কি যেন ভাবলো কুয়াশা। তারপর ফিরে এলো গোগীর কাছে। আনন্দে ও কৃতজ্ঞতায় জ্বল জ্বল করে উঠলো গোগীর ছোটো ছোটো চোখ দুটো। একান্ত বিশ্বাসে, পরম নির্ভরতায় তার গলা দিয়ে খুশির অভিব্যক্তি রেরিয়ে এলো ঘর ঘর।
মাটি থেকে নেসারের পিস্তলটা তুলে নিলো কুয়াশী। তারপর নিষ্ঠুরভাবে পর পর দুবার গুলি করলো সে গোগীর হৃৎপিণ্ড লক্ষ্য করে। সিম্পসনের হাতে মরার চেয়ে এই-ই ভালো।
চমকে উঠলো গেী। অবাক হয়ে গেল সে। কোনও শব্দ বেরোলো না তার মুখ দিয়ে। স্তব্ধ বিস্ময়ে কুয়াশার চোখে চোখে তাকিয়ে রইলো। এই অসম্ভব ব্যাপার সে বিশ্বাস করবে কি করে?
চলে গেল কুয়াশা। পিছনে আহত, মুমূর্ষ গোগী বোবা দৃষ্টি মেলে তাকিয়ে রইলো প্রভুর যাত্রা পথের দিকে।
Page 26 of 26