৯। তুমি কি তাকে দেখেছ, যে বাঁধা দেয় ৬২১০
১০। এক বান্দাকে, বাঁধা দেয় যখন সে সালাত আদায় করে ?
৬২১০। ‘যে বাধা দেয়’ সে ছিলো আবু জাহল। আবু জাহল ছিলো ইসলামের বিরুদ্ধে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ শত্রু। সে দিনের শুরু করতো রাসুলের (সা) বিরুদ্ধে অত্যাচার ও নির্যাতনের পরিকল্পনা নিয়ে। শুধু রাসুল নয় তার এই নির্যাতনের খড়গ রাসুলের অনুসারীদের বিরুদ্ধেও নির্মমভাবে পরিচালিত হতো। সে রাসুল ও তাঁর অনুসারীদের কাবা প্রাঙ্গণে এবাদত করার পথে জঘণ্যতম বাঁধার সৃষ্টি করতো, যাতে তারা কাবা ঘরে আল্লাহ্র প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করতে না পারে। সে ছিলো অত্যন্ত একগুঁয়ে, অবাধ্য, উদ্ধত, অহংকারী, যার শেষ পরিণতি ঘটেছিলো বদর প্রাঙ্গণে।
এই আয়াতটির প্রেক্ষাপট উপরে বর্ণনা করা হলো, তবে এর উপদেশ সার্বজনীন। সর্ব কালে সর্বযুগের সত্যের প্রচারকদের জন্য এরূপ বিকৃত মানসিকতা সম্পন্ন লোকের সন্ধান পাওয়া যায় – যারা শুধু যে ব্যক্তিগত ভাবে আল্লাহ্র বিরুদ্ধে বিদ্র্রোহ করে তাই -ই নয়। তারা অন্যকেও আল্লাহ্র পথে যেতে বাঁধা প্রদান করে।
আয়াতঃ 096.011
আপনি কি দেখেছেন যদি সে সৎপথে থাকে।
Tell me, if he (Muhammad (Peace be upon him)) is on the guidance (of Allâh)?
أَرَأَيْتَ إِن كَانَ عَلَى الْهُدَى
Araayta in kana AAala alhuda
YUSUFALI: Seest thou if he is on (the road of) Guidance?-
PICKTHAL: Hast thou seen if he relieth on the guidance (of Allah)
SHAKIR: Have you considered if he were on the right way,
KHALIFA: Is it not better for him to follow the guidance?
১১। তুমি লক্ষ্য করেছ কি ৬২১১ যদি সে সৎপথে থাকে ? –
১২। অথবা ধর্মপ্রাণ হতে নির্দ্দেশ দেয় ?
৬২১১। সীমালংঘনের প্রভাব বিবিধ। সীমালংঘন দ্বারা ১)- আত্মপ্রতারণার মাধ্যমে তারা নিজের আত্মাকেই ধ্বংস করে। ২) অপরের জন্য তারা মিথ্যা উদাহরণ স্থাপন করে থাকে। সুতারাং মোমেন বান্দাদের উপদেশ দান করা হয়েছে কোনও মানুষের উদাহরণকে অনুসরণ করার পূর্বে দুটি প্রশ্নের উত্তর সে পূর্বে লাভ করবে। প্রথম প্রশ্ন হবে, ১) সে কি সৎ পথ বা আল্লাহ্র পথ অবলম্বনকারী ? আল্লাহ্র প্রদর্শিত ন্যায় ও সত্যের পথই হচ্ছে সৎ পথ বা আল্লাহ্র পথ। যদি দেখা যায় তারা আল্লাহ্ প্রদর্শিত ন্যায় ও সত্যের পথকে অবহেলা ও ব্যঙ্গ করে তবে প্রথম প্রশ্নের উত্তর হবে ”না”। ২) দ্বিতীয় প্রশ্ন হবে, ” সে কি ধর্ম প্রাণ ? ” অর্থাৎ তাঁর জীবন তাকওয়া বা সৎকর্মের প্রতি নিবেদিত কি না। যদি তার চরিত্রে শ্বাসত সত্যের এই প্রতিফলন না ঘটে তবে তারা অনুসরণীয় ব্যক্তিত্ব নয়। মানুষ যুগে যুগে ব্যক্তিগত ভাবে, জাতিগত ভাবে ভুল ব্যক্তিত্বের উদাহরণ অনুসরণ করে থাকে। জাতিগত উদাহরণ দেয়া যেতে পারে বর্তমানকালে সোভিয়েত রাশিয়াতে লেনিনের আবির্ভাব। আবার ব্যক্তিগত ভাবে যুব সম্প্রদায় অনেক সময়েই মানবতার নামে, প্রগতিশীলতার নামে বা ধর্মের নামে নিবেদিত ভন্ডদের দ্বারা প্রতারিত হয়।উপরে দুটি প্রশ্নের উত্তরের মাধ্যমেই মানুষ খুঁজে পেতে পারে শ্বাসত সত্যের সন্ধান। যদি কেউ শুধু ধর্মের অনুশাসন পালন করে, কিন্তু সৎকর্মশীল না হয়, যার দ্বারা মানবতা উপকৃত হয় না সে প্রকৃত ধার্মিক নয়। আবার যে সৎ পথ বা ন্যায় ও সত্যের পথে নিবেদিত নয়, তার দ্বারা আল্লাহ্র প্রতি আন্তরিক নিবেদন সম্ভব নয়। তাঁর দ্বারা কৃত সৎ কাজ হবে আত্মপ্রচারের সামিল। যার দ্বারা মানবতার প্রকৃত উপকার সাধিত হবে না।
আয়াতঃ 096.012
অথবা খোদাভীতি শিক্ষা দেয়।
Or enjoins piety?
