৫। তাদের এ ব্যতীত আর কিছু আদেশ দেয়া হয় নাই ৬২২৮, যে তারা একান্ত অনুগত ভাবে সত্য [ বিশ্বাসে ] ৬২২৯ আল্লাহ্র এবাদত করবে; নিয়মিত নামাজ প্রতিষ্ঠা করবে এবং যাকাত দেবে এবং এটাই হলো সঠিক ও সরল দ্বীন। ৬২৩০
৬২২৮। ইসলামের তিনটি শ্বাসত মূলনীতি হলো :
১) বিশুদ্ধ চিত্তে বিশ্বস্ততার সাথে একনিষ্ঠ ভাবে আল্লাহ্র ‘এবাদত ‘ করা।
২) সালাত কায়েম করা ও
৩) যাকাত দান করা।
উপরের তিনটি দিক নির্দ্দেশনা ইসলামের মূল ভিত্তি। ১) প্রথমটিতে বলা হয়েছে ‘এবাদত ‘ করতে আনুগত্যের সাথে বিশুদ্ধ চিত্তে। এবাদত শব্দের অর্থ অনেক ব্যপক। এবাদত অর্থাৎ আল্লাহ্ যা নিষেধ করেছেন তা থেকে বিরত থাকা, যা করতে আদেশ দিয়েছেন তা পালন করা। অর্থাৎ আত্মসংযমের মাধ্যমে আত্মার বিশুদ্ধতা রক্ষা করা। আত্মার বিশুদ্ধতার জন্য দেখুন [ ৮০ : ৩ ] ; [৯১ : ৯-১০] আয়াত সমূহ। রোজা হচ্ছে আত্মসংযমের অন্যতম প্রধান উপায়। আত্মসংযমের মাধ্যমে আত্মশুদ্ধি সম্ভব। সুতারাং ইসলামের অন্যতম পিলার হচ্ছে রোজা।
সালাতের মাধ্যমে আল্লাহ্র নৈকট্য অন্বেষণ করা হয়, যাকে বলা হয় ইসলামের অন্যতম পিলার।
যাকাত হচ্ছে বাধ্যতামূলক দান বা সৎ কাজ ইসলামের অন্যতম পিলার। যাকাত ছাড়াও ইসলাম সৎকাজে উৎসাহিত করে থাকে। ঈমানের আলো ব্যক্তির চরিত্রে ও ব্যক্তিত্বে উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে উপরের তিনটি প্রধান নীতিমালা অনুসরণের মাধ্যমে।
ইসলাম ৫ টি স্তম্ভের উপরে প্রতিষ্ঠিত যথা : ১) ঈমান বা আল্লাহ্র একত্বের প্রতি অটল বিশ্বাস, ২) সালাত, ৩) রোজা,৪) যাকাত ৫) হজ্ব [ সামর্থ অনুযায়ী ]।
রোজা – আত্মশুদ্ধির প্রতীক [৯১ : ৫ – ৭ ] ; [ ৮০ : ৩ ]। আত্মসংযম ও সততা হবে তাকওয়ার মানদন্ড। দেখুন [৮৭: ১৪] ও টিকা ৬০৯২।
সালাত – আল্লাহ্র সান্নিধ্য লাভের উপায়।
যাকাত – সৎ কাজের প্রতীক।
হজ্ব – বিশ্ব মুসলিম ভাতৃত্বের বা উম্মার প্রতীক যা সামর্থের উপরে নির্ভরশীল।
এই -ই হচ্ছে সহজ, সরল ধর্ম।
৬২২৯। ‘Hanif’ দেখুন [ ২ : ১৩৫ ] আয়াতের টিকা ১৩৪।
৬২৩০। দেখুন উপরের টিকা ৬২২৬।
আয়াতঃ 098.006
আহলে-কিতাব ও মুশরেকদের মধ্যে যারা কাফের, তারা জাহান্নামের আগুনে স্থায়ীভাবে থাকবে। তারাই সৃষ্টির অধম।
Verily, those who disbelieve (in the religion of Islâm, the Qur’ân and Prophet Muhammad (Peace be upon him)) from among the people of the Scripture (Jews and Christians) and Al-Mushrikûn will abide in the Fire of Hell. They are the worst of creatures.
إِنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ وَالْمُشْرِكِينَ فِي نَارِ جَهَنَّمَ خَالِدِينَ فِيهَا أُوْلَئِكَ هُمْ شَرُّ الْبَرِيَّةِ
Inna allatheena kafaroo min ahli alkitabi waalmushrikeena fee nari jahannama khalideena feeha ola-ika hum sharru albariyyati
YUSUFALI: Those who reject (Truth), among the People of the Book and among the Polytheists, will be in Hell-Fire, to dwell therein (for aye). They are the worst of creatures.
PICKTHAL: Lo! those who disbelieve, among the People of the Scripture and the idolaters, will abide in fire of hell. They are the worst of created beings.
SHAKIR: Surely those who disbelieve from among the followers of the Book and the polytheists shall be in the fire of hell, abiding therein; they are the worst of men.
KHALIFA: Those who disbelieved among the people of the scripture, and the idol worshipers, have incurred the fire of Gehenna forever. They are the worst creatures.
৬। কিতাবধারী ও মুশরেকদের মধ্যে যারা [ সত্যকে ] প্রত্যাখান করে, এরাই জাহান্নামের অগ্নিতে স্থায়ী ভাবে বসবাস করবে। সৃষ্টির মাঝে ওরা সর্বাপেক্ষা নিকৃষ্ট জীব। ৬২৩১
৬২৩১। আল্লাহ্র মানুষকে ভালো -মন্দ, সত্য মিথ্যা, ন্যায় -অন্যায়ের মধ্যে পার্থক্য করার ক্ষমতা দান করেছেন। এই ক্ষমতা থাকা সত্বেও যদি কেউ ন্যায় ও সত্যকে প্রত্যাখান করে এবং স্বাধীন ইচ্ছাশক্তির অপব্যবহার করে, তবে সে পশুরও অধম। প্রতিটি কাজেরই কর্মফল বিদ্যমান। তাদেরও এই স্বেচ্ছাচারিতার জন্য শাস্তি ভোগ করতে হবে হোক না তারা ইব্রাহীমের অনুসারী বা পোপ বা যাজক শ্রেণীকে অর্থ দিয়ে দায়মুক্ত হওয়া ব্যক্তি, বা নাস্তিক বা মোশরেক আরব। আল্লাহ্র চোখে বংশ বা কূল বা জাতির বা বর্ণের কোন পক্ষপাতিত্ব নাই। আল্লাহ্ নিকট সেই সর্বাপেক্ষা সম্মানীয় যে সৎ চরিত্রের অধিকারী ও সৎগুণসম্পন্ন ব্যক্তি।
আয়াতঃ 098.007
যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে, তারাই সৃষ্টির সেরা।
Verily, those who believe [in the Oneness of Allâh, and in His Messenger Muhammad (Peace be upon him)) including all obligations ordered by Islâm] and do righteous good deeds, they are the best of creatures.
إِنَّ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ أُوْلَئِكَ هُمْ خَيْرُ الْبَرِيَّةِ
Inna allatheena amanoo waAAamiloo alssalihati ola-ika hum khayru albariyyati