يَا أَيَّتُهَا النَّفْسُ الْمُطْمَئِنَّةُ
Ya ayyatuha alnnafsu almutma-innatu
YUSUFALI: (To the righteous soul will be said:) “O (thou) soul, in (complete) rest and satisfaction!
PICKTHAL: But ah! thou soul at peace!
SHAKIR: O soul that art at rest!
KHALIFA: As for you, O content soul.
২৭। [ পূণ্যাত্মাদের বলা হবে ] : ” হে প্রশান্ত চিত্ত আত্মা ৬১২৭ ;
৬১২৭। পৃথিবীর অন্ধ নিয়ম, নীতি, কুসংস্কার বা প্রথার বন্ধন মুক্ত যে আত্মা, অন্যায়, অপরাধ থেকে পবিত্র যে আত্মা, সেই আত্মা হচ্ছে প্রভাতের আলোর ন্যায় উজ্জ্বল পবিত্র মুক্ত আত্মা, যার মাঝে আল্লাহ্র নূর বা সত্যের আলো হীরক খন্ডের ন্যায় প্রতিফলিত হয়। এ সব চিত্ত আল্লাহ্র স্মরণেই শান্তি লাভ করে। এদেরকেই স্বাগত জানানো হয়েছে। এ সব আত্মাকেই বলা হয়েছে প্রশান্ত আত্মা যারা পার্থিব সকল যন্ত্রণা, দুঃখ, সন্দেহ, ভয়, দ্বিধা, ঈর্ষা, হিংসা দ্বেষ ইত্যাদি মুক্ত। অসীম উন্মুক্ত নীল আকাশের মত উদার ও মুক্ত যে আত্মা। যে আত্মার মাঝে হতাশা ছায়া ফেলতে পারে না, আবেগের তীব্রতা যে আত্মার মাঝে বিবেককের প্রকাশকে অবরুদ্ধ করতে পারে না, পাওয়ার আকাঙ্খা বা লোভ যে আত্মার ন্যায় অন্যায় বোধকে অবলুপ্ত করতে পারে না; সে সব আত্মার মাঝে বিরাজ করে অপার প্রশান্তি যার উৎপত্তি আল্লাহ্র উপরে সম্পূর্ণ নির্ভরশীলতা থেকে।
মুসলিম দর্শনে আত্মার এই অবস্থাকে বলা হয় পরিপূর্ণ শান্তি বা প্রশান্তির অবস্থা [Bliss ]। সাধারণ মানুষ দেহের বাইরে, পার্থিব জগতের বাইরে যে আধ্যাত্মিক জগত সে সম্বন্ধে কোনও চিন্তাই বা ধারণা করতে পারে না। যাদের জীবনে পার্থিব সুখ স্বাচ্ছন্দ ও সন্তুষ্টিই একমাত্র কাম্য। যারা পৃথিবীর এই সহজবোধ্য জীবনের বাইরে কিছু চিন্তা করতে অক্ষম এরাই হচ্ছে কোরাণের ভাষায় ‘Ammara’ দেখুন [ ১২ : ৫৩ ] আয়াত ও [ ৭৫ : ২ ] আয়াতের টিকা ৫৮১০। এরা পাপ ও পূণ্যের মধ্যে পার্থক্য করতে পারে না। যারা বিবেকবান তারা পাপকে সনাক্ত করতে সক্ষম এবং চেষ্টা করে পাপ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে। এদের কোরাণের ভাষাতে বলা হয় ‘Lawama’ দেখুন আয়াত [ ৭৫ : ২] এবং টিকা ৫৮১০।
আয়াতঃ 089.028
তুমি তোমার পালনকর্তার নিকট ফিরে যাও সন্তুষ্ট ও সন্তোষভাজন হয়ে।
”Come back to your Lord, Well-pleased (yourself) and well-pleasing unto Him!
ارْجِعِي إِلَى رَبِّكِ رَاضِيَةً مَّرْضِيَّةً
IrjiAAee ila rabbiki radiyatan mardiyyatan
YUSUFALI: “Come back thou to thy Lord,- well pleased (thyself), and well-pleasing unto Him!
