- সূরার নাম: সূরা মুমতাহিনা
- বিভাগসমূহ: ইসলামিক বই, কোরআন শরীফ
সূরা মুমতাহিনা
আয়াতঃ 060.001
মুমিনগণ, তোমরা আমার ও তোমাদের শত্রুদেরকে বন্ধরূপে গ্রহণ করো না। তোমরা তো তাদের প্রতি বন্ধুত্বের বার্তা পাঠাও, অথচ তারা যে সত্য তোমাদের কাছে আগমন করেছে, তা অস্বীকার করছে। তারা রসূলকে ও তোমাদেরকে বহিস্কার করে এই অপরাধে যে, তোমরা তোমাদের পালনকর্তার প্রতি বিশ্বাস রাখ। যদি তোমরা আমার সন্তুষ্টিলাভের জন্যে এবং আমার পথে জেহাদ করার জন্যে বের হয়ে থাক, তবে কেন তাদের প্রতি গোপনে বন্ধুত্বের পয়গাম প্রেরণ করছ? তোমরা যা গোপন কর এবং যা প্রকাশ কর, ত আমি খুব জানি। তোমাদের মধ্যে যে এটা করে, সে সরলপথ থেকে বিচ্যুত হয়ে যায়।
O you who believe! Take not My enemies and your enemies (i.e. disbelievers and polytheists, etc.) as friends, showing affection towards them, while they have disbelieved in what has come to you of the truth (i.e. Islâmic Monotheism, this Qur’ân, and Muhammad SAW), and have driven out the Messenger (Muhammad SAW) and yourselves (from your homeland) because you believe in Allâh your Lord! If you have come forth to strive in My Cause and to seek My Good Pleasure, (then take not these disbelievers and polytheists, etc., as your friends). You show friendship to them in secret, while I am All-Aware of what you conceal and what you reveal. And whosoever of you (Muslims) does that, then indeed he has gone (far) astray, (away) from the Straight Path .
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَتَّخِذُوا عَدُوِّي وَعَدُوَّكُمْ أَوْلِيَاء تُلْقُونَ إِلَيْهِم بِالْمَوَدَّةِ وَقَدْ كَفَرُوا بِمَا جَاءكُم مِّنَ الْحَقِّ يُخْرِجُونَ الرَّسُولَ وَإِيَّاكُمْ أَن تُؤْمِنُوا بِاللَّهِ رَبِّكُمْ إِن كُنتُمْ خَرَجْتُمْ جِهَادًا فِي سَبِيلِي وَابْتِغَاء مَرْضَاتِي تُسِرُّونَ إِلَيْهِم بِالْمَوَدَّةِ وَأَنَا أَعْلَمُ بِمَا أَخْفَيْتُمْ وَمَا أَعْلَنتُمْ وَمَن يَفْعَلْهُ مِنكُمْ فَقَدْ ضَلَّ سَوَاء السَّبِيلِ
Ya ayyuha allatheena amanoo la tattakhithoo AAaduwwee waAAaduwwakum awliyaa tulqoona ilayhim bialmawaddati waqad kafaroo bima jaakum mina alhaqqi yukhrijoona alrrasoola wa-iyyakum an tu/minoo biAllahi rabbikum in kuntum kharajtum jihadan fee sabeelee waibtighaa mardatee tusirroona ilayhim bialmawaddati waana aAAlamu bima akhfaytum wama aAAlantum waman yafAAalhu minkum faqad dalla sawaa alssabeeli
YUSUFALI: O ye who believe! Take not my enemies and yours as friends (or protectors),- offering them (your) love, even though they have rejected the Truth that has come to you, and have (on the contrary) driven out the Prophet and yourselves (from your homes), (simply) because ye believe in Allah your Lord! If ye have come out to strive in My Way and to seek My Good Pleasure, (take them not as friends), holding secret converse of love (and friendship) with them: for I know full well all that ye conceal and all that ye reveal. And any of you that does this has strayed from the Straight Path.
PICKTHAL: O ye who believe! Choose not My enemy and your enemy for allies. Do ye give them friendship when they disbelieve in that truth which hath come unto you, driving out the messenger and you because ye believe in Allah, your Lord? If ye have come forth to strive in My way and seeking My good pleasure, (show them not friendship). Do ye show friendship unto them in secret, when I am Best Aware of what ye hide and what ye proclaim? And whosoever doeth it among you, he verily hath strayed from the right way.
SHAKIR: O you who believe! do not take My enemy and your enemy for friends: would you offer them love while they deny what has come to you of the truth, driving out the Messenger and yourselves because you believe in Allah, your Lord? If you go forth struggling hard in My path and seeking My pleasure, would you manifest love to them? And I know what you conceal and what you manifest; and whoever of you does this, he indeed has gone astray from the straight path.
KHALIFA: O you who believe, you shall not befriend My enemies and your enemies, extending love and friendship to them, even though they have disbelieved in the truth that has come to you. They persecute the messenger, and you, just because you believe in GOD, your Lord. If you mobilize to struggle in My cause, seeking My blessings, how can you secretly love them? I am fully aware of everything you conceal, and everything you declare. Those among you who do this have indeed strayed off the right path.
=============
সূরা মুম্তাহিনা বা যে মহিলাকে পরীক্ষা করা হবে – ৬০
১৩ আয়াত, ২ রুকু, মাদানী
[ দয়াময়, পরম করুণাময় আল্লাহ্র নামে ]
ভূমিকা : মদিনায় অবতীর্ণ সূরা সমূহের যে দশটি সূরার শ্রেণীর উল্লেখ করা হয়েছে এটি হচ্ছে সেই শ্রেণীর চতুর্থ সূরা। এই শ্রেণীর প্রতিটি সূরা মুসলিম সম্প্রদায়ের জীবন ব্যবস্থার বিশেষ বিশেষ দিকগুলি আলোচনা করেছে।
এই সূরাতে যে বিষয়বস্তুর অবতারণা করা হয়েছে তা হচ্ছে, অবিশ্বাসী বা কাফেরদের সাথে সামাজিক সম্পর্ক সম্ভব কি ? এ ব্যাপারে অবিশ্বাসীদের দুই শ্রেণীতে বিভক্ত করা হয়েছে। একদল যারা তোমার ধর্মীয় বিশ্বাসের জন্য তোমাকে নির্যাতন করতে চায় এবং ধ্বংস করতে চায় ; অপরদল যাদের এরূপ কোনও অন্ধ বিদ্বেষ নাই। শেষোক্ত দলের জন্য আল্লাহ্র ক্ষমা ও করুণা লাভের সম্ভাবনা আছে। নারী ও অপর ধর্মে বিশ্বাসীদের বৈবাহিক সম্পর্কের উপরে আলোকপাত করা হয়েছে।
এই সূরার সময়কাল সম্বন্ধে বলা হয় যে, তা ছিলো হুদায়বিয়ার সন্ধিচুক্তি ভঙ্গের পর। দেখুন ৪৮ নং সূরার ভূমিকা। সম্ভবতঃ তা ছিলো ৮ম হিজরীতে – মক্কা বিজয়ের কিছু পুর্বে।
সার সংক্ষেপ : ধর্মের শত্রুরা তোমাকে ও তোমার বিশ্বাসকে ধ্বংস করতে উদগ্রীব। এরা তোমার ভালোবাসার পাওয়ার যোগ্য নয়। ইব্রাহীমের উদাহরণ অনুসরণ কর। যে সব অবিশ্বাসীরা তোমার প্রতি বিদ্বেষ ও আক্রোশ পোষণ না করে, তাদের সহানুভূতি ও ন্যায়ের সাথে ব্যবহার করবে। বিশ্বাসী ও অবিশ্বাসীর মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্ক। [ ৬০ : ১ – ১৩ ]।
সূরা মুম্তাহিনা বা যে মহিলাকে পরীক্ষা করা হবে – ৬০
১৩ আয়াত, ২ রুকু, মাদানী
[ দয়াময়, পরম করুণাময় আল্লাহ্র নামে ]
১। হে বিশ্বাসীগণ ! তোমাদের এবং আমার শত্রুদের, বন্ধু [ অথবা রক্ষাকর্তা ] হিসেবে গ্রহণ করো না। তোমরা তাদের প্রতি [ তোমাদের ] ভালোবাসা নিবেদন কর ৫৪০৯ অথচ, তোমাদের নিকট যে সত্য এসেছে, তারা তা প্রত্যাখান করে, রসুলকে এবং তোমাদের [ মাতৃভূমি থেকে ] বহিষ্কার করেছে তার কারণ [ শুধুমাত্র ] এই যে, তোমরা তোমাদের প্রভু আল্লাহ্তে বিশ্বাস স্থাপন কর ৫৪১০। যদি তোমরা আমার পথে জিহাদের উদ্দেশ্যে এবং আমার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য বের হও, [ তবে তাদের বন্ধু হিসেবে নিও না ]। তোমরা তাদের সাথে গোপনে ভালোবাসা ও বন্ধুত্ব কর। তোমরা যা গোপন কর আর যা প্রকাশ কর, আমি তা খুব ভালোভাবেই জানি। এবং তোমাদের মধ্যে যে কেউ তা করে, সে তো সরল পথ থেকে বিচ্যুত হয়।
৫৪০৯। এই আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার প্রেক্ষাপট ছিলো, নিম্নরূপ : মক্কা অভিযানের প্রস্তুতি চলাকালে হাবিব ইব্ন বালতা’আ নামে এক মোহাজের এই অভিযানের সংবাদ এক চিঠিতে গোপনে মক্কাবাসীদের জানিয়েছিলেন। তাঁর পরিবার পরিজন ছিলো মক্কায়। তিনি তার পরিবার পরিজনের নিরাপত্তার সম্পর্কে শংকিত হয়ে, তাদের নিরাপত্তা প্রার্থনা করে এ কাজ করেছিলেন। রাসুলুল্লাহ্ (সা) ওহী মারফত এ কথা জানতে পারেন এবং চিঠিটা উদ্ধার করেন। হাবিব (রা) তার অন্যায় স্বীকার করেন ও ক্ষমা প্রার্থনা করেন। যেহেতু তার কর্মের উদ্দেশ্য অসৎ প্রণোদিত ছিলো না সে কারণে তাকে ক্ষমা করে দেয়া হয়। এই ঘটনাটি ছিলো মক্কা বিজয়ের অল্প কিছু পূর্বের। এর আবেদন বিশ্বজনীন – যুগ কাল অতিক্রান্ত। যারা তোমার ও তোমার ধর্মের শত্রু, যারা তোমাকে ও তোমার ধর্মীয় বিশ্বাসকে ধ্বংস করতে চায়, তাদের সাথে গোপনে অন্তরঙ্গতা প্রার্থনা করা উচিত নয়। এমন কাজ পরিবার পরিজনদের জন্যও করা উচিত নয় – কারণ এরূপ কর্ম দ্বারা সমগ্র সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা হয় হুমকির মুখে।
৫৪১০। এই আয়াতগুলির মাধ্যমে হিজরতের পরে মদিনার মুসলিম সম্প্রদায়ের তৎকালীন অবস্থার বর্ণনা করা হয়েছে। সময় কালটি ছিলো মক্কা বিজয়ের পূর্বে।
আয়াতঃ 060.002
তোমাদেরকে করতলগত করতে পারলে তারা তোমাদের শত্রু হয়ে যাবে এবং মন্দ উদ্দেশ্যে তোমাদের প্রতি বাহু ও রসনা প্রসারিত করবে এবং চাইবে যে, কোনরূপে তোমরা ও কাফের হয়ে যাও।
Should they gain the upper hand over you, they would behave to you as enemies, and stretch forth their hands and their tongues against you with evil, and they desire that you should disbelieve.
