতি এসে কাছে দাঁড়ালেন।
–তবু যদি আপনাদের সন্দেহ থাকে আপনার স্ত্রীকে একদিন নিয়ে আসবেন। তাঁকে কিছু বলবেন না। দেখবেন তিনি আমায় চিনতে পারেন কি না। তা হলেই সত্যাসত্য প্রমাণ হয়ে যাবে। নমস্কার।
বলে নাতির হাত ধরে কাশতে কাশতে ভেতরে চলে গেলেন।
.।
ট্যাক্সিতে সারাক্ষণ দুজনে একটি কথাও বলেননি।
ট্যাক্সি এসে দাঁড়াল বাড়ির সামনে।
নামবার সময়ে সঞ্জয় বলল, তাহলে কালই কি রীণাকে নিয়ে শিবানন্দবাবুর কাছে যেতে বলেন?
কখনোই না।
সঞ্জয় থমকে গেল।
–কেন? একটা মীমাংসা হয়ে গেলে হতো না? যদিও ছবিতে দুজনের খুবই মিল তবু আমি কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছি না।
ডাঃ রুদ্র হেসে বললেন, কি দরকার বিশ্বাস করে? ও নিয়ে আর মাথা ঘামিও না। এমনকি, আমার বিবেচনায় রীণার কাছেও এ-সব কথা বলার দরকার নেই। ঐ যে রীণা আমাদের দেখতে পেয়েছে। হাত নাড়ছে।
সঞ্জয়ও ওপরে তাকালো। হেসে হাত নাড়ল।
–আমি এই ট্যাক্সিতেই বাড়ি চলে যাই।
সঞ্জয় বলল, তা কি করে হয়? একটু কফি খাবেন না? ঐ দেখুন রীণা আপনাকে ডাকছে।
ডাঃ রুদ্র হাসতে হাসতে ট্যাক্সি থেকে নেমে এলেন।