আয়াতঃ 090.010
বস্তুতঃ আমি তাকে দু’টি পথ প্রদর্শন করেছি।
And shown him the two ways (good and evil)?
وَهَدَيْنَاهُ النَّجْدَيْنِ
Wahadaynahu alnnajdayni
YUSUFALI: And shown him the two highways?
PICKTHAL: And guide him to the parting of the mountain ways?
SHAKIR: And pointed out to him the two conspicuous ways?
KHALIFA: Did we not show him the two paths?
১০। এবং দেখাইনি কি দুটি পথ ? ৬১৩৮
৬১৩৮। মানব জীবনের প্রধান দুটি পথ হচ্ছে : ১ ) চারিত্রিক গুণাবলী অর্জনের পথ। এই পথকে বলা হয়েছে ‘বন্ধুর গিরিপথ ‘ অর্থাৎ সুউচ্চ খাড়া পর্বতে আরোহণের ন্যায় কষ্ট সাধ্য, অর্থাৎ কষ্ট সাধ্য পথ। যার বর্ণনা নিম্নের আয়াতে করা হয়েছে। ২) পাপের পথ এবং আল্লাহ্র বিধানকে প্রত্যাখান করার প্রবণতা যা অত্যন্ত সহজ ও সাময়িক আরামদায়ক। আল্লাহ্ আমাদের ন্যায় অন্যায়, ভালো -মন্দ, পাপ -পূণ্য, সত্য -মিথ্যার মধ্যে প্রভেদ করার মত বিবেক, বুদ্ধি ও মানসিক দক্ষতা সমূহ দান করেছেন। আমাদের ‘স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি ‘ প্রয়োগের মাধ্যমে এই দুটি পথের যে কোন একটি পথকে আমরা নিজেদের জন্য পছন্দ করতে পারি। আমাদের এ ব্যাপারে সাহায্য করার জন্য আল্লাহ্ আমাদের জন্য যুগে যুগে নবী রসুলদের প্রেরণ করেছেন, প্রত্যাদেশ অবতীর্ণ করেছেন যেনো আমরা সঠিক পথের সন্ধান লাভ করতে পারি।
আয়াতঃ 090.011
অতঃপর সে ধর্মের ঘাঁটিতে প্রবেশ করেনি।
But he has made no effort to pass on the path that is steep.
فَلَا اقْتَحَمَ الْعَقَبَةَ
Fala iqtahama alAAaqabata
YUSUFALI: But he hath made no haste on the path that is steep.
PICKTHAL: But he hath not attempted the Ascent –
SHAKIR: But he would not attempt the uphill road,
KHALIFA: He should choose the difficult path.
১১। কিন্তু সে তো দুর্গম [ গিরি ] পথে প্রবেশে ত্বরা করে নাই ৬১৩৯
৬১৩৯। মানুষকে আল্লাহ্ বিবেক, বুদ্ধি, মানসিক দক্ষতা সমূহ দান করা সত্বেও সাধারণ মানুষ সঠিক পথ অবলম্বনের প্রতি অমনোযোগী। সে কোনও অবস্থাতেই বন্ধুর গিরিপথ বা কষ্টসাধ্য পথ অবলম্বনে আগ্রহী হয় না যদিও এই পথ তার আধ্যাত্মিক ও পারলৌকিক কল্যাণ বয়ে আনবে। বাইবেলে আছে, “Strait is the gate, and narrow is the way, which leadeth unto life, and few there be that find it.” [ Matt vii 14 ] ।
আয়াতঃ 090.012
আপনি জানেন, সে ঘাঁটি কি?
And what will make you know the path that is steep?
وَمَا أَدْرَاكَ مَا الْعَقَبَةُ
Wama adraka ma alAAaqabatu
YUSUFALI: And what will explain to thee the path that is steep?-
PICKTHAL: Ah, what will convey unto thee what the Ascent is! –
SHAKIR: And what will make you comprehend what the uphill road is?
KHALIFA: Which one is the difficult path?
১২। তুমি কি জান দুর্গম [গিরি ] পথ কি ?