إِن يَثْقَفُوكُمْ يَكُونُوا لَكُمْ أَعْدَاء وَيَبْسُطُوا إِلَيْكُمْ أَيْدِيَهُمْ وَأَلْسِنَتَهُم بِالسُّوءِ وَوَدُّوا لَوْ تَكْفُرُونَ
In yathqafookum yakoonoo lakam aAAdaan wayabsutoo ilaykum aydiyahum waalsinatahum bialssoo-i wawaddoo law takfuroona
YUSUFALI: If they were to get the better of you, they would behave to you as enemies, and stretch forth their hands and their tongues against you for evil: and they desire that ye should reject the Truth.
PICKTHAL: If they have the upper hand of you, they will be your foes, and will stretch out their hands and their tongues toward you with evil (intent), and they long for you to disbelieve.
SHAKIR: If they find you, they will be your enemies, and will stretch forth towards you their hands and their tongues with evil, and they ardently desire that you may disbelieve.
KHALIFA: Whenever they encounter you, they treat you as enemies, and hurt you with their hands and tongues. They want you to disbelieve.
২। যদি তারা তোমাদের হাতে পায় ৫৪১১, তবে তারা তোমাদের সাথে শত্রুর মত ব্যবহার করবে, এবং তোমাদের ক্ষতি সাধনের জন্য তাদের হস্ত ও রসনাকে প্রসার করবে। তারা কামনা করে যে, তোমরাও সত্যকে প্রত্যাখান কর।
৫৪১১। যেখানে ধর্ম ও নিজ সম্প্রদায় বিপন্ন, সেখানে শত্রুদের সাথে যে কোনও সখ্যতা হচ্ছে জাতির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা। নিজ জনগণের সাথে বিশ্বস্ততার প্রশ্নটি এখানে জড়িত। এরূপ ক্ষেত্রে শত্রু পক্ষের যে আচরণ তাই-ই এই আয়াতের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে শত্রুরা তোমাকে স্বাগত জানাবে – বিড়াল যেভাবে ইদুরকে স্বাগত জানায়। এরূপ ক্ষেত্রে শত্রুরা যখন তোমাকে ও তোমার সম্প্রদায়কে নিজেদের আয়ত্বে আনতে সক্ষম হবে তখন কি ঘটে ? তখন তারা তাদের নিজ মূর্তি ধারণ করে। তাদের আচরণ তখন হয় ভয়াবহ। তারা শুধু যে তাদের জিহ্বা ও হাত দ্বারাই তোমাকে কষ্ট দেয় তাই-ই নয়।তাদের ঘৃণার প্রকাশ ঘটে এই বাক্য দ্বারা ” নিজ সম্প্রদায়ের সাথে বিশ্বাসঘাতক।” যদি তারা মিষ্ট কথা বা আচরণ দ্বারা এখন তোমার সাথে ষড়যন্ত্র করতে চায়, তবে তা হচ্ছে তোমাকে সত্য ও ন্যায়ের পথ থেকে বিচ্যুত করার জন্য এবং তোমাকে তাদের পাপের পথে পরিচালিত করার জন্য। তারা কখনও তোমার মিত্র নয়।
আয়াতঃ 060.003
তোমাদের স্বজন-পরিজন ও সন্তান-সন্ততি কিয়ামতের দিন কোন উপকারে আসবে না। তিনি তোমাদের মধ্যে ফয়সালা করবেন। তোমরা যা কর, আল্লাহ তা দেখেন।
Neither your relatives nor your children will benefit you on the Day of Resurrection (against Allâh). He will judge between you. And Allâh is the All-Seer of what you do.
لَن تَنفَعَكُمْ أَرْحَامُكُمْ وَلَا أَوْلَادُكُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ يَفْصِلُ بَيْنَكُمْ وَاللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ بَصِيرٌ
Lan tanfaAAakum arhamukum wala awladukum yawma alqiyamati yafsilu baynakum waAllahu bima taAAmaloona baseerun
YUSUFALI: Of no profit to you will be your relatives and your children on the Day of Judgment: He will judge between you: for Allah sees well all that ye do.
PICKTHAL: Your ties of kindred and your children will avail you naught upon the Day of Resurrection. He will part you. Allah is Seer of what ye do.
SHAKIR: Your relationship would not profit you, nor your children on the day of resurrection; He will decide between you; and Allah sees what you do.
KHALIFA: Your relatives and your money can never help you. On the Day of Resurrection, He will judge among you. GOD is Seer of everything you do.
৩। শেষ বিচারের দিনে তোমাদের আত্মীয় -স্বজন এবং তোমাদের সন্তান সন্তুতি কোন উপকারে আসবে না ৫৪১২। আল্লাহ্ তোমাদের মধ্যে বিচার করে দেবেন। তোমরা যা কর আল্লাহ্ তা সুস্পষ্টভাবে দেখেন।
৫৪১২। এক অমোঘ সত্যকে এই আয়াতের মাধ্যমে বিশ্ববাসীকে জানানো হয়েছে। নিজ সম্প্রদায়ের সাথে বিশ্বাসঘাতকতাকে কোন যুক্তির সাহায্যেই সমর্থন করা যাবে না। আত্মীয় -স্বজন, ও সন্তান -সন্ততি পরলোকে কোনও উপকারেই আসবে না। পরিবার -পরিজন বা সন্তান-সন্ততি সেদিন শাস্তি থেকে রক্ষা করতে পারবে না। সেদিন বিচারের ভার থাকবে সর্বশক্তিমান আল্লাহ্র হাতে, যিনি বান্দার সর্ব গোপন ইচ্ছা ও কর্মের উদ্দেশ্য সম্বন্ধে জ্ঞাত।
আয়াতঃ 060.004
তোমাদের জন্যে ইব্রাহীম ও তাঁর সঙ্গীগণের মধ্যে চমৎকার আদর্শ রয়েছে। তারা তাদের সম্প্রদায়কে বলেছিলঃ তোমাদের সাথে এবং তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে যার এবাদত কর, তার সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই। আমরা তোমাদের মানি না। তোমরা এক আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন না করলে তোমাদের মধ্যে ও আমাদের মধ্যে চিরশত্রুতা থাকবে। কিন্তু ইব্রাহীমের উক্তি তাঁর পিতার উদ্দেশে এই আদর্শের ব্যতিক্রম। তিনি বলেছিলেনঃ আমি অবশ্যই তোমার জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করব। তোমার উপকারের জন্যে আল্লাহর কাছে আমার আর কিছু করার নেই। হে আমাদের পালনকর্তা! আমরা তোমারই উপর ভরসা করেছি, তোমারই দিকে মুখ করেছি এবং তোমারই নিকট আমাদের প্রত্যাবর্তন।
Indeed there has been an excellent example for you in Ibrâhim (Abraham) and those with him, when they said to their people: ”Verily, we are free from you and whatever you worship besides Allâh, we have rejected you, and there has started between us and you, hostility and hatred for ever, until you believe in Allâh Alone,” except the saying of Ibrâhim (Abraham) to his father: ”Verily, I will ask for forgiveness (from Allâh) for you, but I have no power to do anything for you before Allâh .” Our Lord! In You (Alone) we put our trust, and to You (Alone) we turn in repentance, and to You (Alone) is (our) final Return,
قَدْ كَانَتْ لَكُمْ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ فِي إِبْرَاهِيمَ وَالَّذِينَ مَعَهُ إِذْ قَالُوا لِقَوْمِهِمْ إِنَّا بُرَاء مِنكُمْ وَمِمَّا تَعْبُدُونَ مِن دُونِ اللَّهِ كَفَرْنَا بِكُمْ وَبَدَا بَيْنَنَا وَبَيْنَكُمُ الْعَدَاوَةُ وَالْبَغْضَاء أَبَدًا حَتَّى تُؤْمِنُوا بِاللَّهِ وَحْدَهُ إِلَّا قَوْلَ إِبْرَاهِيمَ لِأَبِيهِ لَأَسْتَغْفِرَنَّ لَكَ وَمَا أَمْلِكُ لَكَ مِنَ اللَّهِ مِن شَيْءٍ رَّبَّنَا عَلَيْكَ تَوَكَّلْنَا وَإِلَيْكَ أَنَبْنَا وَإِلَيْكَ الْمَصِيرُ
Qad kanat lakum oswatun hasanatun fee ibraheema waallatheena maAAahu ith qaloo liqawmihim inna buraao minkum wamimma taAAbudoona min dooni Allahi kafarna bikum wabada baynana wabaynakumu alAAadawatu waalbaghdao abadan hatta tu/minoo biAllahi wahdahu illa qawla ibraheema li-abeehi laastaghfiranna laka wama amliku laka mina Allahi min shay-in rabbana AAalayka tawakkalna wa-ilayka anabna wa-ilayka almaseeru
YUSUFALI: There is for you an excellent example (to follow) in Abraham and those with him, when they said to their people: “We are clear of you and of whatever ye worship besides Allah: we have rejected you, and there has arisen, between us and you, enmity and hatred for ever,- unless ye believe in Allah and Him alone”: But not when Abraham said to his father: “I will pray for forgiveness for thee, though I have no power (to get) aught on thy behalf from Allah.” (They prayed): “Our Lord! in Thee do we trust, and to Thee do we turn in repentance: to Thee is (our) Final Goal.
