৬। না, মানুষ তো সকল সীমা লংঘন করে থাকে, ৬২০৮
৭। কারণ সে নিজেকে স্বয়ংসম্পূর্ণ মনে করে।
৬২০৮। মানুষের সকল জ্ঞান, প্রজ্ঞা, মানসিক দক্ষতা সমূহ সকল কিছুই আল্লাহ্র দান। কারণ মানসিক দক্ষতা সমূহ, সৃজন ক্ষমতা, প্রতিভা এবং অন্যান্য নেয়ামত যা সে জন্মসূত্রে লাভ করে তা আল্লাহ্র দান। কিন্তু মানুষ এ সব নেয়ামত লাভ করার ফলে এতটাই অহংকারী ও উদ্ধত হয়ে পড়ে যে, সে ভুলে যায় যে, তাঁর প্রতিভা, মেধা, বুদ্ধিমত্তা, সৌন্দর্য, সম্পদ, ক্ষমতা, সৃজনক্ষমতা, ইত্যাদি বিভিন্ন নেয়ামত এ সব কিছুই তাকে দান করেছেন বিশ্বস্র্ষ্টা। এ সব অবদানের স্রষ্টা সে নিজে নয়। কিন্তু মানুষ আল্লাহকে ভুলে নিজেকেই সর্ব কৃতিত্বের দাবীদার মনে করে। আল্লাহ্র নেয়ামতকে মানুষ সনাক্ত করতে পারে না, ফলে সে হয়ে পড়ে সীমালংঘনকারী।
আয়াতঃ 096.007
এ কারণে যে, সে নিজেকে অভাবমুক্ত মনে করে।
Because he considers himself self-sufficient.
أَن رَّآهُ اسْتَغْنَى
An raahu istaghna
YUSUFALI: In that he looketh upon himself as self-sufficient.
PICKTHAL: That he thinketh himself independent!
SHAKIR: Because he sees himself free from want.
KHALIFA: When he becomes rich.
৬। না, মানুষ তো সকল সীমা লংঘন করে থাকে, ৬২০৮
৭। কারণ সে নিজেকে স্বয়ংসম্পূর্ণ মনে করে।
৬২০৮। মানুষের সকল জ্ঞান, প্রজ্ঞা, মানসিক দক্ষতা সমূহ সকল কিছুই আল্লাহ্র দান। কারণ মানসিক দক্ষতা সমূহ, সৃজন ক্ষমতা, প্রতিভা এবং অন্যান্য নেয়ামত যা সে জন্মসূত্রে লাভ করে তা আল্লাহ্র দান। কিন্তু মানুষ এ সব নেয়ামত লাভ করার ফলে এতটাই অহংকারী ও উদ্ধত হয়ে পড়ে যে, সে ভুলে যায় যে, তাঁর প্রতিভা, মেধা, বুদ্ধিমত্তা, সৌন্দর্য, সম্পদ, ক্ষমতা, সৃজনক্ষমতা, ইত্যাদি বিভিন্ন নেয়ামত এ সব কিছুই তাকে দান করেছেন বিশ্বস্র্ষ্টা। এ সব অবদানের স্রষ্টা সে নিজে নয়। কিন্তু মানুষ আল্লাহকে ভুলে নিজেকেই সর্ব কৃতিত্বের দাবীদার মনে করে। আল্লাহ্র নেয়ামতকে মানুষ সনাক্ত করতে পারে না, ফলে সে হয়ে পড়ে সীমালংঘনকারী।
আয়াতঃ 096.008
নিশ্চয় আপনার পালনকর্তার দিকেই প্রত্যাবর্তন হবে।
Surely! Unto your Lord is the return.
إِنَّ إِلَى رَبِّكَ الرُّجْعَى
Inna ila rabbika alrrujAAa
YUSUFALI: Verily, to thy Lord is the return (of all).
PICKTHAL: Lo! unto thy Lord is the return.
SHAKIR: Surely to your Lord is the return.
