হাদিস নম্বরঃ ৪৩১০ | 4310 | ٤۳۱۰
পরিচ্ছদঃ ২৪০০. আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ এবং যাদের চিত্ত আকর্ষণ করা হয় তাদের জন্য (৯ঃ ৬০) মুজাহিদ বলেছেন, তাদেরকে দানের মাধ্যমে আকৃষ্ট করতেন।
৪৩১০। মুহাম্মদ ইবনু কাছীর (রহঃ) … আবূ সা‘ঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে কিছু জিনিস প্রেরণ করা হল। এরপর তিনি সেগুলো চার জনের মধ্যে বণ্টন করে দিলেন। আর বললেন, তাদেরকে (এর দ্বারা) আকৃষ্ট করছি। তখন এক ব্যাক্তি বলল, আপনি সঠিকভাবে দান করেননি। এতদশ্রবনে তিনি বললেন, এ ব্যাক্তির বংশ থেকে এমন সব লোক জন্ম নেবে যারা দ্বীন থেকে বের হয়ে যাবে।
হাদিস নম্বরঃ ৪৩১১ | 4311 | ٤۳۱۱
পরিচ্ছদঃ ২৪০১. আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ মু’মিনদের মধ্যে যারা স্বতঃস্ফুর্তভাবে সাদকা প্রদান করে এবং যারা নিজ শ্রম ব্যতীরেকে কিছুই পায় না, তাদেরকে যারা দোষারূপ করে ও বিদ্রুপ করে আল্লাহ তাদের বিদ্রুপ করেন; তাদের জন্য রয়েছে অতি যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। (৯ঃ ৭৯) يلمزون يعيبون و جهدهم وجهدهم طاقتهم – তাদের সাধ্যমত। অর্থ তাদের পরিশ্রমে ত্রুটি ধরে, جهد অর্থ শক্তি (৯ঃ ৭৯)
৪৩১১। বিশর ইবনু আবূ খালিদ আবূ মুহাম্মদ (রহঃ) … আবূ মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন আমাদের সাদকা প্রদানের নির্দেশ দেয়া হল, তখন আমরা পরিশ্রমের বিনিময়ে বোঝা বহন করতাম। একদিন আবূ ‘আকীল (রাঃ) অর্ধ সা’ খেজুর (দান করার উদ্দেশ্যে) নিয়ে আসলেন এবং অন্য এক ব্যাক্তি (আবদুর রহমান ইবনু আউফ তার চেয়ে অধিক মালামাল (একই উদ্দেশ্যে) নিয়ে উপস্থিত হলেন। (এগুলো দেখে) মুনাফিকরা সমালোচনা করতে লাগল, আল্লাহ এ ব্যাক্তির সাদকার মুখাপেক্ষী নন। আর দ্বিতীয় ব্যাক্তি [আবদুর রহমান ইবনু আউফ (রাঃ)] শুধু মানূষ দেখানোর জন্য অধিক মালামাল দান করেছে। এ সময় এ আয়াতটি অবতীর্ণ হয় – “মু’মিনদের মধ্যে যারা স্বতঃস্ফুর্তভাবে সাদকা প্রদান করে এবং যারা নিজ শ্রম ব্যতীরেকে কিছুই পায় না, তাদেরকে যারা দোষারূপ করে ও বিদ্রুপ করে আল্লাহ তাদের বিদ্রুপ করেন; তাদের জন্য রয়েছে অতি মর্মন্তুদ শাস্তি।” (৯: ৭৯)
হাদিস নম্বরঃ ৪৩১২ | 4312 | ٤۳۱۲
পরিচ্ছদঃ ২৪০১. আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ মু’মিনদের মধ্যে যারা স্বতঃস্ফুর্তভাবে সাদকা প্রদান করে এবং যারা নিজ শ্রম ব্যতীরেকে কিছুই পায় না, তাদেরকে যারা দোষারূপ করে ও বিদ্রুপ করে আল্লাহ তাদের বিদ্রুপ করেন; তাদের জন্য রয়েছে অতি যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। (৯ঃ ৭৯) يلمزون يعيبون و جهدهم وجهدهم طاقتهم – তাদের সাধ্যমত। অর্থ তাদের পরিশ্রমে ত্রুটি ধরে, جهد অর্থ শক্তি (৯ঃ ৭৯)
৪৩১২। ইসহাক ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) … আবূ মাসঊদ আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাদকা করার আদেশ প্রদান করলে আমাদের মধ্য হতে কেউ কেউ অত্যন্ত পরিশ্রম করে, (গম অথবা খেজুর ইত্যাদি) এক মুদ্দ আনতে পারত কিন্তু এখন আমাদের মধ্যে কারো কারো এক লাখ পরিমাণ (দিরহাম) রয়েছে। আবূ মাসঊদ (রাঃ) যেন (এ কথা বলে) নিজের দিকে ইঙ্গিত করলেন।
হাদিস নম্বরঃ ৪৩১৩ | 4313 | ٤۳۱۳
পরিচ্ছদঃ ২৪০২. আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ (হে রাসুল) আপনি তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন অথবা তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা না করুন, একই কথা, আপনি তাদের জন্য সত্তর বার ক্ষমা প্রার্থনা করলেও আল্লাহ তাদের কখনই ক্ষমা করবেন না (এর কারন, তারা আল্লাহ ও তার রাসুলকে অস্বীকার করেছে। আল্লাহ পাপাচারী সম্প্রদায়কে পথপ্রদর্শন করেন না) (৯ঃ ৮০)
৪৩১৩। উবায়েদ ইবনু ইসমাঊল (রহঃ) … ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আবদুল্লাহ ইবনু উবায় (মুনাফিক) মারা গেল, তখন তার ছেলে আবদুল্লাহ ইবনু আবদুল্লাহ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকটে আসলেন এবং তার পিতাকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কোর্তা দিয়ে কাফন দেবার আবেদন করলেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোর্তাটি প্রদান করলেন, এরপর (আবদুল্লাহ তার পিতার) জানাযার সালাত (নামায/নামাজ) পড়ানোর জন্য নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে আবেদন জানালেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জানাযার সালাত (নামায/নামাজ) পড়ানোর জন্য (বসা থেকে) উঠে দাঁড়ালেন, ইত্যবসরে উমর (রাঃ) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাপড় টেনে ধরে আবেদন করলেন, হে আল্লাহর রাসূল, আপনি কি তার জানাযার সালাত (নামায/নামাজ) পড়াতে যাচ্ছেন?
অথচ আপনার রব (আল্লাহ তা‘আলা) আপনাকে তার জন্য দোআ করতে নিষেধ করেছেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আল্লাহ তা‘আলা আমাকে এ ব্যাপারে ইখতিয়ার দিয়েছেন। আর আল্লাহ তা ইরশাদ করেছেন, ‘‘তুমি তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কর আর না কর; যদি সত্তর বারও তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কর তুব আমি তাদের ক্ষমা করব না।’’ সুতরাং আমি তার জন্য সত্তর বারের চেয়েও অধিক ক্ষমা প্রার্থনা করব। উমর (রাঃ) বললেন, সে তো মুনাফিক, শেষ পর্যন্ত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার জানোযার সালাত (নামায/নামাজ) পড়ালেন, এরপর এ আয়াত অবতীর্ণ হয়। “তাদের মুনাফিকদের) কেউ মারা গেলে আপনি কখনো তাদের জানাযার সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করবেন না এবং তাদের কবরের কাছেও দাঁড়াবেন না।”