PICKTHAL: There is a goodly pattern for you in Abraham and those with him, when they told their folk: Lo! we are guiltless of you and all that ye worship beside Allah. We have done with you. And there hath arisen between us and you hostility and hate for ever until ye believe in Allah only – save that which Abraham promised his father (when he said): I will ask forgiveness for thee, though I own nothing for thee from Allah – Our Lord! In Thee we put our trust, and unto Thee we turn repentant, and unto Thee is the journeying.
SHAKIR: Indeed, there is for you a good example in Ibrahim and those with him when they said to their people: Surely we are clear of you and of what you serve besides Allah; we declare ourselves to be clear of you, and enmity and hatred have appeared between us and you forever until you believe in Allah alone– but not in what Ibrahim said to his father: I would certainly ask forgiveness for you, and I do not control for you aught from Allah– Our Lord! on Thee do we rely, and to Thee do we turn, and to Thee is the eventual coming:
KHALIFA: A good example has been set for you by Abraham and those with him. They said to their people, “We disown you and the idols that you worship besides GOD. We denounce you, and you will see nothing from us except animosity and hatred until you believe in GOD ALONE.” However, a mistake was committed by Abraham when he said to his father, “I will pray for your forgiveness, but I possess no power to protect you from GOD.” “Our Lord, we trust in You, and submit to You; to You is the final destiny.
৪। তোমাদের জন্য ইব্রাহীম ও তার অনুসারীদের মধ্যে রয়েছে [ অনুসরণের জন্য ] উত্তম আদর্শ ৫৪১৩। যখন তারা তাদের সম্প্রদায়কে বলেছিলো, “তোমাদের সাথে, এবং তোমরা আল্লাহ্ ব্যতীত যাদের এবাদত কর তার সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক নাই। আমরা তোমাদের [ ধর্মকে ] প্রত্যাখান করি; আমাদের ও তোমাদের মধ্যে চিরদিন শত্রুতা ও বিদ্বেষ বর্তমান থাকবে ; যতদিন না তোমরা একমাত্র আল্লাহ্র উপরে ঈমান আন ৫৪১৪। ” তবে ব্যতিক্রম পিতার প্রতি ইব্রাহীমের উক্তি ; “আমি নিশ্চয়ই তোমার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করবো ৫৪১৫, যদিও আমি আল্লাহ্র তরফ থেকে তোমার জন্য [ শাস্তি এড়াবার ] কোন ক্ষমতা রাখি না।” [ তারা প্রার্থনা করেছিলো ] : ” হে আমাদের প্রভু ! ৫৪১৬ আমরা তোমার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করি, এবং তোমার প্রতি আমরা অনুতাপের মাধ্যমে ফিরে যাই ; তোমার কাছেই [ আমাদের ] শেষ গন্তব্যস্থল।
৫৪১৩। দেখুন [ ৯ : ১১৪ ]। হযরত ইব্রাহীম ছিলেন দয়ালু ও তাঁর পিতা এবং সম্প্রদায়ের প্রতি অনুগত। তিনি তাঁর সম্প্রদায়কে পৌত্তলিকতার বিরুদ্ধে এবং তাদের পাপের বিরুদ্ধে সাবধান করেন। কিন্তু তার বার বার সাবধান বাণী সত্বেও তারা যখন তাদের পাপ থেকে বিমুক্ত হলেন না, বরং তারা হলেন আল্লাহ্র প্রকাশ্য শত্রু। এরূপ ক্ষেত্রে হযরত ইব্রাহীম তাঁর পিতা ও সম্প্রদায়ের সাথে সকল সম্পর্ক -চ্ছেদ করেন এবং নিজ মাতৃভূমি ও স্বজন-পরিজন, ত্যাগ করে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি দেন। “তাহার অনুসারী ” ছিলেন তাঁর স্ত্রী। তাঁর ভ্রাতুষ্পুত্র লূত এবং অন্যান্য ধর্মাপরায়ণ বান্দা। যারা তাঁর সাথে নির্বাসনে গমন করেন।
৫৪১৪। যারা আল্লাহ্র শত্রু,তারা বিশ্বাসীদেরও শত্রু। এখানে আত্মীয়তার বন্ধন কোনও বড় কথা নয়। সুতারাং পূণ্যাত্মারা আল্লাহ্র শত্রুদের সাথে চিরজীবনের জন্য বন্ধন চ্ছেদ করবে, যতক্ষণ না তারা অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহ্র রাস্তায় ফিরে আসে। সে ক্ষেত্রে তারা আল্লাহ্র ক্ষমা ও অনুগ্রহ লাভে সক্ষম হবে এবং মোমেন বান্দাদের ভালোবাসা ও ভাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হবে এভাবেই পাপীদের জন্যও সুযোগ আছে। দেখুন নীচের আয়াত ৭। কিন্তু কোনও অবস্থাতেই আমরা পাপী ও অবিশ্বাসীদের বিশ্বাসী সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে কাজ করার সুযোগ দান করবো না।
৫৪১৫। সূরা [ ৯: ১১৪ ] ও টিকা ১৩৬৫ এবং পূর্বের টিকা নং ৫৪১৩ দেখুন অনুরূপ তথ্যাদির জন্য। হযরত ইব্রাহীম তার পাপিষ্ঠ পিতার জন্য আল্লাহ্র দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা করতেন। তাঁর এই আচরণ অবশ্যই নিন্দনীয় ছিলো না। কারণ এটা একটা বিশেষ ঘটনা। এই ঘটনাকে কেউ যেনো অনুসরণীয় ঘটনা বলে না ভাবে।যারা দুর্বল চরিত্রের অধিকারী তারা যেনো পাপীদের সাথে অন্তরঙ্গতার ফলে নিজেই পাপের ফাঁদে আটকা না পড়ে।
৫৪১৬। হযরত ইব্রাহীমের এই মুনাজাত আমাদের পথ নির্দ্দেশ দান করে থাকে যে, পৃথিবীতে এই জীবনে আমাদের জীবনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কি হওয়া উচিত। আমাদের সকল বিশ্বাস, সমর্পিত হবে শুধুমাত্র সর্ব শক্তিমান আল্লাহ্র প্রতি। আমাদের ও আমাদের পরিজনের রক্ষার জন্য আমরা কোনও অবস্থাতেই আল্লাহ্ ব্যতীত আল্লাহ্র শত্রুদের সাহায্য কামনা করবো না।
আয়াতঃ 060.005
হে আমাদের পালনকর্তা! তুমি আমাদেরকে কাফেরদের জন্য পরীক্ষার পাত্র করো না। হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদের ক্ষমা কর। নিশ্চয় তুমি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।
”Our Lord! Make us not a trial for the disbelievers, and forgive us, Our Lord! Verily, You, only You are the All-Mighty, the All-Wise.”
رَبَّنَا لَا تَجْعَلْنَا فِتْنَةً لِّلَّذِينَ كَفَرُوا وَاغْفِرْ لَنَا رَبَّنَا إِنَّكَ أَنتَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ
Rabbana la tajAAalna fitnatan lillatheena kafaroo waighfir lana rabbana innaka anta alAAazeezu alhakeemu
YUSUFALI: “Our Lord! Make us not a (test and) trial for the Unbelievers, but forgive us, our Lord! for Thou art the Exalted in Might, the Wise.”
PICKTHAL: Our Lord! Make us not a prey for those who disbelieve, and forgive us, our Lord! Lo! Thou, only Thou, are the Mighty, the Wise.
SHAKIR: Our Lord! do not make us a trial for those who disbelieve, and forgive us, our Lord! surely Thou art the Mighty, the Wise.
KHALIFA: “Our Lord, let us not be oppressed by those who disbelieved, and forgive us. You are the Almighty, Most Wise.”
৫। “হে আমাদের প্রভু ! তুমি আমাদের অবিশ্বাসীদের পীড়নের পাত্র করো না ৫৪১৭; আমাদের ক্ষমা কর। হে আমাদের প্রভু ! তুমি তো মহাপরাক্রমশালী, প্র্জ্ঞাময়। ”
৫৪১৭। সূরা [ ৮ : ২৫ ] আয়াতের টিকা ১১৯৮ তে ‘Fitnat’ শব্দটির ব্যাখ্যা করা হয়েছে। সূরা [ ২ : ১০২ ] আয়াতে হারুত ও মারুতের কথা বর্ণনা করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে যে হারুত ও মারুত ছিলেন পূণ্যাত্মা ও পাপীদের জন্য পরীক্ষা স্বরূপ। যিনি পূণ্যাত্মা তিনি তাঁর সকল বিশ্বাস আল্লাহ্র উপরে ন্যস্ত করবেন। অপরপক্ষে যারা অবিশ্বাসী, তারা সর্বান্তকরণে আল্লাহ্র উপরে নির্ভরশীল হবে না – তারা পাপের পথে ও কুসংস্কারের বেড়াজালে মুক্তির পথ হাতড়ে বেড়াবে। এই আয়াতে আল্লাহ্র নিকট প্রার্থনা করা হয়েছে যে : আমাদের ঈমান যেনো এতটা দুর্বল না হয় যাতে কাফেররা আমাদের আক্রমণ করে ধ্বংস করার জন্য প্রলুব্ধ হয়। আল্লাহ্ যেনো আমাদের এই দুর্বলতা থেকে রক্ষা করেন।
আয়াতঃ 060.006
তোমরা যারা আল্লাহ ও পরকাল প্রত্যাশা কর, তোমাদের জন্য তাদের মধ্যে উত্তম আদর্শ রয়েছে। আর যে মুখ ফিরিয়ে নেয়, তার জানা উচিত যে, আল্লাহ বেপরওয়া, প্রশংসার মালিক।
Certainly, there has been in them an excellent example for you to follow, for those who look forward to (the Meeting with) Allâh (for the reward from Him) and the Last Day. And whosoever turn away, then verily, Allâh is Rich (Free of all wants), Worthy of all Praise.
لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِيهِمْ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ لِمَن كَانَ يَرْجُو اللَّهَ وَالْيَوْمَ الْآخِرَ وَمَن يَتَوَلَّ فَإِنَّ اللَّهَ هُوَ الْغَنِيُّ الْحَمِيدُ
Laqad kana lakum feehim oswatun hasanatun liman kana yarjoo Allaha waalyawma al-akhira waman yatawalla fa-inna Allaha huwa alghanniyyu alhameedu
YUSUFALI: There was indeed in them an excellent example for you to follow,- for those whose hope is in Allah and in the Last Day. But if any turn away, truly Allah is Free of all Wants, Worthy of all Praise.