أَوْ أَمَرَ بِالتَّقْوَى
Aw amara bialttaqwa
YUSUFALI: Or enjoins Righteousness?
PICKTHAL: Or enjoineth piety?
SHAKIR: Or enjoined guarding (against evil)?
KHALIFA: Or advocate righteousness?
১১। তুমি লক্ষ্য করেছ কি ৬২১১ যদি সে সৎপথে থাকে ? –
১২। অথবা ধর্মপ্রাণ হতে নির্দ্দেশ দেয় ?
৬২১১। সীমালংঘনের প্রভাব বিবিধ। সীমালংঘন দ্বারা ১)- আত্মপ্রতারণার মাধ্যমে তারা নিজের আত্মাকেই ধ্বংস করে। ২) অপরের জন্য তারা মিথ্যা উদাহরণ স্থাপন করে থাকে। সুতারাং মোমেন বান্দাদের উপদেশ দান করা হয়েছে কোনও মানুষের উদাহরণকে অনুসরণ করার পূর্বে দুটি প্রশ্নের উত্তর সে পূর্বে লাভ করবে। প্রথম প্রশ্ন হবে, ১) সে কি সৎ পথ বা আল্লাহ্র পথ অবলম্বনকারী ? আল্লাহ্র প্রদর্শিত ন্যায় ও সত্যের পথই হচ্ছে সৎ পথ বা আল্লাহ্র পথ। যদি দেখা যায় তারা আল্লাহ্ প্রদর্শিত ন্যায় ও সত্যের পথকে অবহেলা ও ব্যঙ্গ করে তবে প্রথম প্রশ্নের উত্তর হবে ”না”। ২) দ্বিতীয় প্রশ্ন হবে, ” সে কি ধর্ম প্রাণ ? ” অর্থাৎ তাঁর জীবন তাকওয়া বা সৎকর্মের প্রতি নিবেদিত কি না। যদি তার চরিত্রে শ্বাসত সত্যের এই প্রতিফলন না ঘটে তবে তারা অনুসরণীয় ব্যক্তিত্ব নয়। মানুষ যুগে যুগে ব্যক্তিগত ভাবে, জাতিগত ভাবে ভুল ব্যক্তিত্বের উদাহরণ অনুসরণ করে থাকে। জাতিগত উদাহরণ দেয়া যেতে পারে বর্তমানকালে সোভিয়েত রাশিয়াতে লেনিনের আবির্ভাব। আবার ব্যক্তিগত ভাবে যুব সম্প্রদায় অনেক সময়েই মানবতার নামে, প্রগতিশীলতার নামে বা ধর্মের নামে নিবেদিত ভন্ডদের দ্বারা প্রতারিত হয়।উপরে দুটি প্রশ্নের উত্তরের মাধ্যমেই মানুষ খুঁজে পেতে পারে শ্বাসত সত্যের সন্ধান। যদি কেউ শুধু ধর্মের অনুশাসন পালন করে, কিন্তু সৎকর্মশীল না হয়, যার দ্বারা মানবতা উপকৃত হয় না সে প্রকৃত ধার্মিক নয়। আবার যে সৎ পথ বা ন্যায় ও সত্যের পথে নিবেদিত নয়, তার দ্বারা আল্লাহ্র প্রতি আন্তরিক নিবেদন সম্ভব নয়। তাঁর দ্বারা কৃত সৎ কাজ হবে আত্মপ্রচারের সামিল। যার দ্বারা মানবতার প্রকৃত উপকার সাধিত হবে না।