আয়াতঃ 096.018
আমিও আহবান করব জাহান্নামের প্রহরীদেরকে
We will call the guards of Hell (to deal with him)!
سَنَدْعُ الزَّبَانِيَةَ
SanadAAu alzzabaniyata
YUSUFALI: We will call on the angels of punishment (to deal with him)!
PICKTHAL: We will call the guards of hell.
SHAKIR: We too would summon the braves of the army.
KHALIFA: We will call the guardians of Hell.
১৮। আমিও আহ্বান করবো জাহান্নামের ফেরেশতাদের [ তাকে শাস্তি দেয়ার জন্য ] ৬২১৫।
৬২১৫। পাপের বা শয়তানের শক্তিকে পৃথিবীতে মনে হতে পারে অপারাজেয়। তবে পাপিষ্ঠদের এই সাফল্য ক্ষণস্থায়ী। তাদের সম্মিলিত শক্তি আল্লাহ্র শক্তির নিকট তৃণবৎ। আল্লাহ্র হুকুম পাওয়া মাত্র ‘জাহান্নামের প্রহরীরা শয়তানের শক্তিকে দমন করবে এবং আল্লাহ্র অনুগতদের রক্ষা করবে ; এবং আল্লাহ্র রাস্তায় যারা অত্যাচারিত হবে, তাদের সমর্থন করবে।
আয়াতঃ 096.019
কখনই নয়, আপনি তার আনুগত্য করবেন না। আপনি সেজদা করুন ও আমার নৈকট্য অর্জন করুন।
Nay! (O Muhammad (Peace be upon him))! Do not obey him (Abû Jahl). Fall prostrate and draw near to Allâh!
كَلَّا لَا تُطِعْهُ وَاسْجُدْ وَاقْتَرِبْ
Kalla la tutiAAhu waosjud waiqtarib
YUSUFALI: Day, heed him not: But bow down in adoration, and bring thyself the closer (to Allah)!
PICKTHAL: Nay, Obey not thou him. But prostrate thyself, and draw near (unto Allah).
SHAKIR: Nay! obey him not, and make obeisance and draw nigh (to Allah).
KHALIFA: You shall not obey him; you shall fall prostrate and draw nearer.
১৯। না, তুমি তার অনুসরণ করো না ; বরং ভক্তিভরে সিজ্দা কর এবং [আল্লাহ্র ] নিকটবর্তী হতে চেষ্টা কর। ৬২১৬
৬২১৬। আল্লাহ্র প্রতি অনুগত যারা তাঁদের কোন ভয় নাই। তাঁর সম্মুখে শয়তান বাঁধার প্রাচীর সৃষ্টি করতে পারে, কিন্তু মোমেন বান্দা সে বাঁধাকে ভয় করে না, কারণ সে জানে স্বয়ং আল্লাহ্ তাঁর রক্ষাকর্তা। মোমেন বান্দার সর্বাপেক্ষা বড় প্রতিরক্ষা বুহ্য হচ্ছে তাঁর বিনয়। সে বিনয়ের মাধ্যমে আল্লাহ্র নিকট আত্মসমর্পন করবে। আল্লাহ্র সান্নিধ্য লাভের জন্য সে অশ্রু বিগলিত বিনয়ে নিজেকে আত্মনিবেদন করবে। আল্লাহ্র নৈকট্য লাভের জন্য সে প্রাণপণে চেষ্টা করবে। মহাপ্রভু আল্লাহ্ মহাশক্তিধর। আল্লাহ্র শক্তি ও সত্ত্বা তাঁর সকল সৃষ্টিকে সর্বদা ঘিরে আছে। আল্লাহ্ আমাদের রক্তসঞ্চালনকারী ধমনীর থেকেও নিকটবর্তী। [ ৫০ : ১৬ ]। কিন্তু আমরা সাধারণ মানুষ, নশ্বর দেহের আচরণে আবদ্ধ থাকার ফলে তা অনুভবে অসমর্থ। মানুষের পাপ কর্ম, রীপুর অসংযত আচরণ আমাদের আল্লাহ্র নৈকট্য অনুভবে বাঁধা দান করে। বিনয় এবং আল্লাহ্র প্রতি আনুগত্য প্রকাশের দ্বারা মানুষ উদ্ধত ও অহংকারী হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পায় একদিকে অপরপক্ষে, এর ফলে সে আল্লাহ্র অস্তিত্বের অনুভূতি আত্মার মাঝে উপলব্ধিতে সক্ষম হয়। যা তাকে আল্লাহ্র সান্নিধ্য লাভের যোগ্য করে তুলবে। ‘সিজ্দা কর’ অর্থাৎ বিনয়ে বিগলিত হয়ে আল্লাহ্র নিকট মাথা নত করা। আল্লাহ্ বিশ্বজনীন উপদেশের মাধ্যমে এ কথাই ঘোষণা করেছেন যে মোমেন বান্দার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য হবে বিনয়, যে বিনয় তাঁর জীবনের সর্বক্ষেত্রে প্রতিভাত হবে এবং শেষ পর্যন্ত তা আল্লাহ্র নৈকট্য লাভের যোগ্যতা অর্জন করবে।