PICKTHAL: Verily ye have in them a goodly pattern for everyone who looketh to Allah and the Last Day. And whosoever may turn away, lo! still Allah, He is the Absolute, the Owner of Praise.
SHAKIR: Certainly there is for you in them a good example, for him who fears Allah and the last day; and whoever turns back, then surely Allah is the Self-sufficient, the Praised.
KHALIFA: A good example has been set by them for those who seek GOD and the Last Day. As for those who turn away, GOD is in no need (of them), Most Praiseworthy.
৬। তোমরা যারা আল্লাহ্ ও আখেরাতের [কল্যাণের ] প্রত্যাশা কর, নিশ্চয়ই তোমাদের অনুসরণের জন্য তাদের মধ্যে ৫৪১৮, রয়েছে উত্তম আদর্শ। কিন্তু কেউ যদি মুখ ফিরিয়ে নেয়, অবশ্যই আল্লাহ্ সকল অভাবমুক্ত, সকল প্রশংসার যোগ্য ৫৪১৯।
৫৪১৮। “তাহাদের মধ্যে ” – অর্থাৎ তাদের প্রার্থনা, আল্লাহ্র উপরে নির্ভরশীলতা এবং পাপ বা মন্দ থেকে দূরে অবস্থানের মধ্যে। এরা হলেন হযরত ইব্রাহীম ও তাঁর অনুসারীরা।
৫৪১৯। যদি কেউ আল্লাহ্র বাণী বা আইন বা জীবন বিধানকে প্রত্যাখান করে, তবে ক্ষতি আল্লাহ্র নয়, তারই। আল্লাহ্ অভাবমুক্ত। তিনি কারও মুখাপেক্ষী নন। কারও এবাদত বা ত্যাগ বা প্রশংসায় তার প্রয়োজন নাই। আল্লাহ্ এ সবের বহু উর্দ্ধে। সমস্ত সৃষ্টিতে, বিশ্ব -ভূবনের অণু-পরমাণুতে তার জ্ঞান ও প্রজ্ঞা ছড়িয়ে আছে। যে তা উপলব্ধিতে সক্ষম, লাভ তারই। যে উপলব্ধি করে না ক্ষতি তারই। আল্লাহকে প্রশংসা করার মাধ্যমেই আত্মার মুক্তি ঘটে। আল্লাহ্ অভাবমুক্ত। আমাদের প্রশংসার তার প্রয়োজন নাই। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় : সুন্দর দৃশ্য বা প্রকৃতির অপরূপ রূপরাজি দর্শনে হৃদয়ে বিমল আনন্দের সৃষ্টি হয়, আত্মা হয় বিমোহিত, পরিতৃপ্ত, শান্ত। ব্যক্তির এই অনুভূতি দ্বারা প্রকৃতির কোনও উপকার হয় না – প্রকৃতি তার নিজস্ব নিয়ম ও সৌন্দর্যে ভাস্বর থাকে। উপকার যা তা ব্যক্তির নিজস্ব অনুভূতি। যে ব্যক্তি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগে অক্ষম সে হতভাগ্য প্রকৃতি তাতে ক্ষতিগ্রস্থ হয় না। ক্ষতিগ্রস্থ হয় অনুভূতিহীন ব্যক্তি। ঠিক সেরূপ হচ্ছে ব্যক্তির জন্য আল্লাহ্ প্রেম, পাপীদের বিরুদ্ধাচাণে আল্লাহ্র কোনও ক্ষতি নাই – অপরপক্ষে আল্লাহ্ প্রেমে পূণ্যাত্মাদের হৃদয় হয় আলোকিত, শান্ত, নিবিড় অনুভূতিতে আপ্লুত।
আয়াতঃ 060.007
যারা তোমাদের শত্রু আল্লাহ তাদের মধ্যে ও তোমাদের মধ্যে সম্ভবতঃ বন্ধুত্ব সৃষ্টি করে দেবেন। আল্লাহ সবই করতে পারেন এবং আল্লাহ ক্ষমাশীল, করুণাময়।
Perhaps Allâh will make friendship between you and those whom you hold as enemies. And Allâh has power (over all things), and Allâh is Oft-Forgiving, Most Merciful.
عَسَى اللَّهُ أَن يَجْعَلَ بَيْنَكُمْ وَبَيْنَ الَّذِينَ عَادَيْتُم مِّنْهُم مَّوَدَّةً وَاللَّهُ قَدِيرٌ وَاللَّهُ غَفُورٌ رَّحِيمٌ
AAasa Allahu an yajAAala baynakum wabayna allatheena AAadaytum minhum mawaddatan waAllahu qadeerun waAllahu ghafoorun raheemun
YUSUFALI: It may be that Allah will grant love (and friendship) between you and those whom ye (now) hold as enemies. For Allah has power (over all things); And Allah is Oft-Forgiving, Most Merciful.
PICKTHAL: It may be that Allah will ordain love between you and those of them with whom ye are at enmity. Allah is Mighty, and Allah is Forgiving, Merciful.
SHAKIR: It may be that Allah will bring about friendship between you and those whom you hold to be your enemies among them; and Allah is Powerful; and Allah is Forgiving, Merciful.
KHALIFA: GOD may change the animosity between you and them into love. GOD is Omnipotent. GOD is Forgiver, Most Merciful.
রুকু – ২
৭। যাদের সাথে তোমাদের [ এখন ] শত্রুতা আছে, সম্ভবতঃ আল্লাহ্ তোমাদের ও তাদের মধ্যে ভালোবাসা [ এবং বন্ধুত্ব ] স্থাপন করে দেবেন ৫৪২০। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ [সকল কিছুর উপরে ] শক্তিশালী এবং আল্লাহ্ বারে বারে ক্ষমাশীল, অসীম করুণাময়।
৫৪২০। ধর্মীয় বিভেদ, ঘৃণা, শত্রুতা, নির্যাতন ইত্যাদির উৎপত্তি অজ্ঞতা থেকে আবার অনেক ক্ষেত্রে অতি উৎসাহ আত্মার মাঝে এ সবের জন্ম দেয়। এই আয়াতে আল্লাহ্ বলেছেন আল্লাহ্ ইচ্ছা করলে এদের জন্য ক্ষমার সুযোগ দান করবেন এবং আল্লাহ্র রাস্তায় ডেকে নেবেন। ইসলামের ইতিহাসে এরূপ অনেক উদাহরণ পাওয়া যায়। হযরত ওমর (রা ) ছিলেন এরূপ এক ব্যক্তি যিনি ইসলামের অন্যতম প্রধান শত্রু থেকে ইসলামের অন্যতম প্রধান সেবকরূপে পরিচিতি লাভ করেন। পরবর্তী জীবনে তিনি চার খলিফার মধ্যে ছিলেন দ্বিতীয় – যার খেলাফতের জীবন ছিলো ইসলামের ইতিহাসে এক কর্মোজ্জ্বল, গৌরবমন্ডিত অধ্যায়।
আয়াতঃ 060.008
ধর্মের ব্যাপারে যারা তোমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেনি এবং তোমাদেরকে দেশ থেকে বহিস্কৃত করেনি, তাদের প্রতি সদাচরণ ও ইনসাফ করতে আল্লাহ তোমাদেরকে নিষেধ করেন না। নিশ্চয় আল্লাহ ইনসাফকারীদেরকে ভালবাসেন।
Allâh does not forbid you to deal justly and kindly with those who fought not against you on account of religion and did not drive you out of your homes. Verily, Allâh loves those who deal with equity.
لَا يَنْهَاكُمُ اللَّهُ عَنِ الَّذِينَ لَمْ يُقَاتِلُوكُمْ فِي الدِّينِ وَلَمْ يُخْرِجُوكُم مِّن دِيَارِكُمْ أَن تَبَرُّوهُمْ وَتُقْسِطُوا إِلَيْهِمْ إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الْمُقْسِطِينَ
La yanhakumu Allahu AAani allatheena lam yuqatilookum fee alddeeni walam yukhrijookum min diyarikum an tabarroohum watuqsitoo ilayhim inna Allaha yuhibbu almuqsiteena
YUSUFALI: Allah forbids you not, with regard to those who fight you not for (your) Faith nor drive you out of your homes, from dealing kindly and justly with them: for Allah loveth those who are just.
PICKTHAL: Allah forbiddeth you not those who warred not against you on account of religion and drove you not out from your homes, that ye should show them kindness and deal justly with them. Lo! Allah loveth the just dealers.
SHAKIR: Allah does not forbid you respecting those who have not made war against you on account of (your) religion, and have not driven you forth from your homes, that you show them kindness and deal with them justly; surely Allah loves the doers of justice.
KHALIFA: GOD does not enjoin you from befriending those who do not fight you because of religion, and do not evict you from your homes. You may befriend them and be equitable towards them. GOD loves the equitable.
৮। দ্বীনের ব্যাপারে যারা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে নাই এবং তোমাদের স্বদেশ থেকে বহিষ্কার করে নাই, তাদের প্রতি মহানুভবতা প্রদর্শন ও ন্যায় বিচার করতে আল্লাহ্ তোমাদের নিষেধ করেন নাই ৫৪২১। আল্লাহ্ তো ন্যায়পরায়ণদের ভালোবাসেন।
৫৪২১। ইসলাম মানুষকে সহমর্মিতা শিক্ষা দেয় ; মানুষকে করে সংবেদশীল ও ন্যায় পরায়ণ। বিশ্বাসী ও অবিশ্বাসী সকলকে সুস্থভাবে বেঁচে থাকার অধিকার দান করে, এই আয়াতটি বিশ্ব মানবাধিকারের এক অনন্য দলিল। যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের নিরাপত্তা, অধিকার ও ধর্মীয় বিশ্বাস বিঘ্নিত না হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত ধর্মীয় বিশ্বাসের বিভেদের জন্য কাউকে তার ব্যক্তিগত অধিকারচ্যুত করা বা শত্রুতা করা ইসলামে বৈধ নয়। মুসলিম রাষ্ট্রে অন্য ধর্মালম্বীদের দয়া, সহানুভূতি ও সমতার ভিত্তিতে তাদের অধিকার রক্ষা করতে হবে। ন্যায় বিচার সকলের জন্য হবে সমভাবে প্রযোজ্য। রাসুলের (সা) উদাহরণের মাধ্যমে কোরাণের এই আদেশকে প্রতিফলিত করা হয়েছে। মানুষ হিসেবে মানুষের সম অধিকার স্বীকৃত। এই হচ্ছে ইসলামে ন্যায়ের মানদন্ড। ” আল্লাহ্ তো ন্যায়পরায়ণদিগকে ভালোবাসেন।”
আয়াতঃ 060.009
আল্লাহ কেবল তাদের সাথে বন্ধুত্ব করতে নিষেধ করেন, যারা ধর্মের ব্যাপারে তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে, তোমাদেরকে দেশ থেকে বহিস্কৃত করেছে এবং বহিস্কারকার্যে সহায়তা করেছে। যারা তাদের সাথে বন্ধুত্ব করে তারাই জালেম।
It is only as regards those who fought against you on account of religion, and have driven you out of your homes, and helped to drive you out, that Allâh forbids you to befriend them. And whosoever will befriend them, then such are the Zâlimûn (wrong-doers those who disobey Allâh).
