فَأَنذَرْتُكُمْ نَارًا تَلَظَّى
Faanthartukum naran talaththa
YUSUFALI: Therefore do I warn you of a Fire blazing fiercely;
PICKTHAL: Therefor have I warned you of the flaming Fire
SHAKIR: Therefore I warn you of the fire that flames:
KHALIFA: I have warned you about the blazing Hellfire.
১৪। অতএব, তোমাদের লেলিহান প্রচন্ড অগ্নি সম্পর্কে সতর্ক করে দিচ্ছি ;
১৫। চরম হতভাগ্য ব্যতীত সেখানে কেহ প্রবেশ করবে না ৬১৬৯
১৬। যে সত্যকে মিথ্যা বলে, মুখ ফিরিয়ে নেয়।
৬১৬৯। যে ইচ্ছাকৃত ভাবে আল্লাহ্র সত্যকে প্রত্যাখান করে এবং বিবেকের বিরুদ্ধে পাপ কাজে লিপ্ত হয়, তাদের জন্য পরলোকে আগুনের লেলিহান শিখা অপেক্ষা করে আছে।
আয়াতঃ 092.015
এতে নিতান্ত হতভাগ্য ব্যক্তিই প্রবেশ করবে,
None shall enter it save the most wretched,
لَا يَصْلَاهَا إِلَّا الْأَشْقَى
La yaslaha illa al-ashqa
YUSUFALI: None shall reach it but those most unfortunate ones
PICKTHAL: Which only the most wretched must endure,
SHAKIR: None shall enter it but the most unhappy,
KHALIFA: None burns therein except the wicked.
১৪। অতএব, তোমাদের লেলিহান প্রচন্ড অগ্নি সম্পর্কে সতর্ক করে দিচ্ছি ;
১৫। চরম হতভাগ্য ব্যতীত সেখানে কেহ প্রবেশ করবে না ৬১৬৯
১৬। যে সত্যকে মিথ্যা বলে, মুখ ফিরিয়ে নেয়।
৬১৬৯। যে ইচ্ছাকৃত ভাবে আল্লাহ্র সত্যকে প্রত্যাখান করে এবং বিবেকের বিরুদ্ধে পাপ কাজে লিপ্ত হয়, তাদের জন্য পরলোকে আগুনের লেলিহান শিখা অপেক্ষা করে আছে।
আয়াতঃ 092.016
যে মিথ্যারোপ করে ও মুখ ফিরিয়ে নেয়।
Who denies and turns away.
الَّذِي كَذَّبَ وَتَوَلَّى
Allathee kaththaba watawalla
YUSUFALI: Who give the lie to Truth and turn their backs.
PICKTHAL: He who denieth and turneth away.
SHAKIR: Who gives the lie (to the truth) and turns (his) back.
KHALIFA: Who disbelieves and turns away.
১৪। অতএব, তোমাদের লেলিহান প্রচন্ড অগ্নি সম্পর্কে সতর্ক করে দিচ্ছি ;
১৫। চরম হতভাগ্য ব্যতীত সেখানে কেহ প্রবেশ করবে না ৬১৬৯
১৬। যে সত্যকে মিথ্যা বলে, মুখ ফিরিয়ে নেয়।
৬১৬৯। যে ইচ্ছাকৃত ভাবে আল্লাহ্র সত্যকে প্রত্যাখান করে এবং বিবেকের বিরুদ্ধে পাপ কাজে লিপ্ত হয়, তাদের জন্য পরলোকে আগুনের লেলিহান শিখা অপেক্ষা করে আছে।
আয়াতঃ 092.017
এ থেকে দূরে রাখা হবে খোদাভীরু ব্যক্তিকে,
And Al-Muttaqûn (the pious and righteous – see V.2:2) will be far removed from it (Hell).
وَسَيُجَنَّبُهَا الْأَتْقَى
Wasayujannabuha al-atqa
YUSUFALI: But those most devoted to Allah shall be removed far from it,-
PICKTHAL: Far removed from it will be the righteous
SHAKIR: And away from it shall be kept the one who guards most (against evil),
KHALIFA: Avoiding it will be the righteous.
