প্রাণ প্রিয়া শবনম,
প্রথমে আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে প্রেম, প্রীতি ও ভালবাসা গ্রহণ করে আমাকে ধন্য করো। আজ প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর পর কেন তোমাকে চিঠি লিখছি তা চিঠিটা পড়লেই বুঝতে পারবে। এই পাঁচ বছর ধরে তুমি আমাকে যে কয়েকশ চিঠি দিয়েছ, সেগুলো পড়া তো দূরের কথা একটার মুখও না খুলে রেখে দিয়েছি। আল্লাহপাক রাজি থাকলে, তোমার সামনে খুলে পড়ব। কেন চিঠিগুলো পড়িনি সে কথা বলতে আমি অপারগ। সে জন্য এবং তোমার সঙ্গে এতদিন কোনো যোগাযোগ না রেখে যে অপরাধ করছি, তার জন্যও ক্ষমা চাইছি। আমি জানি তুমি আমার উপর যতই রাগ বা অভিমান করে থাক না কেন? এই চিঠি পাওয়ার পর সে সব কর্পূরের মত বাতাসে উড়ে যাবে। চিঠিতে বিস্তারিত কিছু লিখব না। শুধু এতটুকু লিখছি, ইনশাআল্লাহ আমাদের মনের বাসনা অতি অল্প সময়ের মধ্যে পূরণ হবে। তার আগে শত ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও তোমার সঙ্গে আমার দেখা করা সম্ভব নয়। আল্লাহ চাহে তো, এবার আর লুকিয়ে দেখা সাক্ষাৎ নয়, একেবারে বিয়ে করে আমাদের বাড়িতে এনে বাসর ঘরে সারারাত তোমাকে দেখব। তোমার সঙ্গে যোগাযোগ না থাকলেও আমি জানি, আমার মতো তুমিও ঐ রাতটার জন্য সবর করে অধীর আগ্রহে দিন যাপন করছ। আল্লাহ তাড়াতাড়ি আমাদের মনো বাসনা পূরণ করুক এবং আমাদেরকে সমস্ত বিপদ আপদ থেকে হেফাজত করুক, এই দোয়া করে শেষ করছি-আল্লাহ হাফেজ।
ইতি
তোমার হারিয়ে যাওয়া প্রেমিক
আতাহার।
চিঠিটা শেষ করে ভেবে রাখল, কাল কুলসুমকে দিয়ে এটা শবনমের কাছে পাঠাবে।