إِنَّمَا يَنْهَاكُمُ اللَّهُ عَنِ الَّذِينَ قَاتَلُوكُمْ فِي الدِّينِ وَأَخْرَجُوكُم مِّن دِيَارِكُمْ وَظَاهَرُوا عَلَى إِخْرَاجِكُمْ أَن تَوَلَّوْهُمْ وَمَن يَتَوَلَّهُمْ فَأُوْلَئِكَ هُمُ الظَّالِمُونَ
Innama yanhakumu Allahu AAani allatheena qatalookum fee alddeeni waakhrajookum min diyarikum wathaharoo AAala ikhrajikum an tawallawhum waman yatawallahum faola-ika humu alththalimoona
YUSUFALI: Allah only forbids you, with regard to those who fight you for (your) Faith, and drive you out of your homes, and support (others) in driving you out, from turning to them (for friendship and protection). It is such as turn to them (in these circumstances), that do wrong.
PICKTHAL: Allah forbiddeth you only those who warred against you on account of religion and have driven you out from your homes and helped to drive you out, that ye make friends of them. Whosoever maketh friends of them – (All) such are wrong-doers.
SHAKIR: Allah only forbids you respecting those who made war upon you on account of (your) religion, and drove you forth from your homes and backed up (others) in your expulsion, that you make friends with them, and whoever makes friends with them, these are the unjust.
KHALIFA: GOD enjoins you only from befriending those who fight you because of religion, evict you from your homes, and band together with others to banish you. You shall not befriend them. Those who befriend them are the transgressors.
৯। আল্লাহ্ কেবল তাদের সাথে [ বন্ধুত্ব ] করতে নিষেধ করেন, যারা দ্বীনের ব্যাপারে তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে, এবং তোমাদের স্বদেশ থেকে বহিষ্কার করেছে এবং বহিষ্কারে যারা সাহায্য করেছে। তাদের সাথে যারা বন্ধুত্ব করে তারা তো পাপ করে।
১০। হে বিশ্বাসীগণ ! যখন তোমাদের নিকট মুমিন নারীগণ হিজরত করে আসে ৫৪২২, তাদের পরীক্ষা করে নেবে। আল্লাহ্ তাদের ঈমান সম্বন্ধে সবচেয়ে ভালো জানেন। যদি তোমরা নিশ্চিত হও যে ৫৪২৩, তারা মুমিন, তাহলে তাদের আর অবিশ্বাসীদের নিকট পাঠিও না। তারা অবিশ্বাসীদের জন্য বৈধ [ স্ত্রী ] নহে, এবং অবিশ্বাসীরা তাদের জন্য বৈধ [ স্বামী ] নহে। অবিশ্বাসীরা [ মোহর হিসেবে ] তাদের জন্য যা ব্যয় করেছে, তা তাদের পরিশোধ করো। অতঃপর যদি তোমরা মোহর আদায় করে তাদের বিবাহ কর, তোমাদের কোন দোষ হবে না ৫৪২৪। কিন্তু তোমরা অবিশ্বাসী নারীদের সাথে দাম্পত্য সম্পর্ক ধরে রেখো না ৫৪২৫। তোমরা যা ব্যয় করেছে মোহর হিসেবে তা ফেরত চাইবে, এবং অবিশ্বাসীরা যা ব্যয় করেছে তারা তা ফেরত চাইবে। ইহাই আল্লাহ্র বিধান। তিনি তোমাদের মাঝে [ ন্যায়ের সাথে ] বিচার করে থাকেন এবং তিনি জ্ঞান এবং প্রজ্ঞায় পরিপূর্ণ।
৫৪২২। হুদায়বিয়ার সন্ধির জন্য দেখুন ৪৮নং সূরার ভূমিকার ৪র্থ অনুচ্ছেদের ৩ নম্বর শর্ত। হুদায়বিয়ার সন্ধির শর্ত অনুযায়ী স্বামী বা অন্য কোনও অভিভাবকের অধীনের কোনও স্ত্রীলোক যদি মক্কা থেকে পালিয়ে মদিনাতে গমন করে রাসুলের নিকট নিরাপত্তা প্রার্থনা করে, তবে সন্ধির শর্ত অনুযায়ী রাসুল (সা) তার প্রার্থনা মঞ্জুর না করে তাঁকে পুণরায় তার অভিভাবকের নিকট মক্কায় ফেরত পাঠাতে বাধ্য থাকবেন। এই আয়াতটি অবতীর্ণ হওয়ার পূর্বেই মক্কার কোরাইশরা পুনঃপুনঃ তাদের সন্ধির শর্ত সমূহ ভঙ্গ করে থাকে। এরই প্রেক্ষাপটে মদিনার মুসলিমদের জন্য আল্লাহ্র পরবর্তী নির্দ্দেশ অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছিলো। সে সময়ে অনেক মোশরেক মক্কাবাসীদের স্ত্রীরা ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন, ফলে তারা স্বামীগৃহে এবং সমাজে তাদের বিশ্বাসের জন্য নিগৃহীত হতেন। এদেরই কিছু মুসলিম নারী মক্কা থেকে পালিয়ে মদিনাতে এসে রাসুলের (সা) নিকট নিরাপত্তা প্রার্থনা করেন। এই আয়াতের পরে এসব মহিলাদের মক্কাতে তাদের স্বামীদের নিকট ফেরত পাঠানো বৈধ নয়। কারণ মুসলিম মহিলার সাথে অমুসলিম ব্যক্তির বিবাহ বৈধ নয়। সুতারাং অমুসলিম স্বামী মুসলিম মহিলার অভিভাবক হতে পারে না। তখনই তাঁর স্বামী অভিভাবক হতে পারবেন যখন তিনি ইসলাম গ্রহণ করবেন। এ সব মহিলাদের স্বামীরা তাদের স্ত্রীদের দেয়া মোহরানা হারিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে বিক্ষুব্ধ হতে পারেন। আর্থিক ক্ষতির কারণে তারা যাতে খারাপ অনুভব না করেন সে কারণে তাদের আর্থিক ক্ষতিকে পরিশোধ করার বন্দোবস্ত করা হয়। এ সব অসহায় মুসলিম নারীদের এ ভাবেই মুসলমানদের আর্থিক খরচের বিনিময়ে রক্ষা করা হয়।
৫৪২৩। মহিলাদের মক্কাতে তাদের অভিভাবকদের নিকট ফেরত না পাঠানোর একটাই শর্ত, আর তা হচ্ছে তারা হবে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত। তারা যে প্রকৃতই মুসলিম তার প্রমাণ কি ? এমনও তো হতে পারে যে একজন অমুসলমান মহিলা তার অত্যাচারী স্বামীর কবল মুক্ত হওয়ার জন্য মিথ্যাচারের আশ্রয় গ্রহণ করছেন। তার মনোজগতের খবর জানবেন একমাত্র আল্লাহ্। যদি তদন্ত সাপেক্ষে প্রমাণ হয় যে তিনি একজন প্রকৃত মুসলিম নারী, তবে মুসলমানদের কর্তব্য তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, এই তদন্তের ভিত্তি অন্যান্য সংবাদের সাথে যে বিষয়গুলির সংযুক্তি ঘটবে তার উল্লেখ আছে নীচের আয়াত নং ১২ তে।
৫৪২৪। যেহেতু মুসলিম নারীর সাথে অমুসলমানের বিবাহ বৈধ নয়, সুতারাং তাদের কৃত বিবাহ চুক্তি বহাল থাকে না। এক্ষেত্রে তাদের পুনঃর্বিবাহে কোন আইনসঙ্গত বাধা নাই। দেখুন টিকা ৫৪২২।
৫৪২৫। বিশ্বাসী মুসলিম সমাজে অমুসলিম নারীর অবস্থান হবে প্রতিবন্ধী মানুষের ন্যায়। সমাজের কোন কল্যাণকর বা মঙ্গলজনক কাজে সে অবদান রাখতে হবে অক্ষম, তার জন্য সমাজ জীবনের সংস্কৃতি ও কৃষ্টির সাথে একাত্বতা বোধ করা অসম্ভব। আর সামাজিক একাত্বতা ব্যতীত সমাজে সে হয়ে পড়ে একা। এ সব নারীদের সাথে মুসলমানদের বিবাহ আর বৈধ থাকে না। তাদের মক্কাতে ফেরত পাঠাতে হবে এবং তাদের জন্য যে দেনমোহর খরচ করা হয়েছিলো, তা মক্কাতে যিনি তার অভিভাবক তিনি ফেরত দেবেন। মুসলিম নারী, যার কাফের স্বামী, তার জন্য দেনমোহরের যে বন্দোবস্ত করা হয়েছিলো, এ ব্যবস্থা ঠিক তার বিপরীত।
আয়াতঃ 060.010
মুমিনগণ, যখন তোমাদের কাছে ঈমানদার নারীরা হিজরত করে আগমন করে, তখন তাদেরকে পরীক্ষা কর। আল্লাহ তাদের ঈমান সম্পর্কে সম্যক অবগত আছেন। যদি তোমরা জান যে, তারা ঈমানদার, তবে আর তাদেরকে কাফেরদের কাছে ফেরত পাঠিও না। এরা কাফেরদের জন্যে হালাল নয় এবং কাফেররা এদের জন্যে হালাল নয়। কাফেররা যা ব্যয় করেছে, তা তাদের দিয়ে দাও। তোমরা, এই নারীদেরকে প্রাপ্য মোহরানা দিয়ে বিবাহ করলে তোমাদের অপরাধ হবে না। তোমরা কাফের নারীদের সাথে দাম্পত্য সম্পর্ক বজায় রেখো না। তোমরা যা ব্যয় করেছ, তা চেয়ে নাও এবং তারাও চেয়ে নিবে যা তারা ব্যয় করেছে। এটা আল্লাহর বিধান; তিনি তোমাদের মধ্যে ফয়সালা করেন। আল্লাহ সর্বজ্ঞ প্রজ্ঞাময়।
O you who believe! When believing women come to you as emigrants, examine them, Allâh knows best as to their Faith, then if you ascertain that they are true believers, send them not back to the disbelievers, they are not lawful (wives) for the disbelievers nor are the disbelievers lawful (husbands) for them. But give the disbelievers that (amount of money) which they have spent [as their Mahr] to them. And there will be no sin on you to marry them if you have paid their Mahr to them. Likewise hold not the disbelieving women as wives, and ask for (the return of) that which you have spent (as Mahr) and let them (the disbelievers, etc.) ask back for that which they have spent. That is the Judgement of Allâh. He judges between you. And Allâh is All-Knowing, All-Wise.
