হঠাৎ বেশ কাছ থেকে কয়েকটা টর্চের উজ্জ্বল আলো পড়ল রানার চোখের। উপর। চোখটা ধাধিয়ে গিয়ে কিছুই দেখতে পেল না ও সামনে। কানে এল কে বলছে, ওই যে, আরেক ব্যাটাকে পাওয়া গেছে। স্টেনগান রেডি রাখো, এর, কাছেও পিস্তল থাকতে পারে। সাবধানে ঘিরে ফেলো নৌকা দিয়ে।
স্বাভাবিক আত্মরক্ষার তাগিদে ডুব দিতে যাবে রানা-এমন সময় কানে এল। আবদুল হাইয়ের পরিচিত স্বর।
আরে, এ তো আমাদের মাসুদ রানা! এই লতিফ, জলদি কাছে নিয়ে চলো শাম্পান! আপনি এখানে কী করছেন, মাসুদ সাহেব?’
রানা জবাব দিতে চেষ্টা করল কিন্তু আওয়াজ বেরোল না গলা দিয়ে। রানার মুমুর্মু দেহটা তিনজনে টেনে তুলল নৌকার উপর। ঠিক সেই সময় প্রচণ্ড এক বিস্ফোরণ হলো কাছেই কোথাও। রানা চেয়ে দেখল অভিশপ্ত পাহাড়ের চূড়োটা ধীরে ধীরে তলিয়ে যাচ্ছে পানির নীচে। মস্ত বড় বড় ঢেউ উঠল বিশাল রিজারভয়েরের গভীর হৃদয় মন্থন করে।
বিস্মিত আবদুল হাই বলল, কী হলো! ভয়ঙ্কর এক্সপ্লোশন হলো বলে মনে হচ্ছে!
এবারও কোনও জবাব দিতে পারল না রানা। একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে চোখ বুজল নৌকার পাটাতনে শুয়ে।