১৭। কিন্তু তাদের তা থেকে বহু দূরে রাখা হবে, যারা আল্লাহ্র প্রতি একান্ত অনুগত, ৬১৭০
৬১৭০। ‘Atqa’ বা “আল্লাহ্র প্রতি একান্ত নিবেদিত” বা মুত্তাকী দ্বারা বুঝানো হয়েছে তাদের যারা কলুষমুক্ত পূত পবিত্র জীবন যাপন করেন। এদের জীবনের একমাত্র কাম্য আল্লাহ্র সন্তুষ্টি অর্জন এবং আল্লাহ্র প্রতি নিবেদিত থাকা।
আয়াতঃ 092.018
যে আত্নশুদ্ধির জন্যে তার ধন-সম্পদ দান করে।
He who spends his wealth for increase in self-purification,
الَّذِي يُؤْتِي مَالَهُ يَتَزَكَّى
Allathee yu/tee malahu yatazakka
YUSUFALI: Those who spend their wealth for increase in self-purification,
PICKTHAL: Who giveth his wealth that he may grow (in goodness).
SHAKIR: Who gives away his wealth, purifying himself
KHALIFA: Who gives from his money to charity.
১৮। যারা আত্মশুদ্ধির জন্য স্বীয় সম্পদ ব্যয় করে ৬১৭১, ৬১৭২
৬১৭১। ‘সম্পদ’ শব্দটি দ্বারা শুধুমাত্র পার্থিব ধন সম্পদকেই বুঝানো হয় নাই। শব্দটি এখানে ব্যপক অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। আল্লাহ্র যে কোনও নেয়ামতই বান্দার জন্য সম্পদ। এই সম্পদ হতে পারে মেধা, প্রতিভা, সৃজনক্ষমতা : প্রভাব প্রতিপত্তি ইত্যাদি। দেখুন সূরা [ ২ : ৩ ] আয়াতের টিকা নং ২৭। এসব সৃষ্টির সেবার ব্যয় করাই হচ্ছে দান করা। ভালো কাজ করা যেমন : জ্ঞান, বিজ্ঞানের অগ্রগতির জন্য কাজ করাও দান ইত্যাদি।
৬১৭২। আবরীতে “Zaka” শব্দটি বৃদ্ধি করা ও পবিত্র করা বুঝানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। এই আয়াতে এই দুটি অর্থেরই প্রয়োগ ঘটেছে। সম্পদের অর্থ আক্ষরিক বা প্রতীকধর্মী, যাই-ই হোক না কেন, আল্লাহ্র দেয়া যে কোন সম্পদ মানুষের জন্য আমানত স্বরূপ। সম্পদের জন্য দেখুন টিকা নং ২৭। এই সম্পদ যথেচ্ছ ব্যবহারের অনুমতি আল্লাহ্ মানুষকে দেন নাই। আল্লাহ্র নেয়ামত মানুষের জন্য আমানত বা মানুষের জন্য তা পরীক্ষা স্বরূপ। সেই এই পরীক্ষাতে সফলতার সাথে উত্তীর্ণ হতে পারে যে এই সম্পদের সঠিক ব্যবহার করতে পারে। তারই জীবন পবিত্র ও কলূষমুক্ত যে আল্লাহ্র নেয়ামতে ধন্য হয়েও গর্বে অহংকারে স্ফীত হয় না। সৃষ্টির সেবার মাধ্যমে সম্পদের ভারকে যে হালকা করতে পারে। যে সঠিকভাবে তার সম্পদের ব্যবহার করতে পারে পৃথিবীতে মানুষের নিকট এবং আল্লাহ্র নিকট তার সম্মান বৃদ্ধি পায় এবং তাঁর আধ্যাত্মিক জীবন হয় গৌরবান্বিত ও মহিমান্বিত।