১৩। [ তা হচ্ছে ] ; দাসমুক্তি ৬১৪০ ;
৬১৪০। চারিত্রিক গুণাবলী অর্জনের পথ হচ্ছে সৎকর্ম সম্পাদন করা যা সব সময়েই খুব কষ্টকর পথ। এ পথের একটাই মানদন্ড আর তা হচ্ছে মানুষের জন্য নিঃস্বার্থ ভালোবাসা ও এই ভালোবাসা প্রকাশের জন্য দান করা। এই মানদন্ডকে তিনটি উদাহরণের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়েছে। ১) দাস মুক্তি, ২) এতিমকে আহার্য দান ও ৩) দরিদ্র নিষ্পেষিত ব্যক্তিকে আহার্য দান করা। এই মানদন্ড প্রতিটিই প্রতীকধর্মী, যার আক্ষরিক ও রূপক উভয় অর্থই বিদ্যমান। যদিও পৃথিবীতে ক্রীতদাস প্রথা বিদ্যমান নাই, তবুও তা সমাজে অন্যভাবে বর্তমান। যেখানেই মানবতা লাঞ্ছিত হয় সেখানেই তা ক্রীতদাস প্রথায় পর্যবেসিত হয়। যেমন বাংলাদেশে নারীদের অবস্থানকে ক্রীতদাসের সাথে তুলনা করা চলে। ঠিক সেভাবেই বসনিয়াতে বা অন্যান্য স্থানে যেখানে মানবতা লুণ্ঠিত হয় সে সকলই ক্রীতদাস প্রথার প্রতীক। দাস মুক্তি দ্বারা মানবতার মুক্তি বুঝানো হয়। এ ব্যতীত ব্যক্তিগত জীবনে মানুষ লোভের দাস, অজ্ঞতার দাস, সম্পদের মোহে সম্পদের দাস, কুসংস্কারের দাস, তীব্র আবেগের দাস, ক্ষমতার দাস ইত্যাদি বিভিন্ন দাসের পরিণতিতে আত্মার স্বচ্ছতা হারায়। যারা পূণ্যাত্মা, তাদের দায়িত্ব হচেছ মানুষের এসব আত্মার দাসত্ব থেকে মুক্ত করার চেষ্টা করা – যদিও কাজটি তার জন্য সুখকর নয়, বরং কঠিন ও বিপদজনক। তবে তখনই সে এ কাজ করতে সক্ষম হবে যখন সে নিজেকে বা নিজের আত্মাকে মুক্ত করতে সক্ষম হবে।
আয়াতঃ 090.013
তা হচ্ছে দাসমুক্তি
(It is) Freeing a neck (slave, etc.)
فَكُّ رَقَبَةٍ
Fakku raqabatin
YUSUFALI: (It is:) freeing the bondman;
PICKTHAL: (It is) to free a slave,
SHAKIR: (It is) the setting free of a slave,
KHALIFA: The freeing of slaves.
১২। তুমি কি জান দুর্গম [গিরি ] পথ কি ?
১৩। [ তা হচ্ছে ] ; দাসমুক্তি ৬১৪০ ;
৬১৪০। চারিত্রিক গুণাবলী অর্জনের পথ হচ্ছে সৎকর্ম সম্পাদন করা যা সব সময়েই খুব কষ্টকর পথ। এ পথের একটাই মানদন্ড আর তা হচ্ছে মানুষের জন্য নিঃস্বার্থ ভালোবাসা ও এই ভালোবাসা প্রকাশের জন্য দান করা। এই মানদন্ডকে তিনটি উদাহরণের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়েছে। ১) দাস মুক্তি, ২) এতিমকে আহার্য দান ও ৩) দরিদ্র নিষ্পেষিত ব্যক্তিকে আহার্য দান করা। এই মানদন্ড প্রতিটিই প্রতীকধর্মী, যার আক্ষরিক ও রূপক উভয় অর্থই বিদ্যমান। যদিও পৃথিবীতে ক্রীতদাস প্রথা বিদ্যমান নাই, তবুও তা সমাজে অন্যভাবে বর্তমান। যেখানেই মানবতা লাঞ্ছিত হয় সেখানেই তা ক্রীতদাস প্রথায় পর্যবেসিত হয়। যেমন বাংলাদেশে নারীদের অবস্থানকে ক্রীতদাসের সাথে তুলনা করা চলে। ঠিক সেভাবেই বসনিয়াতে বা অন্যান্য স্থানে যেখানে মানবতা লুণ্ঠিত হয় সে সকলই ক্রীতদাস প্রথার প্রতীক। দাস মুক্তি দ্বারা মানবতার মুক্তি বুঝানো হয়। এ ব্যতীত ব্যক্তিগত জীবনে মানুষ লোভের দাস, অজ্ঞতার দাস, সম্পদের মোহে সম্পদের দাস, কুসংস্কারের দাস, তীব্র আবেগের দাস, ক্ষমতার দাস ইত্যাদি বিভিন্ন দাসের পরিণতিতে আত্মার স্বচ্ছতা হারায়। যারা পূণ্যাত্মা, তাদের দায়িত্ব হচেছ মানুষের এসব আত্মার দাসত্ব থেকে মুক্ত করার চেষ্টা করা – যদিও কাজটি তার জন্য সুখকর নয়, বরং কঠিন ও বিপদজনক। তবে তখনই সে এ কাজ করতে সক্ষম হবে যখন সে নিজেকে বা নিজের আত্মাকে মুক্ত করতে সক্ষম হবে।