আয়াতঃ 090.007
সে কি মনে করে যে, তাকে কেউ দেখেনি?
Thinks he that none sees him?
أَيَحْسَبُ أَن لَّمْ يَرَهُ أَحَدٌ
Ayahsabu an lam yarahu ahadun
YUSUFALI: Thinketh he that none beholdeth him?
PICKTHAL: Thinketh he that none beholdeth him?
SHAKIR: Does he think that no one sees him?
KHALIFA: Does he think that no one sees him?
৭। সে কি মনে করে যে, তাকে কেহ দেখে নাই ? ৬১৩৬
৬১৩৬। উপরে বর্ণিত লোকেরা সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দেয় এবং মনে করে তারা খুব বুদ্ধিমান। তাদের ধারণা এই ধোঁকা কেউ সনাক্ত করতে সক্ষম হবে না। কিন্তু তারা ভুলে যায় যে অলক্ষ্যে থেকে আল্লাহ্ আমাদের সকল কর্ম, সকল কর্মের প্রকৃত উদ্দেশ্য, গোপন চিন্তা ভাবনা, প্রকাশ্য অপ্রকাশ্য সকল কথা সব কিছু রেকর্ড করে রাখছেন। তাঁর অজ্ঞাত কিছুই নাই। যদি সে সামান্য পরিমাণও বোধশক্তি সম্পন্ন হয় তবে বুঝতে সক্ষম হতো যে সেই মহাশক্তিধর প্রভুর অস্তিত্ব সর্বত্র বিদ্যমান।
আয়াতঃ 090.008
আমি কি তাকে দেইনি চক্ষুদ্বয়,
Have We not made for him a pair of eyes?
أَلَمْ نَجْعَل لَّهُ عَيْنَيْنِ
Alam najAAal lahu AAaynayni
YUSUFALI: Have We not made for him a pair of eyes?-
PICKTHAL: Did We not assign unto him two eyes
SHAKIR: Have We not given him two eyes,
KHALIFA: Did we not give him two eyes?
৮। আমি কি তার জন্য সৃষ্টি করি নাই দুইটি চক্ষু ?
৯। এবং একটি জিহ্বা ৬১৩৭, এবং দুইটি ওষ্ঠ ?
৬১৩৭। কেন মানুষ আত্মার মাঝে মহাশক্তিধর প্রভুর ক্ষমতাকে উপলব্ধি করবে না ? এই উপলব্ধির জন্য আল্লাহ্ আমাদের মাঝে যে সব মানসিক দক্ষতা সমূহ দিয়েছেন তার প্রতি মনোযোগ আকর্ষণ করা হয়েছে। চক্ষুদ্বারা আমরা পৃথিবীর আলো দর্শন করি। দৈহিক ভাবে দেখা ব্যতীতও আল্লাহ্ মানুষকে আর এক ভাবে চক্ষুর ব্যবহার দান করেছেন – অন্তর্জগতে। মনের সে চোখ প্রকৃত সত্যের আলোকে সনাক্ত করতে পারে। বিশ্ব জগতের সৃষ্টির মাঝে আল্লাহ্র হাতের শিল্প নৈপুন্যকে অনুধাবন করতে পারে। বিশ্ব ভূবন ও বিশাল নভোমন্ডলের মাঝে স্রষ্টার সৃষ্টির যে সমন্বিত শৃঙ্খলা যা সঙ্গীতের ন্যায় নিজস্ব লয়ে গতিময় তা অর্ন্তজগতের চক্ষু দ্বারা উপলব্ধির মাধ্যমে দেখতে পায়। একই ভাবে জিহ্বা ও ওষ্ঠ যা হচ্ছে কথা বলার ও খাবারের স্বাদ গ্রহণের মাধ্যম। এই মাধ্যমকে জৈবিক ভাবে ব্যবহার করা যায় আবার মহত্তর উদ্দেশ্য সাধনের জন্যও ব্যবহার করা যায়। এর দ্বারা সত্য পথের সন্ধান করা যায় এবং সত্যকে অনুভব করা যায়, জীবনের দিক্ নির্দ্দেশনার জন্য সাহায্য প্রার্থনা করা যায়। মানুষকে সত্যের পথে আহ্বান করা যায়। আল্লাহ্র গুণগান করা যায় ইত্যাদি। এই দুটি মানসিক দক্ষতার উল্লেখের মাধ্যমে এ সত্যকেই তুলে ধরা হয়েছে যে, মানসিক দক্ষতা সমূহ জৈবিক উদ্দেশ্য সাধনের জন্য ব্যবহার করা যায়,আবার জীবনের মহত্তর পরিণতির জন্যও ব্যবহার করা যায়। এটি একটি রূপক বর্ণনা যার দ্বারা আল্লাহ্র সৃষ্টি নৈপূণ্যকে তুলে ধরা হয়েছে।
আয়াতঃ 090.009
জিহবা ও ওষ্ঠদ্বয় ?