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا جَاءكُمُ الْمُؤْمِنَاتُ مُهَاجِرَاتٍ فَامْتَحِنُوهُنَّ اللَّهُ أَعْلَمُ بِإِيمَانِهِنَّ فَإِنْ عَلِمْتُمُوهُنَّ مُؤْمِنَاتٍ فَلَا تَرْجِعُوهُنَّ إِلَى الْكُفَّارِ لَا هُنَّ حِلٌّ لَّهُمْ وَلَا هُمْ يَحِلُّونَ لَهُنَّ وَآتُوهُم مَّا أَنفَقُوا وَلَا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ أَن تَنكِحُوهُنَّ إِذَا آتَيْتُمُوهُنَّ أُجُورَهُنَّ وَلَا تُمْسِكُوا بِعِصَمِ الْكَوَافِرِ وَاسْأَلُوا مَا أَنفَقْتُمْ وَلْيَسْأَلُوا مَا أَنفَقُوا ذَلِكُمْ حُكْمُ اللَّهِ يَحْكُمُ بَيْنَكُمْ وَاللَّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٌ
Ya ayyuha allatheena amanoo itha jaakumu almu/minatu muhajiratin faimtahinoohunna Allahu aAAlamu bi-eemanihinna fa-in AAalimtumoohunna mu/minatin fala tarjiAAoohunna ila alkuffari la hunna hillun lahum wala hum yahilloona lahunna waatoohum ma anfaqoo wala junaha AAalaykum an tankihoohunna itha ataytumoohunna ojoorahunna wala tumsikoo biAAisami alkawafiri wais-aloo ma anfaqtum walyas-aloo ma anfaqoo thalikum hukmu Allahi yahkumu baynakum waAllahu AAaleemun hakeemun
YUSUFALI: O ye who believe! When there come to you believing women refugees, examine (and test) them: Allah knows best as to their Faith: if ye ascertain that they are Believers, then send them not back to the Unbelievers. They are not lawful (wives) for the Unbelievers, nor are the (Unbelievers) lawful (husbands) for them. But pay the Unbelievers what they have spent (on their dower), and there will be no blame on you if ye marry them on payment of their dower to them. But hold not to the guardianship of unbelieving women: ask for what ye have spent on their dowers, and let the (Unbelievers) ask for what they have spent (on the dowers of women who come over to you). Such is the command of Allah: He judges (with justice) between you. And Allah is Full of Knowledge and Wisdom.
PICKTHAL: O ye who believe! When believing women come unto you as fugitives, examine them. Allah is Best Aware of their faith. Then, if ye know them for true believers, send them not back unto the disbelievers. They are not lawful for them (the disbelievers), nor are they (the disbelievers) lawful for them. And give them (the disbelievers) that which they have spent (upon them). And it is no sin for you to marry such women when ye have given them their dues. And hold not to the ties of disbelieving women; and ask for (the return of) that which ye have spent; and let them (the disbelievers) ask for that which they have spent. That is the judgment of Allah. He judgeth between you. Allah is Knower, Wise.
SHAKIR: O you who believe! when believing women come to you flying, then examine them; Allah knows best their faith; then if you find them to be believing women, do not send them back to the unbelievers, neither are these (women) lawful for them, nor are those (men) lawful for them, and give them what they have spent; and no blame attaches to you in marrying them when you give them their dowries; and hold not to the ties of marriage of unbelieving women, and ask for what you have spent, and kt them ask for what they have spent. That is Allah’s judgment; He judges between you, and Allah is Knowing, Wise.
KHALIFA: O you who believe, when believing women (abandon the enemy and) ask for asylum with you, you shall test them. GOD is fully aware of their belief. Once you establish that they are believers, you shall not return them to the disbelievers. They are not lawful to remain married to them, nor shall the disbelievers be allowed to marry them. Give back the dowries that the disbelievers have paid. You commit no error by marrying them, so long as you pay them their due dowries. Do not keep disbelieving wives (if they wish to join the enemy). You may ask them for the dowry you had paid, and they may ask for what they paid. This is GOD’s rule; He rules among you. GOD is Omniscient, Most Wise.
৯। আল্লাহ্ কেবল তাদের সাথে [ বন্ধুত্ব ] করতে নিষেধ করেন, যারা দ্বীনের ব্যাপারে তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে, এবং তোমাদের স্বদেশ থেকে বহিষ্কার করেছে এবং বহিষ্কারে যারা সাহায্য করেছে। তাদের সাথে যারা বন্ধুত্ব করে তারা তো পাপ করে।
১০। হে বিশ্বাসীগণ ! যখন তোমাদের নিকট মুমিন নারীগণ হিজরত করে আসে ৫৪২২, তাদের পরীক্ষা করে নেবে। আল্লাহ্ তাদের ঈমান সম্বন্ধে সবচেয়ে ভালো জানেন। যদি তোমরা নিশ্চিত হও যে ৫৪২৩, তারা মুমিন, তাহলে তাদের আর অবিশ্বাসীদের নিকট পাঠিও না। তারা অবিশ্বাসীদের জন্য বৈধ [ স্ত্রী ] নহে, এবং অবিশ্বাসীরা তাদের জন্য বৈধ [ স্বামী ] নহে। অবিশ্বাসীরা [ মোহর হিসেবে ] তাদের জন্য যা ব্যয় করেছে, তা তাদের পরিশোধ করো। অতঃপর যদি তোমরা মোহর আদায় করে তাদের বিবাহ কর, তোমাদের কোন দোষ হবে না ৫৪২৪। কিন্তু তোমরা অবিশ্বাসী নারীদের সাথে দাম্পত্য সম্পর্ক ধরে রেখো না ৫৪২৫। তোমরা যা ব্যয় করেছে মোহর হিসেবে তা ফেরত চাইবে, এবং অবিশ্বাসীরা যা ব্যয় করেছে তারা তা ফেরত চাইবে। ইহাই আল্লাহ্র বিধান। তিনি তোমাদের মাঝে [ ন্যায়ের সাথে ] বিচার করে থাকেন এবং তিনি জ্ঞান এবং প্রজ্ঞায় পরিপূর্ণ।
৫৪২২। হুদায়বিয়ার সন্ধির জন্য দেখুন ৪৮নং সূরার ভূমিকার ৪র্থ অনুচ্ছেদের ৩ নম্বর শর্ত। হুদায়বিয়ার সন্ধির শর্ত অনুযায়ী স্বামী বা অন্য কোনও অভিভাবকের অধীনের কোনও স্ত্রীলোক যদি মক্কা থেকে পালিয়ে মদিনাতে গমন করে রাসুলের নিকট নিরাপত্তা প্রার্থনা করে, তবে সন্ধির শর্ত অনুযায়ী রাসুল (সা) তার প্রার্থনা মঞ্জুর না করে তাঁকে পুণরায় তার অভিভাবকের নিকট মক্কায় ফেরত পাঠাতে বাধ্য থাকবেন। এই আয়াতটি অবতীর্ণ হওয়ার পূর্বেই মক্কার কোরাইশরা পুনঃপুনঃ তাদের সন্ধির শর্ত সমূহ ভঙ্গ করে থাকে। এরই প্রেক্ষাপটে মদিনার মুসলিমদের জন্য আল্লাহ্র পরবর্তী নির্দ্দেশ অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছিলো। সে সময়ে অনেক মোশরেক মক্কাবাসীদের স্ত্রীরা ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন, ফলে তারা স্বামীগৃহে এবং সমাজে তাদের বিশ্বাসের জন্য নিগৃহীত হতেন। এদেরই কিছু মুসলিম নারী মক্কা থেকে পালিয়ে মদিনাতে এসে রাসুলের (সা) নিকট নিরাপত্তা প্রার্থনা করেন। এই আয়াতের পরে এসব মহিলাদের মক্কাতে তাদের স্বামীদের নিকট ফেরত পাঠানো বৈধ নয়। কারণ মুসলিম মহিলার সাথে অমুসলিম ব্যক্তির বিবাহ বৈধ নয়। সুতারাং অমুসলিম স্বামী মুসলিম মহিলার অভিভাবক হতে পারে না। তখনই তাঁর স্বামী অভিভাবক হতে পারবেন যখন তিনি ইসলাম গ্রহণ করবেন। এ সব মহিলাদের স্বামীরা তাদের স্ত্রীদের দেয়া মোহরানা হারিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে বিক্ষুব্ধ হতে পারেন। আর্থিক ক্ষতির কারণে তারা যাতে খারাপ অনুভব না করেন সে কারণে তাদের আর্থিক ক্ষতিকে পরিশোধ করার বন্দোবস্ত করা হয়। এ সব অসহায় মুসলিম নারীদের এ ভাবেই মুসলমানদের আর্থিক খরচের বিনিময়ে রক্ষা করা হয়।
৫৪২৩। মহিলাদের মক্কাতে তাদের অভিভাবকদের নিকট ফেরত না পাঠানোর একটাই শর্ত, আর তা হচ্ছে তারা হবে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত। তারা যে প্রকৃতই মুসলিম তার প্রমাণ কি ? এমনও তো হতে পারে যে একজন অমুসলমান মহিলা তার অত্যাচারী স্বামীর কবল মুক্ত হওয়ার জন্য মিথ্যাচারের আশ্রয় গ্রহণ করছেন। তার মনোজগতের খবর জানবেন একমাত্র আল্লাহ্। যদি তদন্ত সাপেক্ষে প্রমাণ হয় যে তিনি একজন প্রকৃত মুসলিম নারী, তবে মুসলমানদের কর্তব্য তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, এই তদন্তের ভিত্তি অন্যান্য সংবাদের সাথে যে বিষয়গুলির সংযুক্তি ঘটবে তার উল্লেখ আছে নীচের আয়াত নং ১২ তে।
৫৪২৪। যেহেতু মুসলিম নারীর সাথে অমুসলমানের বিবাহ বৈধ নয়, সুতারাং তাদের কৃত বিবাহ চুক্তি বহাল থাকে না। এক্ষেত্রে তাদের পুনঃর্বিবাহে কোন আইনসঙ্গত বাধা নাই। দেখুন টিকা ৫৪২২।
৫৪২৫। বিশ্বাসী মুসলিম সমাজে অমুসলিম নারীর অবস্থান হবে প্রতিবন্ধী মানুষের ন্যায়। সমাজের কোন কল্যাণকর বা মঙ্গলজনক কাজে সে অবদান রাখতে হবে অক্ষম, তার জন্য সমাজ জীবনের সংস্কৃতি ও কৃষ্টির সাথে একাত্বতা বোধ করা অসম্ভব। আর সামাজিক একাত্বতা ব্যতীত সমাজে সে হয়ে পড়ে একা। এ সব নারীদের সাথে মুসলমানদের বিবাহ আর বৈধ থাকে না। তাদের মক্কাতে ফেরত পাঠাতে হবে এবং তাদের জন্য যে দেনমোহর খরচ করা হয়েছিলো, তা মক্কাতে যিনি তার অভিভাবক তিনি ফেরত দেবেন। মুসলিম নারী, যার কাফের স্বামী, তার জন্য দেনমোহরের যে বন্দোবস্ত করা হয়েছিলো, এ ব্যবস্থা ঠিক তার বিপরীত।
আয়াতঃ 060.011
তোমাদের স্ত্রীদের মধ্যে যদি কেউ হাতছাড়া হয়ে কাফেরদের কাছে থেকে যায়, অতঃপর তোমরা সুযোগ পাও, তখন যাদের স্ত্রী হাতছাড়া হয়ে গেছে, তাদেরকে তাদের ব্যয়কৃত অর্থের সমপরিমাণ অর্থ প্রদান কর এবং আল্লাহকে ভয় কর, যার প্রতি তোমরা বিশ্বাস রাখ।
And if any of your wives have gone from you to the disbelievers, and you have an accession (by the coming over of a woman from the other side), then pay to those whose wives have gone, the equivalent of what they had spent (on their Mahr). And fear Allâh in Whom you believe.