PICKTHAL: Return unto thy Lord, content in His good pleasure!
SHAKIR: Return to your Lord, well-pleased (with him), well-pleasing (Him),
KHALIFA: Return to your Lord, pleased and pleasing.
২৮। “তোমার প্রভুর দিকে ফিরে এসো সন্তুষ্ট ও সন্তোষ ভাজন হয়ে। ৬১২৮
৬১২৮। ২৪নং আয়াতে বলা হয়েছে যে পাপীরা পরলোকে নিঃসঙ্গ হয়ে পড়বে এবং উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠায় চিৎকার করতে থাকবে, অপর পক্ষে এই আয়াতে পূণ্যাত্মাদের পরলোকের অবস্থানকে বর্ণনা করা হয়েছে। পূণ্যাত্মাদের সেদিন মহান আল্লাহ্ স্বাগত জানাবেন। এই আয়াতে সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে আত্মাই পরলোকে বেহেশতে প্রবেশ করবে, মৃত্তিকার তৈরী নশ্বর দেহ নয়।
আয়াতঃ 089.029
অতঃপর আমার বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাও।
”Enter you, then, among My honoured slaves,
فَادْخُلِي فِي عِبَادِي
Faodkhulee fee AAibadee
YUSUFALI: “Enter thou, then, among My devotees!
PICKTHAL: Enter thou among My bondmen!
SHAKIR: So enter among My servants,
KHALIFA: Welcome into My servants.
২৯। ” আমার সেবক দলের অন্তর্ভূক্ত হও!
৩০। ” হ্যাঁ, আমার জান্নাতে প্রবেশ কর।” ৬১২৯
৬১২৯। বেহেশতের সর্বোচ্চ বর্ণনা হচ্ছে “Enter my heaven”। মানুষ বেহেশত সম্বন্ধে নানা ধরণের কল্পনার জাল বুনতে পারে,নানা ভাবে তার বর্ণনা করতে পারে। কিন্তু প্রকৃত সত্য হচ্ছে কোন ভাষাই সে বর্ণনার প্রকৃত যোগ্যতা রাখে না। ” আমার জান্নাত ” আল্লাহ্র নিজস্ব যে বেহেশত এই বাক্যটি দ্বারা বেহেশতের বর্ণনার সর্বোচ্চ প্রকাশ করা হয়েছে। আল্লাহ্র অনুগ্রহ হলে আমরা সেখানে প্রবেশের অনুমতি পেয়ে ধন্য হব।
আয়াতঃ 089.030
এবং আমার জান্নাতে প্রবেশ কর।
”And enter you My Paradise!”
وَادْخُلِي جَنَّتِي
Waodkhulee jannatee
YUSUFALI: “Yea, enter thou My Heaven!
PICKTHAL: Enter thou My Garden!
SHAKIR: And enter into My garden.
KHALIFA: Welcome into My Paradise.
২৯। ” আমার সেবক দলের অন্তর্ভূক্ত হও!
৩০। ” হ্যাঁ, আমার জান্নাতে প্রবেশ কর।” ৬১২৯
৬১২৯। বেহেশতের সর্বোচ্চ বর্ণনা হচ্ছে “Enter my heaven”। মানুষ বেহেশত সম্বন্ধে নানা ধরণের কল্পনার জাল বুনতে পারে,নানা ভাবে তার বর্ণনা করতে পারে। কিন্তু প্রকৃত সত্য হচ্ছে কোন ভাষাই সে বর্ণনার প্রকৃত যোগ্যতা রাখে না। ” আমার জান্নাত ” আল্লাহ্র নিজস্ব যে বেহেশত এই বাক্যটি দ্বারা বেহেশতের বর্ণনার সর্বোচ্চ প্রকাশ করা হয়েছে। আল্লাহ্র অনুগ্রহ হলে আমরা সেখানে প্রবেশের অনুমতি পেয়ে ধন্য হব।