And a tongue and a pair of lips?
وَلِسَانًا وَشَفَتَيْنِ
Walisanan washafatayni
YUSUFALI: And a tongue, and a pair of lips?-
PICKTHAL: And a tongue and two lips,
SHAKIR: And a tongue and two lips,
KHALIFA: A tongue and two lips?
৮। আমি কি তার জন্য সৃষ্টি করি নাই দুইটি চক্ষু ?
৯। এবং একটি জিহ্বা ৬১৩৭, এবং দুইটি ওষ্ঠ ?
৬১৩৭। কেন মানুষ আত্মার মাঝে মহাশক্তিধর প্রভুর ক্ষমতাকে উপলব্ধি করবে না ? এই উপলব্ধির জন্য আল্লাহ্ আমাদের মাঝে যে সব মানসিক দক্ষতা সমূহ দিয়েছেন তার প্রতি মনোযোগ আকর্ষণ করা হয়েছে। চক্ষুদ্বারা আমরা পৃথিবীর আলো দর্শন করি। দৈহিক ভাবে দেখা ব্যতীতও আল্লাহ্ মানুষকে আর এক ভাবে চক্ষুর ব্যবহার দান করেছেন – অন্তর্জগতে। মনের সে চোখ প্রকৃত সত্যের আলোকে সনাক্ত করতে পারে। বিশ্ব জগতের সৃষ্টির মাঝে আল্লাহ্র হাতের শিল্প নৈপুন্যকে অনুধাবন করতে পারে। বিশ্ব ভূবন ও বিশাল নভোমন্ডলের মাঝে স্রষ্টার সৃষ্টির যে সমন্বিত শৃঙ্খলা যা সঙ্গীতের ন্যায় নিজস্ব লয়ে গতিময় তা অর্ন্তজগতের চক্ষু দ্বারা উপলব্ধির মাধ্যমে দেখতে পায়। একই ভাবে জিহ্বা ও ওষ্ঠ যা হচ্ছে কথা বলার ও খাবারের স্বাদ গ্রহণের মাধ্যম। এই মাধ্যমকে জৈবিক ভাবে ব্যবহার করা যায় আবার মহত্তর উদ্দেশ্য সাধনের জন্যও ব্যবহার করা যায়। এর দ্বারা সত্য পথের সন্ধান করা যায় এবং সত্যকে অনুভব করা যায়, জীবনের দিক্ নির্দ্দেশনার জন্য সাহায্য প্রার্থনা করা যায়। মানুষকে সত্যের পথে আহ্বান করা যায়। আল্লাহ্র গুণগান করা যায় ইত্যাদি। এই দুটি মানসিক দক্ষতার উল্লেখের মাধ্যমে এ সত্যকেই তুলে ধরা হয়েছে যে, মানসিক দক্ষতা সমূহ জৈবিক উদ্দেশ্য সাধনের জন্য ব্যবহার করা যায়,আবার জীবনের মহত্তর পরিণতির জন্যও ব্যবহার করা যায়। এটি একটি রূপক বর্ণনা যার দ্বারা আল্লাহ্র সৃষ্টি নৈপূণ্যকে তুলে ধরা হয়েছে।