وَإِن فَاتَكُمْ شَيْءٌ مِّنْ أَزْوَاجِكُمْ إِلَى الْكُفَّارِ فَعَاقَبْتُمْ فَآتُوا الَّذِينَ ذَهَبَتْ أَزْوَاجُهُم مِّثْلَ مَا أَنفَقُوا وَاتَّقُوا اللَّهَ الَّذِي أَنتُم بِهِ مُؤْمِنُونَ
Wa-in fatakum shay-on min azwajikum ila alkuffari faAAaqabtum faatoo allatheena thahabat azwajuhum mithla ma anfaqoo waittaqoo Allaha allathee antum bihi mu/minoona
YUSUFALI: And if any of your wives deserts you to the Unbelievers, and ye have an accession (by the coming over of a woman from the other side), then pay to those whose wives have deserted the equivalent of what they had spent (on their dower). And fear Allah, in Whom ye believe.
PICKTHAL: And if any of your wives have gone from you unto the disbelievers and afterward ye have your turn (of triumph), then give unto those whose wives have gone the like of that which they have spent, and keep your duty to Allah in Whom ye are believers.
SHAKIR: And if anything (out of the dowries) of your wives has passed away from you to the unbelievers, then your turn comes, give to those whose wives have gone away the like of what they have spent, and be careful of (your duty to) Allah in Whom you believe.
KHALIFA: If any of your wives join the enemies’ camp, and you are forced to fight, you shall force the enemy to compensate the men who lost their wives, by giving them what they spent on their wives. You shall reverence GOD, in whom you believe.
১১। আর যদি তোমাদের স্ত্রীদের মধ্যে কেহ তোমাদের পরিত্যাগ করে অবিশ্বাসীদের নিকট চলে যায় ৫৪২৬, অতঃপর [ অন্য পক্ষ থেকে কোন মহিলার আগমনের ] যদি সুযোগ হয়, তবে যাদের স্ত্রীরা পরিত্যাগ করে চলে গেছে, [ অবিশ্বাসীদের প্রাপ্য থেকে ] তাদের [ মোহরে ] তারা যা ব্যয় করেছে, তার সমপরিমাণ অর্থ প্রদান করবে। তোমরা সেই আল্লাহকে ভয় কর, যার প্রতি তোমরা বিশ্বাস স্থাপন করেছ।
৫৪২৬। মুসলমানদের স্ত্রী যদি কাফেরদের দিকে চলে যায়, তবে মুসলমান স্বামীদের মোহরানা ফেরত দেয়া কাফের জন্য ন্যায় কাজ। যেমন আল্লাহ্র বিধান হচ্ছে মুসলমানদের পক্ষ থেকে মুহাজির নারীদের কাফের স্বামীদের মোহরানা ফেরত দেয়া। কিন্তু কাফেররা মুসলমান স্বামীদের মোহরানা ফেরত দিত না, সেক্ষেত্রে যা করণীয় সেই নির্দ্দেশ দান করা হয়েছে এই আয়াতে। সেখানে বলা হয়েছে : “তোমাদের যদি সুযোগ আসে” – তবে তোমরা [মুসলমানেরা] প্রতিশোধ গ্রহণ কর। তবে এই প্রতিশোধ হবে সমতার ভিত্তিতে। অর্থাৎ তোমরা মুহাজির নারীদের দেয়া আটককৃত মোহরানা থেকে ক্ষতিগ্রস্ত মুসলমান স্বামীদেরকে তাদের ব্যয়কৃত অর্থের পরিমাণ দিয়ে দাও, যাদের স্ত্রী কাফেরদের সাথে মিলিত হয়েছে, যদি উভয় পক্ষের মোহরানা এক হয়, তবে এই উভয় পক্ষের মোহরানা কাটাকাটি হয়ে যাবে। যদি মোহরানার পরিমাণ অসম হয় তবে কাটাকাটির পরে যা বাকী থাকবে তা ব্যক্তিগত ভাবে দুই ব্যক্তির মধ্যে মিটমাট করা হবে। এরূপ ক্ষেত্রে বা যে সব মুসলমানের স্ত্রী কাফেরদের দিকে চলে গেছে এবং শর্তানুযায়ী কাফেররা মুসলমান স্বামীদের মোহরানা ফেরত দেয় নি, এরূপ ক্ষেত্রে এরপর মুসলমানেরা যে যুদ্ধলব্ধ সম্পদ লাভ করবে, এই যুদ্ধলব্ধ সম্পদ বা ‘রাজকোষ ‘ থেকেই মুসলমান স্বামীদের প্রাপ্য দিয়ে দিতে হবে। ” তারা যাহা ব্যয় করেছে, তার সমপরিমাণ অর্থ ব্যয় করবে।”
আয়াতঃ 060.012
হে নবী, ঈমানদার নারীরা যখন আপনার কাছে এসে আনুগত্যের শপথ করে যে, তারা আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করবে না, চুরি করবে না, ব্যভিচার করবে না, তাদের সন্তানদেরকে হত্যা করবে না, জারজ সন্তানকে স্বামীর ঔরস থেকে আপন গর্ভজাত সন্তান বলে মিথ্যা দাবী করবে না এবং ভাল কাজে আপনার অবাধ্যতা করবে না, তখন তাদের আনুগত্য গ্রহণ করুন এবং তাদের জন্যে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল অত্যন্ত দয়ালু।
O Prophet! When believing women come to you to give you the Bai’â (pledge), that they will not associate anything in worship with Allâh, that they will not steal, that they will not commit illegal sexual intercourse, that they will not kill their children, that they will not utter slander, intentionally forging falsehood (i.e. by making illegal children belonging to their husbands), and that they will not disobey you in any Ma’rûf (Islâmic Monotheism and all that which Islâm ordains) then accept their Bai’â (pledge), and ask Allâh to forgive them, Verily, Allâh is Oft-Forgiving, Most Merciful.
يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ إِذَا جَاءكَ الْمُؤْمِنَاتُ يُبَايِعْنَكَ عَلَى أَن لَّا يُشْرِكْنَ بِاللَّهِ شَيْئًا وَلَا يَسْرِقْنَ وَلَا يَزْنِينَ وَلَا يَقْتُلْنَ أَوْلَادَهُنَّ وَلَا يَأْتِينَ بِبُهْتَانٍ يَفْتَرِينَهُ بَيْنَ أَيْدِيهِنَّ وَأَرْجُلِهِنَّ وَلَا يَعْصِينَكَ فِي مَعْرُوفٍ فَبَايِعْهُنَّ وَاسْتَغْفِرْ لَهُنَّ اللَّهَ إِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ
Ya ayyuha alnnabiyyu itha jaaka almu/minatu yubayiAAnaka AAala an la yushrikna biAllahi shay-an wala yasriqna wala yazneena wala yaqtulna awladahunna wala ya/teena bibuhtanin yaftareenahu bayna aydeehinna waarjulihinna wala yaAAseenaka fee maAAroofin fabayiAAhunna waistaghfir lahunna Allaha inna Allaha ghafoorun raheemun
YUSUFALI: O Prophet! When believing women come to thee to take the oath of fealty to thee, that they will not associate in worship any other thing whatever with Allah, that they will not steal, that they will not commit adultery (or fornication), that they will not kill their children, that they will not utter slander, intentionally forging falsehood, and that they will not disobey thee in any just matter,- then do thou receive their fealty, and pray to Allah for the forgiveness (of their sins): for Allah is Oft-Forgiving, Most Merciful.