KHALIFA: To your Lord is the ultimate destiny.
৮। তোমার প্রভুর নিকট [ সকলের ] প্রত্যাবর্তন হবে সুনিশ্চিত। ৬২০৯
৬২০৯। উপরে বর্ণিত সীমালংঘনকারীরা নিজেকে সর্বেসর্বা অভাবমুক্ত মনে করে। তারা মনে করে তাদের সাফল্য তাদের একক বা দলগত ক্ষমতার ও কৃতিত্বের প্রকাশ। তারা এর পিছনে আল্লাহ্র কল্যাণকর হস্তের স্পর্শ উপলব্ধিতে অক্ষম। এ সব উদ্ধত অহংকারীকে স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়েছে যে, মানুষকে আল্লাহ্ অত্যন্ত হীন বস্তু থেকে সৃষ্টি করেছেন [ আলাক অর্থাৎ জমাট রক্ত পিন্ড থেকে ]। এটা হলো তার জীবনের পিছনের ইতিহাস, আর সামনের কাহিনী হচ্ছে তার কর্তব্য দায়িত্ব সম্বন্ধে আল্লাহ্র নিকট জবাবদিহিতা।
আয়াতঃ 096.009
আপনি কি তাকে দেখেছেন, যে নিষেধ করে
Have you (O Muhammad (Peace be upon him)) seen him (i.e. Abû Jahl) who prevents,
أَرَأَيْتَ الَّذِي يَنْهَى
Araayta allathee yanha
YUSUFALI: Seest thou one who forbids-
PICKTHAL: Hast thou seen him who dissuadeth
SHAKIR: Have you seen him who forbids
KHALIFA: Have you seen the one who enjoins.
৯। তুমি কি তাকে দেখেছ, যে বাঁধা দেয় ৬২১০
১০। এক বান্দাকে, বাঁধা দেয় যখন সে সালাত আদায় করে ?
৬২১০। ‘যে বাধা দেয়’ সে ছিলো আবু জাহল। আবু জাহল ছিলো ইসলামের বিরুদ্ধে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ শত্রু। সে দিনের শুরু করতো রাসুলের (সা) বিরুদ্ধে অত্যাচার ও নির্যাতনের পরিকল্পনা নিয়ে। শুধু রাসুল নয় তার এই নির্যাতনের খড়গ রাসুলের অনুসারীদের বিরুদ্ধেও নির্মমভাবে পরিচালিত হতো। সে রাসুল ও তাঁর অনুসারীদের কাবা প্রাঙ্গণে এবাদত করার পথে জঘণ্যতম বাঁধার সৃষ্টি করতো, যাতে তারা কাবা ঘরে আল্লাহ্র প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করতে না পারে। সে ছিলো অত্যন্ত একগুঁয়ে, অবাধ্য, উদ্ধত, অহংকারী, যার শেষ পরিণতি ঘটেছিলো বদর প্রাঙ্গণে।
এই আয়াতটির প্রেক্ষাপট উপরে বর্ণনা করা হলো, তবে এর উপদেশ সার্বজনীন। সর্ব কালে সর্বযুগের সত্যের প্রচারকদের জন্য এরূপ বিকৃত মানসিকতা সম্পন্ন লোকের সন্ধান পাওয়া যায় – যারা শুধু যে ব্যক্তিগত ভাবে আল্লাহ্র বিরুদ্ধে বিদ্র্রোহ করে তাই -ই নয়। তারা অন্যকেও আল্লাহ্র পথে যেতে বাঁধা প্রদান করে।
আয়াতঃ 096.010
এক বান্দাকে যখন সে নামায পড়ে?
A slave (Muhammad (Peace be upon him)) when he prays?
عَبْدًا إِذَا صَلَّى
AAabdan itha salla
YUSUFALI: A votary when he (turns) to pray?
PICKTHAL: A slave when he prayeth?
SHAKIR: A servant when he prays?
KHALIFA: Others from praying?