PICKTHAL: O Prophet! If believing women come unto thee, taking oath of allegiance unto thee that they will ascribe no thing as partner unto Allah, and will neither steal nor commit adultery nor kill their children, nor produce any lie that they have devised between their hands and feet, nor disobey thee in what is right, then accept their allegiance and ask Allah to forgive them. Lo! Allah is Forgiving, Merciful.
SHAKIR: O Prophet! when believing women come to you giving you a pledge that they will not associate aught with Allah, and will not steal, and will not commit fornication, and will not kill their children, and will not bring a calumny which they have forged of themselves, and will not disobey you in what is good, accept their pledge, and ask forgiveness for them from Allah; surely Allah is Forgiving, Merciful.
KHALIFA: O you prophet, when the believing women (who abandoned the disbelievers) to seek asylum with you pledge to you that they will not set up any idols besides GOD, nor steal, nor commit adultery, nor kill their children, nor fabricate any falsehood, nor disobey your righteous orders, you shall accept their pledge, and pray to GOD to forgive them. GOD is Forgiver, Most Merciful.
১২। হে রসুল ৫৪২৭! বিশ্বাসী নারীগণ যখন তোমার নিকট এসে অঙ্গীকার [ বায়’আত ] করে এই মর্মে যে, তারা আল্লাহ্র সাথে কোন শরীক স্থির করবে না। তারা চুরি করবে না, ব্যাভিচার করবে না, নিজেদের সন্তান হত্যা করবে না, তারা কুৎসা রটনা করবে না, ইচ্ছাকৃত ভাবে মিথ্যা বলবে না এবং তারা তোমাকে কোন ন্যায় কাজে অমান্য করবে না, তখন তাদের বায়’আত গ্রহণ করবে, এবং আল্লাহ্র নিকট [ তাদের পাপের জন্য ] ক্ষমা প্রার্থনা করবে ৫৪২৮। নিশ্চয় আল্লাহ্ বারে বারে ক্ষমাশীল, অসীম করুণাময়।
৫৪২৭। মক্কা থেকে আগত মহিলারা যারা মদিনাতে এসে ইসলাম গ্রহণে আগ্রহী ছিলো, তাদের তদন্ত সাপেক্ষে ইসলাম গ্রহণে অনুমতি দান করা হয়েছে। পুরুষদের জন্য একই কথা প্রযোজ্য, তবে এই আয়াতে বিশেষভাবে মহিলাদের কথাই বলা হয়েছে, তার কারণ সমূহ বর্ণনা করা হয়েছে টিকা নং ৫৪২২ এবং ৫৪২৩। যারা মক্কা থেকে পালিয়ে এসে ইসলাম গ্রহণে আগ্রহী তাদের প্রকৃত উদ্দেশ্যকে খুঁজে বের করতে বলা হয়েছে। এগুলির ভিত্তি হবে নিম্নরূপ :
১) এক আল্লাহ্ ব্যতীত তারা আর অন্য কিছুর এবাদত করবে না ;
২) চুরি করবে না ;
৩) বিবাহ বহির্ভূত যৌন সম্পর্ক রাখবে না ;
৪) নিজেদের সন্তান হত্যা করবে না ;
৫ ) পরনিন্দা, পরচর্চচা করবে না ;
৬) ইচ্ছাকৃত ভাবে মিথ্যা বলবে না।
৭) সাধারণ ভাবে ইসলামের আইন সকল মেনে চলতে অঙ্গীকারবদ্ধ থাকবে।
৬ নং শর্তের মধ্যেই সকল শর্ত অর্ন্তভূক্ত হয় এ কথা সত্য, তবুও বিশেষ বিশেষ বিষয়গুলি স্পষ্টভাবে ব্যক্ত করা হয়েছে। এ সব শর্তগুলি নিঃশর্তভাবে মানার মধ্যেই ইসলামের প্রাণ নিহিত। কারণ ইসলাম ধর্ম জীবনের ধর্ম যা, ধর্মীয়, পারিবারিক ও জাতীয় জীবনে একতা ও শৃঙ্খলার উপরে প্রতিষ্ঠিত। এর অর্থ এই নয় যে, তারা মানুষকে দাসে পরিণত করে। বরং ঈমান ও শৃঙ্খলা মানুষের আত্মার ও চিন্তার জগতের মুক্তি ঘটায়।
৫৪২৮। কেউ যদি তাদের অঙ্গীকারের ব্যাপারে আন্তরিক হয়, তবে তার জন্য ইসলামের দরজা উন্মুক্ত। গত জীবনে সে, যে পাপই করে থাকুক না কেন, তার জন্য আল্লাহ্র ক্ষমার দুয়ার উন্মুক্ত। রাসুলকে (সা) বলা হয়েছে তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করতে। অর্থাৎ প্রকৃত অনুতাপকারীকে আল্লাহ্ যদি তার পূর্বে কৃত সকল পাপ ক্ষমা করতে পারেন তবে মানুষ কেন পারবে না ?
আয়াতঃ 060.013
মুমিনগণ, আল্লাহ যে জাতির প্রতি রুষ্ট, তোমরা তাদের সাথে বন্ধুত্ব করো না। তারা পরকাল সম্পর্কে নিরাশ হয়ে গেছে যেমন কবরস্থ কাফেররা নিরাশ হয়ে গেছে।
O you who believe! Take not as friends the people who incurred the Wrath of Allâh (i.e. the Jews). Surely, they have been in despair to receive any good in the Hereafter, just as the disbelievers have been in despair about those (buried) in graves (that they will not be resurrected on the Day of Resurrection).
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَتَوَلَّوْا قَوْمًا غَضِبَ اللَّهُ عَلَيْهِمْ قَدْ يَئِسُوا مِنَ الْآخِرَةِ كَمَا يَئِسَ الْكُفَّارُ مِنْ أَصْحَابِ الْقُبُورِ
Ya ayyuha allatheena amanoo la tatawallaw qawman ghadiba Allahu AAalayhim qad ya-isoo mina al-akhirati kama ya-isa alkuffaru min as-habi alquboori
YUSUFALI: O ye who believe! Turn not (for friendship) to people on whom is the Wrath of Allah, of the Hereafter they are already in despair, just as the Unbelievers are in despair about those (buried) in graves.
PICKTHAL: O ye who believe! Be not friendly with a folk with whom Allah is wroth, (a folk) who have despaired of the Hereafter as the disbelievers despair of those who are in the graves.
SHAKIR: O you who believe! do not make friends with a people with whom Allah is wroth; indeed they despair of the hereafter as the unbelievers despair of those in tombs.
KHALIFA: O you who believe, do not befriend people with whom GOD is angry, and who are hopelessly stuck in disbelief; they are just as hopeless as the disbelievers who are already in the graves.
১৩। হে বিশ্বাসীগণ! যে সম্প্রদায়ের প্রতি আল্লাহ্ রুষ্ট হয়েছেন, ৫৪২৯ তোমরা তাদের সাথে বন্ধুত্ব করো না। ইতিমধ্যে তারা পরলোক সম্বন্ধে নিরাশ হয়েছে, যেমন নিরাশ হয়েছে অবিশ্বাসীরা কবরস্থদের বিষয়ে ৫৪৩০।
৫৪২৯। এই সূরাটি আরম্ভ হয়েছিলো যে বিষয়বস্তু দিয়ে, সেই একই বিষয়বস্তু দিয়ে সূরাটি শেষ করা হয়েছে। যারা আল্লাহ্র আইন ভঙ্গ করে বা যারা সমাজের চোখে অপরাধী, তাদের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করবে না। এ ব্যাপারে বিভিন্ন প্রশ্ন, এবং আইনগত অধিকার সম্বন্ধে আলোচনা শেষে সূরাটি আরম্ভের বক্তব্যকে পুণরাবৃত্তি করে শেষ করা হয়েছে।
৫৪৩০। যারা কাফের, যারা স্রষ্টা ও পরকাল সম্বন্ধে বিশ্বাস করে না, তাদের মানসিক অবস্থাকে এই আয়াতের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। অবিশ্বাসীরা বিশ্বাস করে না মৃত্যু পরবর্তী জীবনে। তাদের ধারণা মৃত্যুর সাথে সাথে এই জীবনের অস্তিত্ব ও অনুভূতি শেষ হয়ে যাবে। যারা এই ধারণার বশবর্তী কি নিদারুণ অভিশপ্ত তাদের জীবন ? ভবিষ্যতের স্বপ্নেই মানুষ পারে বর্তমানকে সংযত করতে, বর্তমানের দুঃখ কষ্টকে জয় করতে এবং পরিশীলিত সুসংহত জীবন যাপন করতে। যার ভবিষ্যত নাই সে তো পশুর ন্যায়। সে শুধু বাঁচে বর্তমানে বাঁচার মধ্যে। তাদের জন্য অতীতের পাপের সংশোধনী নাই, ভবিষ্যতের কোনও সুখ স্বপ্ন নাই। এদের হচ্ছে অভিশপ্ত জীবন। এটা যে শুধু কাফেরদের জন্য প্রযোজ্য তাই-ই নয়, এটা সেই সব কিতাবধারীদের জন্যও প্রযোজ্য যারা প্রকৃত ধর্ম থেকে বিচ্যুত হয়ে আল্লাহ্র সাথে শেরেকে এবং পাপে নিমগ্ন। কারণ তাদের এই শেরেকী ও পাপের জন্য তারা স্বর্গীয় ক্রোধে নিপতিত হবে। এরা যদিও বা পরকালের জীবনে বিশ্বাসী হয় তবে সে বিশ্বাস তাদের মনোজগতে শান্তির প্রলেপের পরিবর্তে শাস্তির ভয়ে আতঙ্কিত ও হতাশা বয়ে আনবে। কিন্তু যারা প্রকৃত পক্ষে এক আল্লাহ্ এবং আল্লাহ্র আইনে বিশ্বাসী তাদের অবস্থান হবে ভিন্ন প্রেক্ষাপটে। তারা যদি এই পৃথিবীর জীবনে দুঃখ কষ্ট ভোগ করেনও তবুও তাদের এ বিশ্বাস থাকে যে, পরলোকের জীবনে তাদের জন্য আছে অমিয় শান্তি। সকল অন্যায় অবিচারের হবে সেদিন অবসান। পৃথিবীর জীবন খুবই ক্ষণস্থায়ী পরলোকের অনন্ত জীবনের তুলনায়। যে জীবনে সকল অবিচার অন্যায়ের অবসানে নূতন জীবনের সূচনা করা হবে।